স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে পদত্যাগে বাধ্য করতেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে বিশ্বাস করে জনগণ।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

গেল শনিবার সুপ্রিম কোর্ট এক বিরল বিবৃতিতে জানায়, ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনসহ ১১টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সম্বলিত দালিলিক তথ্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

রিজভী বলেন, রাষ্ট্রপতি যদি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এত অভিযোগ পেয়েই থাকেন তাহলে তিনি সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করলেন না কেন, এই প্রশ্ন এখন আইনাঙ্গনে ঘুরপাক খাচ্ছে। সর্বোচ্চ আদালতের সর্বসম্মত রায়ের পর সুপ্রিম জুডিশিয়ার কাউন্সিল পুর্নবহাল হওয়ার কথা। নিয়ম হলো, প্রধান বিচারপতির কিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে অভিযোগগুলো রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের জুডিশিয়াল বিভাগে তদন্তের জন্য পাঠাবেন। তদন্ত শেষে যদি প্রমাণিত হয় তাহলে বিচারপতি অপসারণ করবেন, আর যদি প্রমাণিত না হয় তিনি পদে বহাল থাকবেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, তার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে এত অভিযোগ…তিনি দেশে থাকতে এসব অভিযোগ তোলা হলো না কেন? আর এসব অভিযোগ তো মনে হচ্ছে অনেক পুরনো।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশে বেআইনি কর্মকাণ্ডের অতি ক্ষমতাধররা এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে, এরা এখন ভয়ঙ্কর বেপরোয়া। দলীয় সংকীর্ণতার বদ্ধকূপে তারা মন্ডুকনীতি গ্রহণ করে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকে মৌরসীপাট্টা করে নিজেদের জমিদারিতে পরিণত করেছেন। তবে এই জমিদারি উচ্ছেদের জন্য জনগণ এখন সংঘবদ্ধ। জনগণের ধূমায়িত বহ্নির উত্তাপ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবুল কালাম আজাদ, মুনির হোসেন, আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ১৬, ২০১৭)