E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

মঙ্গোলিয়ায় শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

২০১৬ জুলাই ১৪ ১৮:৪৯:১৯
মঙ্গোলিয়ায় শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

নিউজ ডেস্ক : এগারোতম এশিয়া-ইউরোপ সম্মেলনে (আসেম) যোগ দিতে মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটরে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উলানবাটরে চেঙ্গিস খান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

বিমানবন্দরে পৌঁছালে মঙ্গোলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম এবং দেশটির রাষ্ট্রপতির চিফ অব স্টাফ পি. সাগান প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

পরে প্রধানমন্ত্রীকে মঙ্গোলিয়ান সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ গার্ড অব অনার দেয়।

বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রাসহযোগে সফরকালীন আবাসস্থল আসেম ভিলায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে, বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ছেড়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, তিন বাহিনী প্রধান, কূটনৈতিক কোরের ডিন এবং উচ্চপর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা বিদায় জানান।

আগামী ১৫ ও ১৬ জুলাই (শুক্র ও শনিবার) মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটরে আসেম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী আসেম সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশনে অংশ নেবেন। সম্মেলন স্থল সানগ্রি-লা হোটেলে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট সাখিয়াগিন এলবেগদোর্জ অভ্যর্থনা জানানোর কথা রয়েছে।

শেখ হাসিনা সম্মেলনের প্রথম এবং দ্বিতীয় সেশনে অংশ নেবেন এবং বক্তব্য রাখবেন।

সম্মেলন উপলক্ষে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সুইস প্রেসিডেন্ট ইয়োহান স্নাইডার, রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভিয়েদেভ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল এবং ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো জিমতেয়োলির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে।

এছাড়া শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট, ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি সাক্ষাৎ করবেন।

শনিবার বিকেলেই তার ঢাকায় ফিরে আসার সূচি রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে জানা যায়, আসেম সম্মেলনে এশিয়া ও ইউরোপের উন্নয়ন, সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান, অভিবাসন সংকট মোকাবেলা, কানেকটিভিটিসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় আলোচিত হবে। এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে আসেমের ভবিষ্যৎ কাজের পদ্ধতি নির্ধারণসহ জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা, দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ও ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের রফতানির একক বৃহত্তমবাজার এবং অন্যতম প্রধান উন্নয়ন অংশীদার। আসেম প্লাটফরমকে ব্যবহার করে এশীয় দেশগুলোর সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে স্বার্থ সমুন্নত রাখার কাজটি করতে পারে।

(ওএস/এএস/জুলাই ১৪, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test