E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

চৈত্র সংক্রান্তিতে বিষমুক্ত শাকসবজি নিশ্চিত করার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার

২০২৫ এপ্রিল ১৩ ১২:৩৮:৪৯
চৈত্র সংক্রান্তিতে বিষমুক্ত শাকসবজি নিশ্চিত করার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার

স্টাফ রিপোর্টার : চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈশাখ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক বিশেষ বার্তা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ঐতিহ্যবাহী চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে পালনের এই শুভক্ষণে তিনি পরিবেশ দূষণরোধ করে বিষমুক্ত শাকসবজি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান, যা দরিদ্র মানুষের পুষ্টির অন্যতম উৎস।

ফরিদা আখতার বলেন, চৈত্র সংক্রান্তি পালন করতে গিয়ে শাকসবজি খুঁজতে যেন আমাদের বেগ পেতে না হয়।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে ‘বাংলার উৎসব ১৪৩২: চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈশাখ উদযাপন’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম সরকারিভাবে চৈত্র সংক্রান্তি পালিত হচ্ছে। পাশাপাশি এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বৈশাখের অনুষ্ঠান। আমাদের গ্রাম বাংলায় এই দুটি উৎসবকে একসঙ্গে পালন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এই উৎসবের দিন সাধারণত বিভিন্ন পদের শাকসবজি দিয়ে তরকারি তৈরি করার প্রচলন আছে। এদিন কোনো প্রকার আমিষ খাওয়া হয় না। গ্রাম বাংলার যত ধরনের আয়োজন ও বৈচিত্র্য সংস্কৃতি তা এই চৈত্র সংক্রান্তিতে দেখা যায়।

চৈত্র সংক্রান্তির ঐতিহ্যবাহী ১৪ রকমের শাকের কথা উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, এই শাক বর্তমানে আর বিশুদ্ধভাবে পাওয়া যায় না। আজকাল পরিবেশ দূষণের কারণে এবং নানা আধুনিক কৃষিতে কীটনাশক ও আগাছা নাশক ব্যবহারের কারণে আমরা শাক পেলেও তা ব্যবহার উপযোগী নয়। কারণ সেটা বিষাক্ত হয়ে যায়। আমরা যদি পরিবেশটাকে বিষমুক্ত করতে পারি তাহলে শাকগুলোকে আমরা সবাই খেতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমার একটা অনুরোধ থাকবে, আমরা দেশের উন্নয়নের কথা বলছি ও দেশকে এগিয়ে নিতে চাচ্ছি এবং জুলাই এর অভ্যুত্থানের পরে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের কথা বলছি সেখানে যেন বিল্ডিং এবং গাড়ি করাটাই যেন উন্নয়নের মূল সংজ্ঞা না হয়। আমরা যেন আমাদের প্রাণ-প্রকৃতিকে রক্ষা করতে পারি। আমাদের যেন এ রকম চৈত্র সংক্রান্তি পালন করতে গিয়ে শাক খুঁজতে যেন আমাদের বেগ পেতে না হয়।

শাককে গরিব মানুষের খাবার উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, গরিব মানুষ কিন্তু এই শাক খেয়ে বেঁচে থাকে। আমরা যে বলি, জিনিসপত্রের দাম বাড়ার পর গরিব মানুষ শেষ পর্যন্ত কেমন করে বেঁচে আছে। আর তারা কিন্তু পুষ্টিটা এই শাক থেকেই পায়। আর সে কারণেই তারা বেঁচে আছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ১৩, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১৪ এপ্রিল ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test