E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

মোহাম্মদপুরে দোকান দখল ও ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ

২০২৫ জানুয়ারি ২৮ ১৯:০৪:৩৭
মোহাম্মদপুরে দোকান দখল ও ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ এলাকায় মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিঃ কাচাবাজরে মোট ২০০ থেকে ২৫০টি দোকান রয়েছেন। দোকান গুলো বরাদ্দকৃত ভাবে মলিক বিভিন্ন ব্যক্তি। এটি সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী কাজাবাজার। সিটি কর্পোরেশন থেকে বরাদ্দ নিয়ে একেকজন দোকান মালিক হয়েছে এবং দলিলমূলে বিক্রি করা যায়। নিয়ম অনুযায়ী যার কাছে দোকান ক্রয়ের দলিল থাকবে সেই দোকানের মালিক হবেন।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি এই বাজারে ৪ টি দোকান দেখভাল করেন, দোকান চারটি তার নিকট আত্মীয়র। এরমধ্যে মহিউদ্দিনের ছেলে, স্ত্রী এবং বড় ভাই। দোকানগুলোর মালিক। এরা ভাড়া দিয়ে দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছে কিন্তু চলতি জানুয়ারি মাসে, বর্তমান সভাপতি মো: আবুল মিয়া (আবরু) এবং তার দলবল নিয়ে চারটি দোকানই দখল করে এবং ভাঙচুর চালায়। দোকান গুলো হচ্ছে গ ৩৮, গ ৩৯, গ ৩৭ গ ৪০ দোকান দখলের সময় আবুলের সাথে অন্যরা ছিলেন মোঃ বাবু, মোঃ শাজাহান, মোঃ সোহেল। এদের সবার বিরুদ্ধে চলতি মাসের ৪ তারিখ মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী মহিউদ্দিন।

এবিষয় ভুক্তভোগী মহিউদ্দিন বলেন, আমাদের দোকান দখলের বিষয়টি আবুল মিয়াকে জানালে সেখানে আমার সাথে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলে আমি টাকা না দিয়ে, তাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, চলতি মাসের ১ জানুয়ারি আমার ভাড়াটিয়াদের মারধর করে দোকান দখল করে এবং সেখানে দোকানের ডেকোরেশন সামগ্রী প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুটপাট ও নষ্ট করে ফেলে।

এ বিষয় বাজারের দায়িত্বে থাকা আবুল মিয়া বলেন, এই দোকান গুলো আমি দখল করিনাই। দখল মুক্ত করেছি। মহিউদ্দিন এক সময় এই বাজারের সভাপতি ছিলেন, এই দোকানের মালিক অন্য কেউ রয়েছে। মহিউদ্দিন না। তিনি বলেন, আমি এই বাজারের নির্বাচিত সভাপতি ছিলাম আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমাকে বের করে দেওয়া হয়। এখন আবার আমি বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।

এ বিষয় ভুক্তভোগী মহিউদ্দিন আরো বলেন, দোকানগুলো যখন ক্রয় করা হয় তখন আবুল মিয়া নিজেই দলিল করে দিয়েছে, গ ৩৮ নাম্বার দোকানটি। আর অন্য দোকান গুলো ক্রয় করার সকল দলীলপত্র আমাদের কাছে রয়েছে। কিন্তু হটাৎ দোকান গুলো দখল হয়ে যায় এবিষয়ে মোহাম্মদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

সরেজমিনে গেলে বাজারের কয়েকজন দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই চারটি দোকান মহিউদ্দিনের পরিবারের ক্রয়করা। বাজারে তকে খোকা বলে সবাই চিনেন । কয়েকজন বলেন, এই দোকান গুলো শুনেছি দখল হয়েছে কিন্তু দোকানগুলোর মালিক মহিউদ্দিন খোকার দুই ছেলে এবং তার স্ত্রী এবং বড় ভাইয়ের। স্থানীয়রা বলেন, এবিষয়ে পুলিশ এসেছিল।

মোহাম্মদপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম, বলেন, শিয়া মসজিদ এলাকায় মোহম্মদীয়া কাঁচাবাজারে দোকান দখলের ঘটনা ঘটেছে, আমি দুই পক্ষকেই থানায় ডেকেছি তাদের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে। দলির যার নামে থাকবে তিনিই দোকানের মালিক হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, দলিল যার দোকানও তার।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ২৮, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩০ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test