E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

‘জার্মানি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সহায়তা করবে’

২০২৫ জানুয়ারি ২২ ১৩:২৩:১৯
‘জার্মানি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সহায়তা করবে’

স্টাফ রিপোর্টার : জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেছেন, তার সরকার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়ায় সর্বাত্মক সহায়তা করবে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকের সাইডলাইনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি সম্পর্কে জার্মান চ্যান্সেলরকে অবহিত করার পর তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, আমরা আপনাদের সহায়তা করব।

জার্মান চ্যান্সেলরকে প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি একটি ঐকমত্য কমিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যা ছয়টি কমিশনের জমা দেওয়া সংস্কার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গঠনের কাজ করছে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার পর রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই চুক্তি স্বাক্ষর করবে। যা জুলাই-আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের গণতান্ত্রিক চেতনা বজায় রাখবে।

দুই নেতা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা জার্মান চ্যান্সেলরকে জানান, কীভাবে বাংলাদেশের তরুণরা জুলাই অভ্যুত্থানে যোগ দিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলা দুর্নীতি ও অপশাসনের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করেছিল। এ সময় ১২ বছর বয়সী এক ছাত্রের তার মাকে চিঠি লিখে বিদায় জানিয়ে অভ্যুত্থানে যোগ দিয়ে শহীদ হওয়ার ঘটনাও ওলাফ শলৎজকে জানান অধ্যাপক ইউনুস।

প্রধান উপদেষ্টা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্কের উন্নয়নে জোর দিয়ে জার্মান ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দলকে ঢাকায় এসে বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধানের আহ্বান জানান।

তিনি জার্মানির প্রতি আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা (বাংলাদেশ) আপনাদের কারখানা হতে পারি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখনো সার্কের ধারণায় বিশ্বাস করে এবং এই প্ল্যাটফর্ম পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

এ সময় অধ্যাপক ইউনূস জার্মান চ্যান্সেলরকে ব্যাখ্যা করেন- কীভাবে নেপালের জলবিদ্যুৎ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশের জন্য উপকারী হতে পারে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে উত্তরণের জন্য সহায়ক হতে পারে।

এছাড়া মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরিতে জার্মানির সহায়তাও চান তিনি।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ২২, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২২ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test