‘পাহাড়ের মানুষের সংস্কৃতিকে সম্মান করতে হবে’
স্টাফ রিপোর্টার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আমাদের পাহাড়ের মানুষের সংস্কৃতিকে সম্মান করতে হবে। আমরা সবাই বাঙালি না।
বাঙালি ছাড়াও যারা আছেন, তাদেরও বৈষম্যহীনভাবে অধিকার দিতে হবে এবং সম্মান করতে হবে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাসিমুল গণি রচিত ‘রিজিওনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সিএইচটি পিস অ্যাকর্ড ১৯৯৭: এন আনফিনিশড পিস বিল্ডিং মডেল অব বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অবসরপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সংগঠন রাওয়া এবং সাময়িকী ডিপ্লোমেটস ওয়ার্ল্ড।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার যে কাজটি আমাদের ছিল, তা আমাদের শুরু করতে হবে। আমাদের এ নিয়ে কাজ করতে হবে, যাতে শান্তি ফিরে আসে। কিছু উপাদান (ফ্যাক্টর) রয়েছে, এখানকার অশান্তি থেকে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করবে। আপনাকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। যখন মানুষ বুঝতে পারবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তারা লাভবান হচ্ছে, তখন শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। এখানে প্রশ্ন আসে, শান্তি প্রতিষ্ঠা কি সবার জন্য লাভজনক। প্রতিটি সমাজে একটি শ্রেণি থাকে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, অশান্তি ও সংঘাত থেকে লাভবান হয়।
শান্তি প্রতিষ্ঠায় সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক নিয়ে তিনি বলেন, অভাবগ্রস্ত মানুষেরাই সুযোগের সন্ধানে সেখানে যায়। এছাড়া আরেক শ্রেণির মানুষ রয়েছে, যারা ভিন্ন সুযোগের সন্ধানে সেখানে যায়। সেখানকার জমি ব্যবহার করে কেউ সৎ বা কেউ অসৎ উপায়ে ধনী হয়।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ বলেন, বইটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন অন্তর্বর্তী সরকার তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত লোকজনের মাঝে নিরাপত্তা, ধর্মীয় ও সামাজিক সংহতি রক্ষায় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলো। চার মাস আগে আমরা সেখানে উত্তেজনা, বিক্ষোভ ও অশান্ত পরিস্থিতি দেখেছি। মব জাস্টিসের কারণে সেখানে তিন-চারদিনের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল। অন্তত পাঁচ থেকে ছয়জন উপদেষ্টা সেখানে গেছেন।
তার মতে, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার মধ্যে নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় বিষয়, রাজনৈতিক বিষয়ক, ভূমির মালিকানা এবং সম্পূরক অর্থনীতি ও সামরিক উপাদান রয়েছে।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তি সইয়ের ২৭ বছর পরও শান্তি থেকে গেছে অধরা। কারণ বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় এলেও চুক্তির বেশিরভাগ শর্তই পূরণ করেনি। প্রতি মাসে খুনোখুনিসহ হতাহতের ঘটনা ঘটছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জড়াতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ বলেন, সদ্য প্রকাশিত বইটিতে সমন্বিত উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে, যা করতে হবে সামরিক প্রয়াসের বাইরে গিয়ে। সমস্যার সমাধানে বেসামরিকীকরণের কথা বলা হয়েছে। মনে রাখতে হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও স্থিতিশীলতার সঙ্গে প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই এখানকার শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সমন্বিত উদ্যোগে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অংশীদারদেরও যুক্ত করতে হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউল্যাবের অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, বইতে ব্রিগেডিয়ার সাহেব বলেছেন, সেখানে পলিসি কি হবে সেটা নিয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষমতাধর শক্তি তারা তো তাদের খেলা খেলবে। কিন্তু আমাকে আগে আমার নীতির ওপর মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের কৌশলগত সমস্যার চিন্তায় শুধু সামরিক দিক থেকে দেখলে হবে না। সামরিক বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সামরিক বিষয় সব কিছু বুঝতে পারে না। এ সমস্যা (সমাধান) সামরিক নয়, এমনকি রাজনৈতিকও নয়। এ সমস্যা নাগরিক সমাজ থেকে শুরু হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের লোকজনকে যদি আমরা এলিয়েন হিসেবে বিবেচনা করতে থাকি, তাহলে তো তারা আরও এলিয়েন হয়ে পড়বে।
সলিমুল্লাহ খান বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করত হলে বাধাটা কোথায়, তা আমাদের স্বীকার করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের আনন্দ ও স্বার্থের জন্য তাদের যুক্ত করতে হবে। শুধু চাপিয়ে দিলে হবে না। এ ধরনের নজির ইতিহাসে আমরা বহুবার পেয়েছি। বাংলাদেশের নাগরিক সমাজে যে বর্ণবাদ আছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের দিকে যেভাবে অধস্তন হিসেবে দেখে, সে দৃষ্টিভঙ্গি দুদিনে বদলাবে না। সে জন্য আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও সামাজিক যোগাযোগে পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে আমরা এটা বাস্তবায়িত করতে চাইনি। বাস্তবায়ন করতে চাইলে, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কী চায় সেটা আমাদের মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। চুক্তি বাস্তবায়ন যদি করি, তবে কোনো অবজেকটিভ নেই যে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ বাংলাদেশ থেকে আলাদা হতে চাইবে। যারা সেই প্রচারণা করছেন, আপনারা যারা ভয় পাচ্ছেন যে সেখানে জুম্মা ল্যান্ড বিচ্ছিন্ন ভূমি হচ্ছে সেটার পেছনে আমাদের পাশের দেশের স্বার্থ থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক মহলের স্বার্থ থাকতে পারে। শেষ বিচারে মানুষকে যেন ভুল বুঝানো না হয়। মানুষ কখনো নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় না। যদি পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কথা ভাবি, বাংলাদেশের সঙ্গে থাকলেই তাদের লাভ বেশি। শুধু কথায় চিড়া ভিজবে না। কাজে সেটা প্রমাণ করতে হবে। তাদের বিষয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর জন্য আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে।
(ওএস/এএস/জানুয়ারি ০৬, ২০২৫)
পাঠকের মতামত:
- শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল
- বাড়বে শীত, আসছে শৈত্যপ্রবাহ
- লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া
- ফরিদপুর কো-অপারেটিভ ব্যাংকে হামলা, আহত ৩
- পঞ্চগড় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত আহত ১৫
- ফরিদপুরে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে হতাহতদের পরিচয় মিলেছে
- পঞ্চগড়ে মুয়াজ ফোরটি প্লাস ব্যাডমিন্টনের উদ্বোধন
- মা-বাবার কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন ড. আনিসুর রহমান
- নোয়াখালীতে স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তার ৩
- মেয়ের গাইড বই আনতে গিয়ে প্রাণ গেল সাংবাদিকের
- খাদ্য অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ
- জয়দেবপুর স্টেশনে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত
- ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে এফটিএ প্রয়োজন’
- ঢাকা মহানগর পণ্য পরিবহন এজেন্সি মালিক সমিতির সভাপতি দোলন, সম্পাদক জাহাঙ্গীর
- বাগেরহাটে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের সন্ধানে কৃষি অফিসে দুদকের অভিযান
- সুন্দরবনের শুঁটকি পল্লীতে কোল্ড ষ্ট্রোকে জেলের মৃত্যু
- ‘পাঠ্যবই দেশে ছাপানোয় বিতরণে বিলম্ব হচ্ছে’
- টাঙ্গাইলে ছিন্নমূল অসহায় সাধারণ মানুষের মাঝে বিএনপির কম্বল বিতরণ
- সোনারগাঁয়ে মহাসড়ক দখল করে অবৈধ কাঁচা বাজার স্থাপন, প্রশাসন নিরব
- ‘সুশাসনের জন্য প্রশাসনের কাজের রোল মডেল হোক চাঁদপুর’
- ছাত্র-জনতার ওপর গুলি: রাজবাড়ীতে যুবলীগ নেতাকে আদালতে প্রেরণ
- ফসলি ও ভিটার জমি কেটে খনন করছে দিঘী, মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়
- ২ কেজি ওজনের ‘বালিশ’ মিষ্টি
- ‘বেশি সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন’
- মেঘনার বুকে ‘মিনি কক্সবাজার’
- এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক : সেতুমন্ত্রী
- পুলিশি সিদ্ধান্তে হতাশ ফারুকী
- ছবি প্রযোজনায় ব্যস্ত মাহিয়া মাহী
- আমন-বোরোর মাঝে ‘ফাও ফসল’ বারি-১৪ সরিষা
- হিউজের মৃত্যুতে নীরবতা পালন করল শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড
- বিজিবি’র কড়া নজরদারীতেও ঠেকানো যাচ্ছে না রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ
- প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ
- করোনা : বোরো ধান কাটা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছে হাওরাঞ্চলের কৃষকরা
- কৃত্রিম সূর্যগ্রহণ করার পরিকল্পনা করছেন বিজ্ঞানীরা
- ‘বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠানোর আওয়াজ তুলুন’
- করোনার ভ্যাকসিন নেবেন না ‘সন্দেহবাতিক’ ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় গরু ও বরই আটক করেছে বিজিবি
- প্রীতিলতার নামে ওয়েব সাইট
- ১৩ বিকাশ ব্যবসায়ীর ১৭ লাখ টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক ইমাম
- উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হওয়ায় সালথায় প্রশাসনের আনন্দ র্যালি
- স্বল্পমূল্যে পলিব্যাগে সুপেয় পানি
- লোহাগড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের মতবিনিময়
- অভিনেতা প্রবীর মিত্র আর নেই
- ‘বাংলাদেশের সিনেমা জগতে ভালো পরিচালক দরকার’
- শ্বশুরকে পেটালেন পুত্রবধূ ও নাতনি, থানায় অভিযোগ