E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

মুজিব কিল্লার দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুদক

২০২৫ জানুয়ারি ০২ ১৯:৩৬:০৩
মুজিব কিল্লার দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুদক

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের বিভিন্ন স্থানে মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়নের নামে হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ১৯৭০ সালে স্মরণকালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। সেই ঝড়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষ ও কয়েক লাখ প্রাণীর মৃত্যুর হয়। এই ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতি দুর্যোগ থেকে মানুষ ও সম্পদ রক্ষায় বিভিন্ন স্থানে মাটির কিল্লা বানানোর নির্দেশ দেন। তার নির্দেশে ১৯৭২ সালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৭২টি মাটির উঁচু কিল্লা বানানো হয়।

এসব কিল্লা বা টিলা সাধারণ মানুষের কাছে ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিতি পায়। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকির অভাবে সময়ের সঙ্গে এসব কিল্লা ব্যবহারঅযোগ্য হয়ে পড়ে, কিছু কিল্লার স্থান বেদখলও হয়ে যায়।

আওয়ামী লীগের আমলে ২০১৮ সালে ‘মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকার প্রকল্পে ঘূর্ণিঝড়প্রবণ ১৬ জেলায় ৫৫০টি মুজিব কিল্লা তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে পুরনো ১৭২টি সংস্কার ও নতুন ৩৭৮টি নির্মাণের কথা ছিল।

তবে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। কয়েক দফায় বাড়ানো হয়। আবার ২০২৩ সালে গিয়ে ১০০ কিল্লার নির্মাণ বাতিল করা হয়।

এসব মুজিব কিল্লায় মানুষ ও গৃহপালিত পশুর আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি কিল্লার সামনে মাঠও নির্মাণ করা হয়।

সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর যা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিল দুদক।

এ বিষয়ে মো. আক্তার হোসেন বলেন, দেশজুড়ে মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, সংশ্রিষ্ট ঠিকাদার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা তছরুপ, অতিরিক্ত বিল দেওয়া, গভীর নলকূপের দুই-তৃতীয়াংশ বিকল ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ কমিশন কর্তৃক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০২, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৫ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test