E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

দুদককে জয়: বিলিয়ন ডলার দুর্নীতির প্রমাণ দিন

২০২৪ ডিসেম্বর ২৫ ১৭:২২:২৬
দুদককে জয়: বিলিয়ন ডলার দুর্নীতির প্রমাণ দিন

স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পে কয়েক বিলিয়ন ডলার দুর্নীতির অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। একইসঙ্গে এই দুর্নীতির প্রমাণ দিতে দুদককে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তিনি।

গত মঙ্গলবার রাতে ফেইসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, আমার এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা কখনোই কোনও সরকারি প্রকল্পে জড়িত ছিলাম না বা এর থেকে অর্থ উপার্জন করিনি।

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে। এরপর দুদক জানায়, রূপপুর প্রকল্পের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখবে তারা।

এর মধ্যে সোমবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ জানায়, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৪ বিলিয়ন পাউন্ড (৫ বিলিয়ন ডলার) আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে সম্প্রতি সজীব ওয়াজেদ জয়ের খালাত বোন ও যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ দপ্তর।

এরপর মঙ্গলবার রাতে ফেইসবুকে দেওয়া পোস্টে জয় লেখেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ বছর ধরে বসবাস করছি এবং আমার খালা ও কাজিনরা যুক্তরাজ্যে প্রায় একই সময় ধরে বসবাস করছেন। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের এই দুই দেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আমাদের কোনও অফশোর অ্যাকাউন্ট নেই। যে পরিমাণ টাকার দাবি করা হচ্ছে, তার ধারে কাছেও আমরা কখনো যাইনি।

তিনি দাবি করেন, ১০ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প থেকে বিলিয়ন ডলার সরানো সম্ভব নয়। আমরা লেনদেন এর সাথে ‘সম্পৃক্ত’ বলে দাবি করাটা একটি মিথ্যা অভিযোগ।

তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণের জন্য দুদককে চ্যালেঞ্জও জানিয়ে বলেন, আমি দুর্নীতি দমন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করছি, এই তথাকথিত লেনদেন প্রকাশ করতে এবং প্রমাণ করতে যে আমরা এসব অনিয়মে জড়িত।

পোস্টে জয় আরও লিখেছেন, অবৈধ ইউনুস সরকার এবং তাদের সন্ত্রাসী ছাত্র সমন্বয়করা দেশ চালানোর ব্যর্থতা, আইনের শাসনের অভাব, অর্থনৈতিক পতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্রের সংকট এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়ন থেকে জনগণের দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা করছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পরপরই শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন রূপপুর প্রকল্পে কয়েক বিলিয়ন ডলার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

তবে এ ধরনের সংবাদ ও তথ্যকে ‘বিভ্রান্তিকর’ ও ‘মিথ্যা’ হিসেবে অভিহিত করে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিবৃতি দেয় বাংলাদেশস্থ রাশিয়ার দূতাবাস।

বিবৃতিতে রূপপুর প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’ বিষয়ে প্রকাশিত খবরকে ইচ্ছাকৃতভাবে এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটিকে কলঙ্কিত করার এবং মস্কো ও ঢাকার মধ্যে স্থিতিশীল এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী সম্পর্ককে নষ্ট করার চেষ্টা বলে অভিযোগ করা হয়।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test