E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

এলাকা ছেড়েছেন হেনস্তার শিকার সেই মুক্তিযোদ্ধা, যা বলছে জামায়াত

২০২৪ ডিসেম্বর ২৩ ১৮:১৯:৩১
এলাকা ছেড়েছেন হেনস্তার শিকার সেই মুক্তিযোদ্ধা, যা বলছে জামায়াত

স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুর গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনায় তোলপাড় চলছে দেশজুড়ে। এ ঘটনার পরপরই এলাকা ছেড়েছেন তিনি। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলেই তিনি কুমিল্লা থেকে ফেনীতে চলে যান। আজ সোমবার দুপুরে মোবাইল ফোনে আব্দুল হাই গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি এখন ফেনীতে তার ছেলের সঙ্গে অবস্থান করছেন। মারধর করায় সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ ও প্রশাসন নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে চৌদ্দগ্রামে বাড়িতে ফিরে আসবেন বলেও জানান তিনি।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আব্দুল হাই বলেন, রোববার দুপুরে বাজারে গিয়েছিলেন ওষুধ কিনতে। এ সময় স্থানীয় জামায়াত কর্মী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাকে ধরে জুতার মালা পরিয়ে দেন। সেই সঙ্গে তাকে দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের লুদিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সদস্য ছিলেন। হত্যাসহ ৯ মামলার আসামি কানু, ছিল প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার প্রথম দিকে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। যে কারণে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন তিনি ও তার ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে অনেকের সঙ্গেই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন কানু। একটা সময় দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও বাঁধে বিরোধ। দলের নেতাকর্মীদের দ্বারাও নির্যাতনের শিকার হন তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৯ মামলা রয়েছে থানায়। এ ছাড়াও একাধিকবার তিনি কারাগারেও গিয়েছেন নানা অভিযোগে। একসময় নিজ এলাকার বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও হয়রানির নানা অভিযোগ উঠছে তার বিরুদ্ধে। অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে ভিন্ন দল করায় ভাতা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগও রয়েছে।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় জামায়াতের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। প্রবাসী আবুল হাসেম আমাদের দলের কেউ না। তবে সমর্থক কিংবা অনুসারী হলেও হতে পারে। এ বিষয়ে আরও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আক্তারুজ্জামান বলেন, ঘটনার পর আমরা তার নথি দেখে দুটি মামলার তথ্য পেয়েছি, যার একটি হত্যা মামলা। দুই মামলাতেই তিনি এজাহারভুক্ত আসামি। তবে তিনি নিজের মুখে সবার সামনেই বলেছেন তিনি ৯ মামলার আসামি এবং ১৪ বার জেল খেটেছেন। অনলাইন সিস্টেমে ত্রুটি থাকাতে এখনি সব মামলার তথ্য বের করতে পারিনি।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test