E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

সংবিধান সংস্কারে যা যা থাকছে নাগরিক কমিটির প্রস্তাবে 

২০২৪ ডিসেম্বর ০৩ ১৮:২৯:১৬
সংবিধান সংস্কারে যা যা থাকছে নাগরিক কমিটির প্রস্তাবে 

স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার। এরপর থেকে একটি আলোচনা প্রায়ই ঘুরেফিরে আসছে। সেটি হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে স্বৈরাচারী মনোভাব যাতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আর জেঁকে না বসে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এবার অভ্যুত্থানকারী তরুণদের প্ল্যাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটি সংস্কারের পরিবর্তে নতুন করে সংবিধান পুনর্লিখনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে নিজেদের ৬৯ দফা লিখিত তুলে ধরে জাতীয় নাগরিক কমিটির ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

পরে নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বিদ্যমান সংবিধান বাতিল হয়ে গেছে। তাছাড়া এই সংবিধান দেখলে মনে হয় এটা আওয়ামী লীগের দলিল। এ জন্য এই সংবিধান সংস্কার বা সংশোধন নয়, সম্পূর্ণ নতুন করে সংবিধান রচনা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন সংবিধানে কেউ স্বৈরাচারী বা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারে, এমন কোনো সুযোগ রাখতে চাই না। এ ছাড়া সংবিধান রচনার পর গণপরিষদই রূপ নেবে আইনসভায়। সংবিধানে দুইবারের বেশি কোনো ব্যক্তির রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী না হওয়া এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের কথাও বলা হয়েছে আমাদের ৬৯ দফা প্রস্তাবনায়।

আখতার হোসেন বলেন, সংবিধানে প্রত্যেক জাতিসত্তার স্বীকৃতি থাকতে হবে। বাংলাদেশের নাগরিকগণ ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে পরিচিত হবে। সংবিধানে গণভোটের বিধান থাকতে হবে। গণভোট ছাড়া কেবলমাত্র আইনসভার দুই-তৃতীয়াংশের জোরে সংবিধান সংশোধন করা যাবে না।

নাগরিক কমিটির এই সদস্যসচিব আরও বলেন, সাংবিধানিক পদে থাকা কাউকে অপসারণের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে না রাখার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৭০ অনুচ্ছেদের কঠোরতা খর্ব করতে হবে। নির্বাহী বিভাগ পরিচালনা করবেন প্রধানমন্ত্রী, তবে নিয়োগের ক্ষমতা তার হাতে থাকবে না, এমন প্রস্তাবও আমরা রেখেছি।

জানা গেছে, জাতীয় নাগরিক কমিটি সংবিধানের পাঁচটি মূলনীতি প্রস্তাব করেছে। সেগুলো হলো—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, নাগরিক অধিকার ও গণতন্ত্র।

এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নে নাগরিক কমিটির প্রস্তাব হলো— রাষ্ট্রকে সরকারের নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপের বাইরে আনা গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার আর প্রয়োজন হবে না। তবে আগামী দুই নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে লিখিত প্রস্তাব জমাদানকালে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য সারোয়ার তুষার, মুকুল মুস্তাফিজ, জহিরুল ইসলাম, আতিক মুজাহিদ এবং সালেহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, এ সময় সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষে কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ, সদস্য ফিরোজ আহমেদ, মুস্তাইন জহির, সুমাইয়া খায়ের, মোহাম্মদ ইকরামুল হক, মইন আলম ফিরোজি ও ইমরান সিদ্দিকি উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test