E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

ড. ইউনূসের প্রতি ঐক্য পরিষদ ও পূজা পরিষদের খোলা চিঠি

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অবসানে দ্রুত পদক্ষেপ নিন

২০২৪ আগস্ট ০৯ ১৬:৫৯:৫২
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অবসানে দ্রুত পদক্ষেপ নিন

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ অন্তবর্তী সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি এক খোলা চিঠিতে সারাদেশে চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অবসানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নজরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ খোলা চিঠির বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

খোলা চিঠিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী সমাজ প্রতিষ্ঠা ও সংস্কারের লক্ষ্যে অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার বিজয় চূড়ান্ত লক্ষ্য অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু একটি বিশেষ গোষ্ঠী সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে তুলনাহীন সহিংসতা ছাড়িয়ে এ অর্জনকে কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। প্রাপ্ত সাংগঠনিক বিবরণ এবং গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী ইতোমধ্যে অন্তত ৫২টি জেলায় এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় হাজার হাজার হিন্দু পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। অনেক মন্দিরে হামলার পর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, অনেক মহিলা নিগৃহীত হয়েছেন। কয়েকটি স্থানে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। আক্রান্ত হয়েছে অন্য সংখ্যালঘুরাও। মূলত ৫ আগস্ট থেকে এ সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। সারাদেশে সংখ্যালঘুদের গভীর শঙ্কা, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমরা অবিলম্বে এই অবস্থার অবসান চাই।

খোলা চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘এই পরিস্থিতি আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতি, সম্মানিত সেনাপ্রধান, সংগ্রামী ছাত্র নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্মানিত নেতৃবৃন্দের কাছে আমাদের সীমাবদ্ধতা সত্তে¡ও জানানোর চেষ্টা করেছি। তাঁরাও তাঁদের বক্তব্য-ভাষণে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধে আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি গত তিন দিন ধরে গভীর শূণ্যতার মধ্যে পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। আর্তনাদ প্রলম্বিত হচ্ছে।’

খোলা চিঠিতে অবিলম্বে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের রক্তক্ষরণ অবসানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ বলেন, সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশে এ কয়েকদিনের সাম্প্রদায়িক হামলার যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা আংশিক। প্রতিদিনই হামলার খবর আসছে। আরো ভয়ংকর যে চিত্র উঠে আসছে, তা হলো হিন্দুদের রক্ষার নামে ব্যাপকভাবে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এতে সবচাইতে বিপন্ন সংখ্যালঘু ব্যবসায়ী সমাজ। দেশজুড়ে গভীর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক বাসুদেব ধর। খোলা চিঠির বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও। বক্তব্য রাখেন ঐক্য পরিষদের সভাপতিমÐলীর সদস্য এ্যাড. সুব্রত চৌধুরী ও রঞ্জন কর্মকার।

মঞ্চে ছিলেন ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, সভাপতিমÐলীর সদস্য যোসেফ সুধীন মণ্ডল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি জে এল ভৌমিক। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন কাজল দেবনাথ।

নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএন চ্যাটার্জী, এ্যাড.বিভাস চন্দ্র বিশ্বাস, এ্যাড. অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য, গোপাল চন্দ্র দেবনাথ, এ্যাড. কিশোর রঞ্জন মণ্ডল, রবীন্দ্রনাথ বসু, এ্যাড. দিপংকর ঘোষ এ্যাড. বিনয় কুমার ঘোষ বিটু, এ্যাড. কিশোর কুমার বসু রায় চৌধুরী, মতিলাল রায়, বলরাম বাহাদুর, সুবীর দত্ত, বীরেন অধিকারী, এ্যাড. উৎপল বিশ্বাস, শচীন্দ্র বাড়ৈ, ভিক্টর রে, জন অরুনেশ বাড়ৈ, মহেশলাল, ড. সন্তোষ কুমার দেব, হিল্লোল সরকার, পলাশ ভৌমিক, ঝলক চক্রবর্তী।

(পিআর/এসপি/আগস্ট ০৯, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৫ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test