E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

দুর্গতের পাশে সবসময় থাকেন শেখ হাসিনা

২০২৪ মে ৩০ ১৮:২৯:০৬
দুর্গতের পাশে সবসময় থাকেন শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের উপকূলীয় এলাকা সবসময় ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে থাকে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সবচেয়ে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় হয় ১৯৯১ সালের ২৪ এপ্রিল। সেই ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৬৬ জন। সেই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আটদিন পর মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক ডাকেন করণীয় নির্ধারণে। তবে তার আগেই তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ঘূর্ণিঝড় দুর্গত এলাকায়। তখন থেকেই যেকোনো দুর্যোগে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকারকে দ্রুত দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ের আবির্ভাব ঘটেছিল ১৯৯১ সালের ২৪ এপ্রিল। বঙ্গোপসাগরের গভীরে বৃহৎ এলাকা নিয়ে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়টি ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে। চট্টগ্রাম জেলার স্থলভাগের ওপর ঘূর্ণি বাতাসের গতি ওঠে ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটারে। ঘূর্ণিঝড়টি থেকে ৬ দশমিক ১ মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সমগ্র উপকূল রেখাকে প্লাবিত করে। এ ঘটনায় নিহত হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৬৬ জন। সেই সময় শুধু বাঁশখালীতেই নিহতের সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার এবং কুতুবদিয়া উপজেলায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। কিছু ছোট ছোট দ্বীপ একদম জনমানবশূন্য হয়ে পড়েছিল।

গোটা উপজেলার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছিল এবং সমস্ত গবাদি পশু মারা গিয়েছিল। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ বাড়ি ধ্বংস হয় এবং গৃহহীন হয়ে পড়ে ১ কোটি মানুষ। গ্রামের পর গ্রাম লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে অবশেষে ৩০ এপ্রিল ঝড়ের অবসান ঘটে।

সেই ঘূর্ণিঝড় থেমে যাওয়ার আটদিন পর করণীয় নির্ধারণে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সেই সময় ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩০ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড় থেমে যাওয়ার পর ৮ মে সাংবাদিকদের সামনে আসেন খালেদা জিয়া। তিনি তখন সাংবাদিকদের সামনে স্বীকার করেন, দুর্যোগের আট দিন পরও সরকার সহায়তার প্রয়োজনীয়তা এবং সংগ্রহ ও বিতরণের কৌশল সম্বলিত একটি মহাপরিকল্পনা সম্পন্ন করেনি। দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে তিনি বলেন, ‘মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে একটু সময় লেগেছে।’

তবে সেই সময় সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই ঘূর্ণিঝড় দুর্গত এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। সেখানে ত্রাণ সহায়তা দেন তিনি। জনগণকে সময়মতো সহায়তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার নৈতিক দায় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উচিত এবং অবিলম্বে পদত্যাগ করার দাবি জানান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের বিধ্বস্ত ভূখণ্ডে পদচারণার ছবি তাকে শোকাহত জাতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে যায়।

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিএনপি সরকারের ভুমিকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় আসার সময় যে ব্যবস্থা নিতে হবে, সে সময় বিএনপি সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যেহেতু আমাদের সংগঠন (আওয়ামী লীগ) সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে, আমি প্রথমে ফোন পাই। আমাদের চট্টগ্রাম, বিশেষ করে দক্ষিণের উপকূলীয় অঞ্চল পুরোপুরি তছনছ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ প্রথম ছুটে গিয়েছিল মানুষের কাছে। লাখ লাখ মানুষ মারা যায়, আমরা নিজ চোখে দেখেছি।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৬০ সাল থেকে ২০০৭ সালে সিডরের পর্যন্ত বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়গুলোকে 'সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম' বা প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০৭ সালে প্রথম স্পষ্ট নামকরণ করা হয়। ২২৩ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা এবং ১৫-২০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে নিয়ে আসা সেই ঘূর্ণিঝড় ছিল সিডর যাকে সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম উইথ কোর অব হারিকেন উইন্ডস (সিডর) নাম দেয়া হয়।

২০০৭ সালের সিডর, ২০০৯ সালের আইলা এবং করোনার মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এইসকলে দুর্যোগে আওয়ামী লীগ ও এই দলের নেতাকর্মীদের ভূমিকা ছিল অনন্য। ২০০৭ সালে তিনি যখন তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকারের মিথ্যা ও সাজানো মামলায় কারাবন্দী হন তখন এই বাংলাদেশে দুইটি ভয়াবহ দুর্যোগ আসে। জেলখানায় বসে ও তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। তিনি জেলখানায় থাকাবস্থায় ২০০৭ সালের আগস্ট মাসের শুরুর দিকে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করলে গভীর উদ্বেগ এবং দুঃখ প্রকাশ করেন।

একই বছরে দেশে ঘূর্ণিঝড় সিডর আঘাত হানলে তিনি জেলখানা থেকেই দেশে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দলমত নির্বিশেষে সবাইকে অসহায় মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানান। বন্দি থাকায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে না পারায় তিনি ব্যথিত হওয়ার কথাও জানান।

২০০৯ সালে উত্তর ভারত মহাসাগরে জন্ম নেওয়া দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে আইলা। ঘূর্ণিঝড়টি জন্ম নেয় ২১ মে ভারতের কলকাতা থেকে ৯৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে ২৫ মে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ ও ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাংশে। সিডরের মতোই আইলা প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় নিয়ে উপকূল অতিক্রম করে, পরে বাতাসের বেগ ৮০-১০০ কিলোমিটার হয়ে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি, সিডর থেকে তুলনামূলক কম হয়েছে।

বাংলাদেশে আইলা পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীর হাতিয়া, নিঝুম দ্বীপ, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় জানমালের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। আইলার প্রভাবে খুলনা ও সাতক্ষীরায় ৭১১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। এই দুই অঞ্চলে প্রাণ হারিয়েছে মোট ১৯৩ জন।

আইলায় প্রায় দুই লাখ একর কৃষিজমি নোনা পানিতে তলিয়ে যায়। আক্রান্ত এলাকাগুলোয় পানীয় জলের উৎস সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। দুই লাখ ৪৩ হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। পর পর দুই মৌসুম কৃষিকাজ না হওয়ায় প্রায় আট লাখ টন খাদ্যঘাটতি সৃষ্টি হয়, এমনকি সুন্দরবন অঞ্চলে বাংলার ২৬৫টি বাঘের আশ্রয় বিপন্ন হয়ে যায়। আইলার প্রভাবে নিঝুম দ্বীপ এলাকার সব পুকুরের পানিও লবণাক্ত হয়ে পড়েছিল।

আইলার ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা দুর্যোগকবলিত মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসে। আইলার পর দুর্গত এলাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার কয়রায় এক জনসভায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ উপকূলীয় অঞ্চলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনর্বাসন অভিযান তদারকির সময় ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সরকারি সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই সময় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় এক বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জীবন-জীবিকার উন্নয়নে কৃষি ফলন বৃদ্ধির পাশাপাশি পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদ উপখাতের সেক্টরে সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করে এইচসি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশে যোগ দেয় এবং সরকারি সহায়তার সুযোগ নিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের স্বাবলম্বী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। সেদিন বিধ্বস্ত এলাকার বর্তমান অবস্থা এবং খুলনা ও সাতক্ষীরার ক্ষতিগ্রস্ত চার উপজেলা পুনর্গঠন অভিযানের দৃশ্য দেখতে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে স্বল্প উচ্চতায় উড়ে যান প্রধানমন্ত্রী।

২০২০ সালে করোনা মহামারির মধ্যেই আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। লকডাউন পরিস্থিতে সরকারি ছুটির দিনেও সবসময় খোলা ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। অনলাইন ও অফলাইনে নিয়মিত ফাইল দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিয়েছেন। এছাড়াও মন্ত্রিসভা, একনেক, বাজেট, ৬৪ জেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়মিত সভা এবং জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রতি মুহূর্তে তথ্য নিচ্ছেন। তাঁর নির্দেশে ঈদের ছুটির মধ্যেও অফিসের সকলে সক্রিয় থাকবেন। সকাল থেকেই করোনা এবং ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি একই সাথে পর্যবেক্ষণ ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব জেলা উপজেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সকল মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সাথে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য।

শুধু ঘূর্ণিঝড় নয়, বন্যা দুর্গত এলাকাও পরিদর্শনে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২২ সালের ২১ জুন সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ সংলগ্ন এলাকার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ‘লো ফ্লাই মোড’ বজায় রেখে উড়তে থাকে।

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়। ফলে এলাকার উঠতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার কৃষকের জীবিকা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। বন্যায় সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের রেকর্ড বৃষ্টি চরম দুর্ভোগ নিয়ে আসে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মৌসুমের তৃতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জের অন্তত ৪০ লাখ মানুষ।

গত ২৬ মে মধ্যরাতে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। রিমালের আঘাতে উপকূলীয় এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে কয়েক লাখ মানুষ। রিমালের আঘাতে ৭ জেলায় ১৬ জন মারা গেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬৪ জন। রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা দিতে এবং সেসব এলাকা পরিদর্শনে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পটুয়াখালী সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত পটুয়াখালীর কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। কলাপাড়ার খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন হেলিপ্যাডে অবতরণের আগে ভূমির কাছাকাছি থেকে দুর্যোগ কবলিত এলাকা মঠবাড়ীয়া ও পাথরঘাটা পরিদর্শন করেন সরকারপ্রধান। এরপর প্রধানমন্ত্রী সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজে যান। ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি সেখানে তিনি দুর্গত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, বাঁধ দ্রুত মেরামতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে যে সব রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে, সেগুলো মেরামত করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সরকার প্রধান বলেন, যে বাঁধগুলো ভেঙে গেছে, সেগুলোও মেরামতের কাজ ইতোমধ্যে আমরা শুরু করে দিয়েছি। যাতে বর্ষার আগেই আমরা বাঁধগুলো নির্মাণ করে জলোচ্ছ্বাস বা পানির হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে পারি।

তিনি বলেন, আমি সাইক্লোন শেল্টার করেছি, সেখানে মানুষ আশ্রয় পেয়েছে। যারা গৃহহীন, তাদের দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দিয়েছি। যে কারণে মানুষ অন্তত আশ্রয়ের জায়গা পেয়েছে। পশুপাখি আশ্রয়ের ব্যবস্থা পেয়েছে। আমরা চাই দুর্যোগ থেকে এই এলাকার মানুষ যেন মুক্তি পায়। আমরা জানি, এই এলাকা সবসময়ই দুর্যোগপ্রবণ।’ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

(ওএস/এসপি/মে ৩০, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৮ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test