ক্ষতি জেনেও অধিক লাভের আশায় তামাক চাষে আগ্রহী রাজবাড়ীর কৃষক

একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের কৃষক হোসেন শেখ। রাস্তার পাশে স্ত্রী, সন্তানসহ মাঠ থেকে তোলা তামাক শুকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ১ একর ৫ শতাংশ জমিতে জীবনের প্রথম তামাক চাষ করেছেন হোসেন শেখ। ভালো ফলনে খুশি তিনি। তিনি বলেন, আমার মতো অনেক কৃষক এ বছর তামাকের চাষ করেছেন। রাজবাড়ীতে কৃষকদের কোনো ভাবেই ফেরানো যাচ্ছে না বিষাক্ত তামাক চাষ থেকে। বরং প্রতি বছর নতুন নতুন জমিতে তামাকের চাষ বেড়েই চলেছে। এতে মানবদেহের ক্ষতি ও জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে।
জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, রাজবাড়ী জেলায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২৫ হেক্টর, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৩ হেক্টর, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩০ হেক্টর, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২৫ হেক্টর জমিতে তামাকের আবাদ হয়। তবে বাস্তবে তামাক চাষের পরিমাণ এর কয়েকগুন বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তামাক চাষে উৎসাহ দিতে কৃষকদের সার, বীজ, কীটনাশক সহ যা প্রয়োজন তা দিচ্ছেন তামাক কোম্পানীগুলো। জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে রাজবাড়ী সদর উপজেলায় তামাকের আবাদ বেশি।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার চর নারায়ণপুর, গোপীনাথপুর, কাকিলা দাইড়, জৌকুড়াঘাট ও কালুখালী উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ফসলি জমিতে তামাকের আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি তামাকের আবাদ হয়েছে চরাঞ্চলে। বিগত বছর যেসব জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছিল সেসব জমিতে এ বছর তামাকের চাষ করা হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে তামাক চাষ নিয়ে কথা হয়। তারা বলেন, তামাক চাষের শুরুতে বেশ সুবিধা পাওয়া যায়। বিশেষ করে কোম্পানি সার ও অর্থ দেয়। বিক্রি করার সময় কোনো ঝামেলা নেই। যে কারণে দিন দিন তামাক চাষ বাড়ছে।
চরনারায়নপুরের তামাক চাষি আসলাম বলেন, পেঁয়াজ, রসুন চাষ করে লাভ হয়নি। ভুট্টার ফলন এখানে ভালো হয় না। তাই তামাক চাষ করেছি। গত বছরের থেকে এবছর ৩০ শতাংশ জমিতে বেশি লাগিয়েছি তামাক।
তামাক চাষী রহিম সরদার বলেন, অন্য সবকিছুর থেকে তামাক চাষে লাভ৷ অন্য ফসলে অনেক খরচ সেই তুলনায় তামাকে খরচ কম। গত বছর ৫০ শতাংশ জমিতে তামাক লাগিয়েছিলাম। লাভ হওয়াতে এবছরে ৯০ শতাংশ তামাক লাগিয়েছি। একটু জমিতে মরিচ লাগিয়েছিলাম সেটাতে লোকসান হয়েছে। সেই জমিতে যদি তামাক লাগাতাম তাহলে ৪০ হাজার টাকা পেতাম।
তামাক চাষী জালাল বিশ্বাস বলেন, আগে পেঁয়াজ, রসুন, গম, ভুট্টা লাগাতাম। সেগুলো লাভবান খুব বেশি হতাম না। অনেক সময় লোকসান হতো। তামাক চাষে লাভবান হওয়াতে তামাক চাষ করছি। এই তামাক চাষে খরচ খুবই কম। তামাক পাতা ক্ষেত থেকে তুলে বাড়িতে এনে ছোট-বড় সবার সহযোগিতায় শুকানোর কাজ করা যায়। এতে অতিরিক্ত শ্রমিক খরচ হয় না। এছাড়া কোম্পানি আমাদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, তামাক একটি মাদকদ্রব্য জাতীয় ফসল। এটি চাষে আইনগতভাবে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা নেই। কৃষক তার ইচ্ছানুযায়ী ফসল চাষাবাদ করেন। তামাক চাষে জমির উর্বরতা শক্তি মারাত্মকভাবে কমে যাচ্ছে। একই জমিতে কয়েক বছর তামাকের চাষ করার ফলে জমিতে বিশেষ ধরনের আগাছা জন্মে। এ আগাছা জমিতে একবার জন্মালে সে জমিতে আর কখনো অন্য ফসল চাষ করা সম্ভব হয়না। আমরা কৃষকদের তামাকজাত ফসলের পরিবর্তে উচ্চমূল্যের ফসল চাষাবাদে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। তারপরও বিভিন্ন কোম্পানির আর্থিক সহযোগিতায় কৃষক এই ফসল উৎপাদন করছে। কৃষি বিভাগ চেষ্টা করছে তামাক চাষ কমিয়ে আনার জন্য।
রাজবাড়ী জেলা সিভিল সার্জন ডা. এস.এম মাসুদ বলেন, আমরা জানি তামাক স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। তামাকে উপকারী কিছু নেই। তামাক চাষে যে ক্ষতি হয় তা হলো কৃষিজমির। তামাক শুকিয়ে যাওয়ার পর এর গন্ধ বা তামাক পোড়ালে এর ধোঁয়া শরীরের এমন কোনো অঙ্গ নেই যার ক্ষতি করে না। ফুসফুসের ক্ষতি হয়। মুখে ঘা হতে পারে। এমনকী মরণব্যাধি ক্যানসারের কারণ হতে পারে তামাক।’
(একে/এসপি/এপ্রিল ১৯, ২০২৫)
পাঠকের মতামত:
- ‘ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যুদ্ধে শতাধিক শত্রুসেনা নিহত হয়’
- নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ
- শেষ মুহূর্তের রোমাঞ্চে হেরেও বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
- আবারও সোনার দামে রেকর্ড, ভরি ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা
- সালথায় যুবকের লাশ উদ্ধার
- পাংশায় ইয়াবাসহ দুই সহোদর আটক
- আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ সুন্দরবনের দুই বনদস্যু আটক
- বাগেরহাটে বাস-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে ছেলে নিহত, বাবাসহ আহত ৩
- ক্ষতি জেনেও অধিক লাভের আশায় তামাক চাষে আগ্রহী রাজবাড়ীর কৃষক
- পদ্মা নদী থেকে জেলের মরদেহ উদ্ধার
- স্কাউটিং বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কোর্স উদ্বোধন
- মারামারি ঠেকাতে গিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
- সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
- বিজিবি’র কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
- শ্রীমঙ্গল কিডস ইংলিশ জোন’র সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট বিতরণ
- বাংলাবান্ধার জিরো পয়েন্ট এলাকার সৌন্দর্য বর্ধন কাজের উদ্বোধন
- মাদারীপুর জেলা হাসপাতাল থেকে ৬ মাসের শিশু চুরির অভিযোগ
- ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে গর্ভপাত, ধর্ষক গ্রেফতার
- সংগীতের প্রতি অনেক ভালোবাসা চৈতী সাহার
- সালথায় অভিযানের পরও কুমার নদী থেকে চলছে বালু উত্তোলন
- শ্যামনগরে গাঁজা ও নগদ টাকাসহ গ্রেফতার ৩
- কর্ণফুলীতে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য: ওয়াকফ জমির মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ
- বড়াইগ্রামে যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
- জামিনে বেরোনোর একদিন পর আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- বরিশাল নগরীর হাটবাজারে বাড়তি খাজনা আদায়ে অসন্তোষ
- গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রাজপথে নামার আহ্বান সারজিসের
- ‘মার্কিন শুল্কের প্রভাব সামাল দেওয়া কঠিন হবে না’
- সাত দিনে ঢাকা ছেড়েছেন ১ কোটি ৭ লাখ সিমধারী, ঢুকেছেন ৪৪ লাখ
- ২০৩৫ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক যুক্তরাজ্য
- প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড, ২৪ দিনেই এলো ২৭০ কোটি ডলার
- প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল ১৪ ডিসেম্বর
- হাজারো মানুষের তারুণ্যের জাগরণ ‘অনন্যা’
- মেঘনা থেকে ১২ লাখ টাকার অবৈধ জাল জব্দ
- সন্ত্রাস! আর যেন প্রশ্রয় না পায়
- দেবহাটায় মন্দিরের রেলিং ও প্রাচীর রাতের আঁধারে ভেঙে গুড়িয়ে দিলো প্রতিপক্ষরা
- ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সাংবাদিককে হত্যা চেষ্টা
- ধান ক্ষেত থেকে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার
- ২৮ দিনেও উদ্ধার হয়নি ভিকটিম, গ্রেপ্তার হয়নি কেউ
- দুই দিনে ঢাকা ছেড়েছেন ৪১ লাখ সিমধারী
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং, বাংলাদেশ নিয়ে যা বললেন মুখপাত্র
- কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে ১০ কেজি ওজনের অজগর অবমুক্ত
- নড়াইলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর এখন কোচিং সেন্টার
- সালথায় গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা
- এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল তুরস্ক
- পঞ্চগড়ে সেহরিতে ডাকাডাকির ঘটনায় মাদ্রাসায় হামলা, আহত ১৬