E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

মাগুরায় ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বেড়েছে 

২০২৪ জুন ২৪ ১৭:৪১:২৩
মাগুরায় ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বেড়েছে 

বিশ্বজিৎ সিংহ রায়, মাগুরা : মাগুরায় উন্নত জাতের ড্রাগন ফল ও খেজুর সহ অন্যান্য ফল চাষে আগ্রহ বেড়েছে। মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়া মোড়া ইউনিয়নের গাংনী গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী ইজাজুল হক।নিজের বাড়ির পাশে অনেকটা সখ করে ১০ একর জমিতে প্রায় ১৬ হাজার ড্রাগন গাছ তৈরি করেছেন। বেস্ট এগ্রো এ ফার্ম এটির নাম দিয়েছেন। জুন মাসের শেষ দিকে ড্রাগন ফল পাকা শুরু এবং পাওয়া যাবে ডিসেম্বর পর্যন্ত। ভিয়েতনাম, সাদা ও হলুদ জাতের ড্রাগন তার ফার্মে ফুল থেকে ফল এসেছে। একটি পিলারের ৪টি ড্রাগন গাছে ১৫ থেকে ২০ কেজি ফল পাওয়া যাবে বলে তিনি ধারনা করছেন। প্রতি কেজি ফল ২শ থেকে ৩শ টাকা কেজি দামে বিক্রয় হবে।

ঢাকা, যশোর, খুলনা ফরিদপুর, অন্যান্য স্থানে পাইকারি বিক্রয় করা হয়। বেস্ট এগ্রো ফার্মের মালিকের ভাই কাজী মোঃ মহিদুল হক জানান, আমরা সৌদি আরব থেকে আরো ৫টি জাতের খেজুর এনে চাষ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে বারহি, খালাস,আর্জুয়া, শুকারীসহ উন্নত জাতের খেজুর। প্রতি কেজি খেজুর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দামে পাইকারি বিক্রয় করা হয়। এবার৭৬ টি গাছে খেজুর ধরেছে জুলাই মাসের দিকে পাকবে। এছাড়া বারি ওয়ান মালটা ৬ শত গাছে ফল এসেছে। স্থানীয়ভাবে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রয় করা হবে।

মাগুরা সদর উপজেলার সত্যবানপুর গ্রামের কে.এম. সিদ্দিকুর রহমান অবসরপ্রাপ্ত কাস্টম সুপারেনটেনডেন্ট এই প্রথম নিজ বাড়ির সামনে ১১ বিঘা জমিতে পিংরোজ জাতের ড্রাগন ফল চাষ করেছেন।অধিক ফলনের আশা দেখছেন তিনি। এ পেশায় যারা আসে তারা লাভবান হবে।

মাগুরা শালিখা উপজেলার মনোখালী গ্রামে ২ একর জমির উপর ফ্রান্স প্রবাসী মোঃ আনিসুর রহমান অলিফ এগ্রো ফার্মে চার জাতের ড্রাগন চাষ শুরু করেছেন। রেড ভেলভেট, আমেরিকান বিউটি, শ্রীলঙ্কার জাম্বুরা ও বারিওয়ান।

এ বিষয়ে মুঠো ফোনে কথা হয় ফ্রান্স প্রবাসী আনিসুর রহমানের সাথে তিনি জানান, কৃষি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। ড্রাগন ফলে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে এবং এলাকার বেকারদের যুবকদের কর্মসংস্থান করতে মোট ৪ বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেছি। এর মধ্যে মনোখালী ২ একরে ড্রাগন ফল ধরা শুরু হয়েছে। এবং গঙ্গারামপুরে ২ একর জমিতে নতুন আরেকটি প্রজেক্ট তৈরী করেছি। প্রতি বছরে ৮ বার ফল আসে সিজনে ১০ লক্ষ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রয় করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

সবার দেখাদেখি গোপাল গ্রাম ইউনিয়নের বাহারবাগ গ্রামের মোঃ আবুল বাশার ড্রাগন ফল চাষ শুরু করেছেন। ফল চাষ লাভ জনক হওয়ায়,মাগুরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় নানান ধরনের ফলের চাষ ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন। এতে করে একদিকে মানব দেহের উপকার হবে।অন্যদিকে এলাকার বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে।

(বিএস/এসপি/জুন ২৪ ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test