E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ম্যালেরিয়া রোগ নিয়ে আতঙ্ক নয় প্রয়োজন সচেতনতা 

২০২৫ এপ্রিল ২৪ ১৯:১৩:০১
ম্যালেরিয়া রোগ নিয়ে আতঙ্ক নয় প্রয়োজন সচেতনতা 

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ


শুক্রবার বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস ২০২৫। আফ্রিকায় ২০০১ সালের ২৫ এপ্রিল প্রথম ম্যালেরিয়া দিবস পালন করা হয়। এরপর ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলির ৬০তম অধিবেশনে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসের প্রস্তাবনা করা হয়। এর পর থেকে প্রতি বছর ২৫ এপ্রিল দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে।

ম্যালেরিয়া শব্দের অর্থ দূষিত বাতাস। ম্যালেরিয়া হল মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীদের একটি মশা-বাহিত সংক্রামক রোগ যার মূলে রয়েছে প্লাজমোডিয়াম গোত্রের প্রোটিস্টা (এক ধরনের অণুজীব)। ম‍্যালেরিয়া শব্দটি সর্বপ্রথম ব‍্যবহার করেন (১৭৫৩)। ইতালিয় শব্দ দূষিত -বায়ু হতে ম্যালেরিয়া শব্দটি এসেছে। তখন মানুষ মনে করতো দূষিত বায়ু সেবনে এ রোগ হয়।

১৮৮০ সাল নাগাদ চার্লস ল্যাভেরন লোহিত রক্ত কণিকা থেকে ম্যালেরিয়ার কারণ হিসেবে একটি মাত্র কোষবিশিষ্ট পরজীবী প্রোটোজোয়াকে চিহ্নিত করেন। ফলে শত বছর ধরে চলা দূষিত বায়ু সেবনের ফলে রোগ সৃষ্টির ভুল ধারণার অবসান ঘটে। ১৮৯৭ সালে ভারতে কর্মরত ব্রিটিশ ডাক্তার স‍্যার রোনাল্ড রস প্রমান করেন যে (অ্যানোফিলিস) মশা এই রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে। এ যুগান্তকারী আবিষ্কারের কারণে তাকে ১৯০২ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।

এটি একটি সংক্রমিত স্ত্রী মশার (আনোফেলিস মশা) কামড়ের সাথে শুরু হয়, যা তার লালার মাধ্যমে প্রোটিস্টর সংবহন তন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করে এবং শেষে যকৃতে পৌছায়, যেখানে তারা পরিপক্ক হয় এবং বংশবৃদ্ধি করে। ম্যালেরিয়ার সাধারণ রোগের লক্ষণসমূহ হল জ্বর এবং মাথা ব্যাথা, যা খুব গুরুতর ক্ষেত্রে কোমা বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

বিশ্বের অন্যতম পুরনো এবং অন্যতম প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগ এই ম্যালেরিয়া। মশাবাহিত এ রোগে প্রতি বছর মোটামুটি ২৩ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়, তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।

এসব মৃত্যুর ৯৫ শতাংশই ঘটে সাব সাহারা আফ্রিকায়। তাদের মধ্যে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি।

২০১৬ সালে বিশ্বজুড়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ায় প্রাণ হারিয়েছে। মশাবাহিত এই রোগটির প্রাদুর্ভাব ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায় মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত।

আর বাংলাদেশে ১ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার মানুষ ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ১৩ জেলায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি। প্রতি বছর এ রোগে অসুস্থতা এবং মৃত্যুর প্রায় ৯৮ শতাংশ এই ১৩ জেলায় হয়ে থাকে।

জেলাগুলো রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, শেরপুর ও কুড়িগ্রাম।

এক্ষেত্রে ম্যালেরিয়ার উচ্চপ্রবণ এলাকা পার্বত্য অঞ্চলের রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা। মধ্যপ্রবণ কক্সবাজার এবং বাকি নয়টি জেলা নিম্নপ্রবণ জেলা। তাছাড়া ম্যালেরিয়া প্রবণ উপজেলা রয়েছে ৭১টি।

২০১৭ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে বিশ্বে ৯১টি ম্যালেরিয়া প্রবণ দেশ রয়েছে। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত সর্বমোট রোগীর সংখ্যা ২১৬ মিলিয়ন। তবে ২০১০ সালের তুলনায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমেছে ১৮ শতাংশ। এই সময়ে বিশ্বে ম্যালেরিয়াজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লাখ ৪৫ হাজার। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন, ঝুঁকিতে ১ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন এবং ম্যালেরিয়াজনিত মৃত্যু সংখ্যা ৫৫৭ জন। একই সময়ে বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত হয়েছিল ২৯ হাজার ২৪৭ জন। এর মধ্যে উচ্চপ্রবণ এলাকায় ছিল ৯৩ শতাংশ। মৃত্যুবরণ করেছে ১৩ জন। আর স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবমতে ২০১৮ সালে এ পর্যন্ত ৪৫৬ জন আক্রান্ত হয়ে ছয়জন মৃত্যুবরণ করেছে।

কীভাবে ছড়ায় ম্যালেরিয়া?

দুই প্রজাতির মশার মধ্যে স্ত্রী এনোফিলিস মশার কামড়ে দেহে প্রবেশ করে স্যালাইভা। তারপর প্রোটিস্ট নামক অনুজীবের মাধ্যমে রক্তে ছড়িয়ে পড়ে পরজীবি। এর ফলে দেখা দেয় ম্যালেরিয়া।

সাধারণত ফলমূলের রস মশার খাবার হলেও গর্ভকালে পুষ্টির জন্য দরকার হয় রক্তের। এক্ষেত্রে এনোফিলিসের প্রথম পছন্দ মানবদেহ। মশার কামড়ে এই রোগটি হয় এবং জ্বর এ রোগের প্রধান লক্ষণ। তাই ম্যালেরিয়া জ্বর নামেই প্রচলিত রোগটি।

ম্যালেরিয়া হওয়ার কারণ

ম্যালেরিয়া হচ্ছে মশাবাহিত প্লাজমোডিয়াম পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট রোগ। এটি কেবল সংক্রমিত স্ত্রী অ্যানোফেলিস মশার কামড়ে হয়। এ পর্যন্ত ৬০ এর অধিক প্রজাতির ম্যালেরিয়া পরজীবী আবিষ্কার করা সম্ভব হলেও এর মধ্যে ৪টি প্রজাতি মানুষের ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী।

প্লাজমোডিয়াম ভাইভাক্স, ফ্যালসিপ্যারাম, ম্যালেরি ও ওভাল-এর যেকোনো একটি জীবাণু বহনকারী মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া হতে পারে। এর মধ্যে ফ্যালসিপ্যারাম ম্যালেরিয়ার সবচেয়ে মারাত্মক। যা মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। সংক্রমিত মশা যখন কোনো ব্যক্তিকে কামড়ায়; তখন ওই ব্যক্তির রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্রবেশ করে এবং সে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়।

কেন এই রোগটি মারাত্মক?

মশার দ্বারা সংক্রমিত ম্যালেরিয়া রোগটি কিভাবে প্রাণঘাতী রোগ হয়ে উঠলো, এ বিষয়ের অজানা তথ্য উঠে এসেছে রোগটির ওপর জেনেটিক গবেষণায়। ক্যামব্রিজের ওয়েলকাম স্যাংগার ইন্সটিটিউটের গবেষকদের নেতৃত্বে এক গবেষণায় জানা যায়, এ পরজীবীটির বংশতালিকা অনুযায়ী ৭ ধরনের ম্যালেরিয়ার বিষয়ে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

সেখানে তারা দেখতে পেয়েছেন, প্রায় ৫০ হাজার বছর আগে এই জীবাণুটি রূপান্তরিত হয়ে রোগের নতুন একটি শাখায় রূপান্তরিত হয়। যা মানব জাতির জন্য মারাত্মক সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নেচার মাইক্রোবায়োলজি নামে জার্নালে এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণসমূহ

১. নির্দিষ্ট সময় পরপর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা এ রোগের প্রধান লক্ষণ। জ্বর সাধারণত ১০৫-১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে।

২. নিয়মিত ও নির্দিষ্ট বিরতিতে জ্বর আসা-যাওয়া করে; যেমন- একদিন পর পর জ্বর, তা ৩-৪ দীর্ঘ হওয়া এবং এরপর ঘাম দিয়ে জ্বর কমে যায়।

৩. জ্বর ছেড়ে গেলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যেতে পারে।

৪. এ ছাড়াও মাঝারি থেকে তীব্র কাঁপুনি বা শীত শীত অনুভব, গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা, মাথাব্যথা, অনিদ্রা দেখা দেয়।

৫. সেইসঙ্গে খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া বা ক্ষুধামন্দা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমিবমি ভাব অথবা বমি, হজমে গোলযোগে ভোগে রোগী।

৬. অত্যধিক ঘাম হওয়া, খিঁচুনি, পিপাসা লাগা, ক্লান্তি বা অবসাদ অনুভব করা, মাংসপেশি, তলপেটে ব্যথা অনুভব, প্লীহা ও যকৃত বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।

৭. ম্যালেরিয়া হলে লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংস হওয়ার কারণে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

৮. ম্যালেরিয়া রোগের জটিলতম ধরন হলো ‘ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়া’। সাধারণ ম্যালেরিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখে দেয়।

যেমন- রক্তশূন্যতা, কিডনি বৈকল্য, শ্বাসকষ্ট হওয়া, জন্ডিস, খিঁচুনি, রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়। জরুরি চিকিৎ সা না পেলে এসব রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে, এমন কি মৃত্যুও হতে পারে।

রোগ নির্ণয় ও ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা

ম্যালেরিয়া সন্দেহ হলে অবশ্যই আগে পরীক্ষা করাতে হবে। যদি ম্যালেরিয়া ধরা না পড়ে; তাহলে পরপর তিন দিন পরীক্ষাটি করতে হবে। যদি ম্যালেরিয়া শনাক্ত হয়; তাহলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

হোমিও প্রতিকার

হোমিও চিকিৎসক মাত্রেই জানেন যে সব রোগ সাদৃশ্য লক্ষণ নিয়ে বারবার ফিরে আসে তার মধ্যে সোরা সিফিলিস ও সাইকোসিস প্রভৃতির কোন একটির বা একাধিক রোগ-বীজ লুকিয়ে থাকে। হ্যানিম্যান তাঁর ‘অর্গানন অব মেডিসিন’ বইতে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। ম্যালেরিয়া রোগে সোরাঘটিত রোগবীজ প্রবল থাকে। তাই নির্বাচিত ওষুধের সঙ্গে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সোরা দোষনাশক ওষুধ, যেমন-হিপার সাল্ফ অথবা সালফার দিতে হবে। ম্যালেরিয়া চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি বিষয় কঠোরভাবে মেনে চলা উচিত- জ্বর আসার আগের মুহুর্তে রোগীকে কখনও ওষুধ খাওয়ানো চলবে না। যখন জ্বর কমতে শুরু করবে সেই মুহূর্তটি ওষুধ প্রয়োগের উপযুক্ত সময়। জ্বরের পূর্বে ওষুধ প্রয়োগ করলে ওষুধের ক্রিয়া এবং রোগের স্বাভাবিক গতির সাথে মিলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় যে তাতে রোগীর জীবনহানি না হলেও খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসক বা পরিবারের লোকজনের নির্বুদ্ধিতার জন্য রোগীর মৃত্যু ঘটে। ম্যালেরিয়া সৃষ্টিকারী বিভিন্ন প্রকারের জীবাণু রয়েছে। আমাদের দেশে প্লাসমোডিয়াম ম্যালেরি, প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স এবং প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম -এই তিন প্রকার জীবাণু দেখা যায়। বিভিন্ন অঞ্চলে প্লাসমোডিয়াম ম্যালেরি ও প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্সঘটিত ম্যালেরিয়াই বেশি। এই দুই ম্যালেরিয়ার প্রতিরোধক হিসেবে চায়না-২০০ এবং সালফার-২০০ বেশ ভাল ফল দিচ্ছে। রোগের পরবর্তী দুর্বলতা দূর করতে অ্যালস্টেনিয়া-কিউ ও কালমেঘ-মাদার টনিকের মত ব্যবহার করা যেতে পারে।

ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে যা করবেন

১. ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের জন্য এখন পর্যন্ত এ্যালোপ্যাথিতে কার্যকর কোনো টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। তবে এ রোগ সম্পূর্ণ আরোগ্য সম্ভব হোমিওপ্যাথিতে।

২. মশাবাহিত রোগ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হলে সচেতন থাকতে হবে। মশার কামড় থেকে দূরে থাকাই এ রোগ প্রতিরোধের উপায়।

৩. এজন্য দিনে বা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি বা কয়েল ব্যবহার করতে হবে।

৪. দরজা-জানালায় জাল, প্রতিরোধক ক্রিম, স্প্রে ব্যবহার করুন।

৫. ঘরের আশপাশে কোথাও যেন পানি জমে মশা বংশবিস্তার না করতে পারে; সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৬. এ ছাড়াও জলাবদ্ধ এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার কররতে হবে। কারণ জমা পানিতে মশা ডিম পাড়ে বেশি।

৭. মশাবহুল স্থানে কীটনাশক বা কেরোসিন ছিটিয়ে দিন।

৮. ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকায় ঘুরতে গেলে, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ওষুধ সঙ্গে রাখুন।

ম্যালেরিয়া থেকে সেরে ওঠার পর পরামর্শ

ম্যালেরিয়ার ফলে শরীর ভেঙে যায়। সেরে ওঠার সময় পেশি পুনর্গঠন খুবই জরুরি। তাই এ সময় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। ডিম, দুধ, দই, লাচ্ছির সঙ্গে সঙ্গে তেল মসলা ছাড়া সিদ্ধ করা মাছ, মাংসের স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত ফ্যাটসমৃদ্ধ দুগ্ধজাত খাদ্য ও প্রক্রিয়াজাত মাংস এ সময় খাওয়া ঠিক না।

ম্যালেরিয়া থেকে সেরে উঠতে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি অত্যন্ত জরুরি। পেঁপে, বিট, গাজরের মতো সবজিতে মেলে ভিটামিন এ। আর বিভিন্ন ধরনের লেবুতে পাওয়া যায় ভিটামিন সি। অনেকেই পথ্য হিসেবে ওষুধের মতো করেই বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খান। বিটের রস ম্যালেরিয়া রোগীদের জন্য বিশেষ উপযোগী।

পরিশেষে, উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। ম্যালেরিয়া রোগে অধিকাংশ মৃত্যুর কারণ হলো সময়মতো রোগ শনাক্ত না হওয়া এবং চিকিৎসায় বিলম্ব। সে জন্য জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে, জটিলতা সৃষ্টির আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। তাই এই বছর ১৮ তম বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস এবং ম্যালেরিয়ার বিধ্বংসী প্রভাবের থেকে নিজেদের রক্ষার উপযুক্ত সময়। সরকার, দাতা সংস্থা, স্বাস্থ্য অধিদফতর, এনজিও, গবেষক ও নাগরিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল করা সম্ভব।

লেখক : চিকিৎসক, কলাম লেখক ও গবেষক, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test