১০ এপ্রিল বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান'র ২৭০তম জন্মবার্ষিকী

ডা: মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস ২০২৫। প্রতিপাদ্য— হোমিওপ্যাথি এক স্বাস্থ্য, এক পরিবার। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান'র ২৭০ তম জন্মবার্ষিকীর দিনে পৃথিবীব্যাপী এ দিবসটি পালন করা হয়। ২০০৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী হ্যানিমেনের জন্মদিন ‘বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তবে ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশে যাত্রা শুরু বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবসের এবং বিশ্ব হোমিওপ্যাথি আন্দোলনে যুক্ত হয় বাংলাদেশ। আমরা সবাই জানি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাবিজ্ঞানের জন্ম জার্মানিতে।
বিজ্ঞানী ডা: স্যামুয়েল হানেমানের আবিষ্কারক (১০ এপ্রিল ১৭৫৫ থেকে ২ জুলাই ১৮৪৩ ছিল তার জীবনকাল)। তিনিই প্রথম চিকিৎসাবিজ্ঞানী যিনি ভেষজ বস্তুকে শক্তিকরণ করে তা সুস্থ মানবদেহে পরীক্ষার মাধ্যমে ওষুধের রোগজ শক্তির আবিষ্কার করেন, যা তার আগে কোনো বিজ্ঞানী করেননি। তাই আমরা তাকে শ্রদ্ধা করি বিপ্লবী বিজ্ঞানী হিসেবে। বিপ্লবী এ বিজ্ঞানীর জন্মবার্ষিকী বিশ্বব্যাপী পালিত হয়, এই দিনে পৃথিবীর আর কোনো বিজ্ঞানীর জন্মদিন এভাবে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় না। ২০০৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী হানেমানের জন্মদিন পালিত হচ্ছে বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস হিসেবে। বিজ্ঞানে কৃত্রিম রোগ আবিষ্কার স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। ১৭৯০ সালে পৃথিবীর মানুষ প্রথম জানতে পারে তার আবিষ্কারের কথা।হানেমান নিজের নিজের দেহে ১৩০টি মেডিসিন প্রুভ করেছেন।
সর্ব প্রথম মানবদেহে হোমিওপ্যাথি মেডিসিন পরিক্ষা করা হয়েছে। পেরুভিয়ান কফি বা সিষ্কোকা গাছের বাকল নিয়ে গবেষণা করতে করতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার উদ্ভব হয়। পৃথিবীর কনিষ্টতম চিকিৎসা পদ্ধতি হলো হোমিওপ্যাথি। ঔষধ পরীক্ষার পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার নিয়ম নীতি প্রকাশ করেন ১৮১০ সনে। অর্গানন নামে যার পরিচিতি চিকিৎসক মহলে। তার জীবনের শেষ পর্যায়ে অর্গানন ৬ষ্ঠ সংস্করন সমাপ্ত করেন। বইটির আধুনিক ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয় ১৮৮২ সালে হানেমান ফাউন্ডেশন,আমেরিকা থেকে। হোমিওপ্যাথির জন্ম জার্মানীতে।বিকাশ ফ্রান্সে, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বৃটেন ১৮০৫ সনে। আর সারাবিশ্বে এ্যালোপ্যাথির পরেই দ্বিতীয় প্রধান এবং অল্টারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে হোমিওপ্যাথি। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিটি জার্মান বিজ্ঞানী ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান কর্তৃক ১৭৯৬ সালে আবিষ্কৃত হয়। এটি বিগত ২৩০ বছর ধরে মানবসেবায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু এর জন্মলগ্ন থেকেই এটি নানা প্রতিকুলতা ও ভ্রান্তির বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে আছে। হোমিওপ্যাথি নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন সমালোচনা করে থাকেন যে, এটি ধীরে কাজ করে, জটিল রোগে ব্যর্থ, প্লাসিবো ইফেক্ট, এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই ইত্যাদি। কিন্তু আমরা যারা সমালোচক তারা বেশিরভাগই গবেষণা বা সঠিক ধারণা না নিয়েই হোমিওপ্যাথির ওপর বিষেদগার প্রকাশ করি।
আমি জানি না, মানি না বা মানবো না তাই বলে ব্যাপারটি যে সত্য ও ফলপ্রসূ নয় এমনটি ধারণা করা নিছক বোকার স্বর্গে বসবাস করারই নামান্তর নয়কি? যে ব্যবস্থাটি বিগত ২৩০ বছর ধরে মানবসেবায় নিয়োজিত আছে সেটি যে অবৈজ্ঞানিক এমনটি ধারণা করা কি ঠিক? ফল না থাকলে কিভাবে মানুষ ফল ভোগ করছে এবং কিভাবে সেটি এখনও টিকে আছে পৃথিবীর বুকে?
হোমিওপ্যথি নিয়ে সবচেয়ে প্রচলিত ধারণা এটি ধীরে কাজ করে। এটি নিয়ে অনেকেই একটা কথা বলে থাকেন “যার নাই কোনো গতি সে খায় হোমিওপ্যাথি”। এই ধারণা থেকে বোঝা যায় মানুষ কখন হোমিওপ্যাথির কাছে যায়। একটা রোগী যখন সব চিকিৎসা শেষ করে আর কোনো উপায় খুঁজে পায় না, যখন সে স্টেরয়েড, এন্টিবায়েটিক ইত্যাদি খেয়ে নিজের রোগটি আর রোগের পর্যায়ে রাখে না, যখন সে নিজেই একটা মেডিসিনাল রোগে পরিণত হয় তখনই হোমিওপ্যাথ খোঁজে। কিন্তু এমতাবস্থায় হোমিওপ্যাথির তেমন কি বা করার থাকে। তবু অনেক ক্ষেত্রেই সফলতার সাথে এসব জটিলরোগীকে চিকিৎসা দিয়ে আসছে। কিন্তু এই রোগীরাই যদি রোগের প্রারম্ভে হোমিওপ্যাথির শরণাপন্ন হতেন তাহলে রোগটি অল্প সময়ে তুলনামূলক কম খরচে ভালো হয়ে যেত। বিভিন্ন রকম জটিল সমস্যা যা প্রচলিত চিকিৎসায় সার্জারি করতে হয় অথবা সারাজীবন ওষুধ খেতে হয় যেমন, টনসিলাইটিস, পলিপাস, বিভিন্ন ধরনের টিউমার এমনকি ব্রেন টিউমার, লিম্ফোমা, একজিমা, সোরিয়াসিস, এ্যাজমা, অষ্টিওআর্থাইটিস, হাড় বৃদ্ধি, হাড় ক্ষয় যাওয়া, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, বাতজ্বর, হার্ট, কিডনি, লিভারের জটিল সমস্যা ইত্যাদি। সে ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথরা যদি কয়েকবছরেও রোগীকে সুস্থ করতে সক্ষম হয় সেটিকে কি বেশি সময় লাগে বলা হবে? নাকি বলা হবে হোমিওপ্যাথি ধীরে কাজ করে? যেখানে প্রচলিত চিকিৎসাই ব্যর্থ।
অনেকেই ভাবেন হো্মিওপ্যাথরা ব্যাকডেটেড। তারা ডায়াগনোসিস নির্ভর চিকিৎসা করে না, টেস্ট করায় না ইত্যাদি। কিন্তু তারা হয়তো জানেন না বাংলাদেশেই ঢাকা ইউনিভার্সিটির অধীনে বি,এইচ,এম,এস (ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি) নামক একটি কোর্স চালু হয়েছে ১৯৮৯ সালে। কোর্সটিতে ৫ বছরের একাডেমিক এবং ১ বছরের ইন্টার্নি করতে হয়। এমবিবিএস কোর্সের সিলেবাসের এনাটমি, ফিজিওলজি, প্যাথলজি, কমিউনিটি মেডিসিন, ফরেনসিক মেডিসিন, গাইনি, অবস ও সার্জারি বিষয়গুলো এখানে এমবিবিএসদের মাধ্যমেই অধ্যায়ন করানো হয়। এই কোর্সে বিভিন্ন টেস্ট ও রোগের ডায়াগনোসিস, প্রোগনোসিস গুরুত্ব সহকারে অধ্যায়ন করানো হয়। বিভিন্ন জটিল রোগের ক্ষেত্রে যেমন, কিডনি ও পিত্ত পাথরের অবস্থান, সাইজ ইত্যাদি দেখার জন্য আলট্রাসোনোগ্রাম, সিটি স্ক্যান, এমআরআই ইত্যাদি করে সঠিকভাবে ডায়াগনোসিস করা হয়। এছাড়া ক্যান্সারের স্টেজ নির্ণয়, হরমোনের পরিমাণ, ইনফারটাইল পুরুষ ও মহিলাদের কি কারণে সমস্যা হচ্ছে সেগুলো নির্ণয়ের জন্য আধুনিক ইনভেস্টিগেশনের সহায়তা নিয়ে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু একথা সত্য অনেক হোমিওপ্যাথ এখনো এগুলোকে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু তাদের কারণে সকলকে দোষারোপ করা বা হোমিওপ্যাথিকে অভিযুক্ত করা কতটা যুক্তিসঙ্গত?
হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা ব্যবস্থা
বাংলাদেশে : বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সমন্ধে জ্ঞান অর্জনের জন্য সরকারি দুইটি কোর্স প্রচলিত আছে। একটি হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৬ বছর ( ১ বছর ইন্টার্নি সহ) মেয়াদী ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী (বিএইচএমএস) কোর্স এবং অন্যটি হলো বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের অধিভুক্ত ৪ বছর ৬ মাস (৬ মাস ইন্টার্নি সহ) মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডিএইচএমএস) কোর্স। বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত হোমিওপ্যাথির ব্যাচেলর ডিগ্রি প্রদানকারী ২টি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এবং বোর্ড স্বীকৃত ৬৩টি ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রদানকারী মেডিকেল কলেজ/ইন্সটিটিউট রয়েছে।
অন্যান্য দেশে: লন্ডন, জার্মানি এবং পার্শ্ববর্তীদেশ ভারত, পাকিস্থান, শ্রীলংকা,মালয়েশিয়া সহ বিশ্বের নানান দেশে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা অর্জনের জন্য বিভিন্ন স্বীকৃত কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। যুক্তরাজ্যে রয়েল লন্ডন হোমিওপ্যাথিক ইউনিভার্সিটি নামে একটি হোমিওপ্যাথিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রিসার্চে বের হয়েছে, এখন বাংলাদেশের ৪০ ভাগ মানুষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণার ফল আমেরিকার একটি মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আমেরিকাতেই ১৫% হোমিওপ্যাথির ব্যবহার বেড়েছে। সম্প্রতি সুইচ গভর্নমেন্ট তাদের দেশে ১৫০০০ কোয়ালিফাইড হোমিওপ্যাথকে সরকারিভাবে তাদের স্বাস্থ্যখাতে অন্তর্ভূক্ত করেছে। এই উদ্যোগকে সুইজারল্যান্ডের জনগণ চিকিৎসার বিপ্লব হিসাবে দেখছে।
এছাড়া আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইতালি, বেলজিয়াম, আয়ার্ল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফ্রিকাসহ বিশ্বের ৪৩ টি দেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক রয়েছে এবং এসব দেশে প্রচুর পরিমাণে মানুষ হোমিওপ্যাথির উপর নির্ভর করছে। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের ২৪৬৭৭২ জন্য কোয়ালিফাইড রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ রয়েছেন। আমেরিকা-ব্রিটেনেও উন্নত মানের মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। সেখানে উচ্চতর ডিগ্রিধারী চিকিৎসকগণ চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। এখনও ব্রিটেনের রানির ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসাবে একজন হোমিওপ্যাথ রয়েছেন। সম্প্রতি ভারতের একটি রিসার্চে বের হয়েছে সেদেশে ৫৫% মানুষ হোমিওপ্যাথির দিকে অগ্রসর হয়েছে।
২০০১ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলেছে, ৪৩টি দেশে হোমিওপ্যাথি ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্রিটিশ জার্নাল ও টাইমস অব লন্ডন জার্নালে যথাক্রমে প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটেনে ৪২% ও ৪৮% চিকিৎসকরা জটিল রোগে ও অপারেশনের বিকল্প হিসাবে হোমিওপ্যাথির কাছে রোগী রেফার করে।
ফ্রান্সে একটি গবেষণায় বের হয়েছে সেখানে ১১০০০ এর বেশি হোমিওপ্যাথ রয়েছে এবং ২৫% লোক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করছে। এছাড়া সারা বিশ্বে ২০০০০ এর মতো ফার্মাসিউটিক্যালস হোমিওপ্যাথি মেডিসিন উৎপাদন করছে।
যেখানে উন্নত বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করছে এবং এর ব্যহারের হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে আমাদের কি হয়েছে? আমরা কি ভ্রান্তির মধ্যেই থাকবো? কোন জিনিসের ইফিকেসি না থাকলে সেটি কিভাবে ২৩০ বছর ধরে চলে আসছে?
কেন হোমিওপ্যাথি?
হোমিওপ্যাথি ওষুধ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত, সাশ্রয়ী এবং জটিল রোগে এন্টিবায়োটিক ও অপারেশনের বিকল্প হিসাবে কাজ করে থাকে। মা ও শিশুদের জন্য সহজে ব্যবহার উপযোগী ও জটিলতামুক্ত। বর্তমানে বিশ্বে দুইটি কারণে মানুষ চিকিৎসায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। একটি এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার আরেকটি অপারেশন। মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনার প্রফেসর ডাঃ মাইকেল ফ্রাস-এর মতে ‘হোমিওপ্যাথি একমাত্র এন্টিবায়োটিকের বিকল্প এবং পাশ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত কারণ এটি দেহের প্রধান অঙ্গগুলিকে আক্রমণ না করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যেখানে এন্টিবায়োটিক জীবনীশক্তিকে দূর্বল করে’।
এছাড়া সম্প্রতি অষ্ট্রেলিয়ার একটি রিসার্চে বলা হয়েছে, ফুসফুসের ইনফেকশনজনিত রোগে এন্টিবায়োটিকের চেয়ে দ্রুত আরোগ্য করতে পারে হোমিওপ্যাথি ওষুধ। তারা ৪টি দেশের ৫০০ জন রোগীর ওপর এই পরীক্ষা চালিয়েছেন।
যে সকল রোগ সার্জারি করতে হয় সে সব রোগে বিকল্প হিসাবে হোমিওপ্যাথি ব্যবহার হয়ে থাকে। ফিস্টুলা, পাইলস, টনসিলাইটিস, এপেন্ডিসাইটিস (গ্যাংগ্রিনাস ব্যতিত), বিভিন্ন রকম টিউমার, সিস্ট, ব্রেষ্ট টিউমার, ব্রেন টিউমার, আঁচিল, হাড় বৃদ্ধি ইত্যাদি ক্ষেত্রে অপারেশনের অল্টারনেটিভ হিসাবে হোমিওপ্যাথির সফলতা প্রশংসনীয়। তবে ডায়াগনোসিসের মাধ্যমে অবশ্যই রোগের গতিবিধি, বিস্তৃতি ইত্যাদি বিবেচনা করতে হবে।
এছাড়া শিশুদের কমন কোল্ড, কফ, জ্বর, বমি, এ্যাজমা, এ্যালার্জী, ডায়রিয়া, আমাশয়, এডিনয়েড, হাম, জলবসন্ত, মাম্পস, ব্রঙ্খাইটিস, হাইড্রোসেফালাস, মানসিক খর্বতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অল্প সময়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসা সম্ভব।
সাইকোসোমাটিক রোগেও যেমন মাইগ্রেন, এ্যাজমা, এসিটিডি, পেপটিক আলসার, এ্যালার্জী, মানসিক রোগেও সফলতার সহিত হোমিওপ্যাথি কাজ করে যাচ্ছে।
তবে হোমিওপ্যাথরা অনেক রোগেই গড়পড়তা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন যেটা দুঃখজনক। কারণ চিকিৎসক হিসাবে প্রথমে বোঝা উচিত তার কোন রোগ চিকিৎসা করবো আর কোনটা করবো না। কোন রোগটি ভালো হতে পারে এবং কোনটি সার্জারি করতে হবে। এখানেই হোমিওপ্যাথদের ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়। এর জন্য দায়ী কিছু হোমিওপ্যাথ, কিন্তু হোমিওপ্যাথি নয়। হোমিওপ্যাথিতেই জটিল ও কঠিন রোগ আরোগ্য সম্ভব। সেটি প্রমাণের জন্য নিজেই কোনো ভালো হোমিওপ্যাথের শরণাপন্ন হউন। হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে কোয়ালিফাইড কোন হোমিওপ্যাথির পরামর্শ গ্রহণ করুন তাহলে ভ্রান্তি থাকবে না। নিজেও উপকৃত হবেন, জাতিও দেখবে চিকিৎসার নতুন দিগন্ত। তবে হোমিওপ্যাথি তখনি আরো একধাপ অগ্রসর হবে যেদিন বিজ্ঞান ন্যানোটেকনোলজিতে প্রবেশ করবে। সেদিনের জন্যই অপেক্ষা করছি!
তাই মহাত্মা হ্যানিম্যান ও তার পরবর্তী গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে হোমিওপ্যাথি ওষুধ স্নায়ুর মাধ্যমে কাজ করে। এ ক্ষেত্রে জীবনীশক্তি জীবের সব ক্ষমতার উৎস এটা উপলব্ধি করে হোমিওপ্যাথিকে চিকিৎসাক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গভাবে যতই ব্যবহার করা যাবে জনস্বাস্থ্যের ততই উন্নতি হবে। আর আজকের এই দিনে হানেমানের কথা স্বরন করে, হানেমানের অতিতের সব গুন গুলা মাথায় রাখতে পারলে সেই হল প্রকৃত হোমিওপ্যাথ। হানেমান একটি কথা বলতেন; আমি বৃথা জীবন ধারন করিনি, যা ভাল তা শক্ত করে ধরব” সব কিছুই প্রমাণ করব।
লেখক: কলাম লেখক ও গবেষক, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।
পাঠকের মতামত:
- সোনাতলায় শ্রমিকলীগ নেতার ট্রাক্টরের চাপায় যুবকের মৃত্যু
- কুষ্টিয়ায় মহিষ লুট মামলায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মী কারাগারে
- গৃহবধূকে শিকলে বেঁধে রাখলেন স্বামী
- ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যালয় ঘেঁষে পুকুর খনন, ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
- বাবার ব্যবসা বাগিয়ে নিতে বড় ভাইকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে ছোট ভাই
- সোনাতলায় ৩২ প্রহরব্যাপী মহানাম ও লীলা-কীর্তন অনুষ্ঠিত
- ইনফিনিক্স নোট ৫০ সিরিজ এখন বাংলাদেশে
- বাজারে আসছে আইপি৬৯-রেটেড’ স্মার্টফোন রিয়েলমি ‘সি৭৫এক্স’
- বিদায় ১৪৩১ স্বাগত বাংলা নববর্ষ ১৪৩২
- অচেনা ভিড়ে..
- বৈশাখ এসেছে বহুবার: আমরাই যাইনি ওর কাছে
- ফিরে দেখা: শৈশবের বৈশাখ
- ‘আনন্দ’ ঈশ্বরের স্বরূপ, মঙ্গলের চেয়ে বেশি হিন্দুয়ানী!
- ‘মডেল মেঘনা আলমের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি’
- ‘সিরিয়াকে অস্থিতিশীল করছে ইসরায়েল’
- মিয়ানমারে আবারও ভূমিকম্প
- ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক স্থগিতের সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান
- ‘ননসেন্স’ এবার পারিবারিক গল্পে, আসছে বাংলা নববর্ষে
- তিন জেলায় ব্যাংক বন্ধ আজ
- আইসিসির কাছে টি-টেন ফরম্যাটকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান
- ভুটানের উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন আরও ৫ নারী ফুটবলার
- ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছাল
- শেখ হাসিনাসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- আজ বাঙালির ঐতিহ্য চৈত্রসংক্রান্তি
- ‘পহেলা বৈশাখে ঝুঁকি নেই’
- আমতলীতে বোরো ধান চাষের প্রস্তুতি
- আমতলীতে বোরো ধান চাষের প্রস্তুতি
- পাইওনিয়ার ফাইভজি পার্টনার অ্যাওয়ার্ড পেলো হুয়াওয়ে বাংলাদেশ
- প্রতি মুহূর্ত মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে চলে একটি শরণার্থী পরিবার
- করোনার ঝুঁকি সত্ত্বেও পাকিস্তানে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
- যাঁর সাহসে স্বপ্ন ছুঁ'লো দেশ
- ট্রাম্পের শুল্কারোপ: বিশ্ব বাণিজ্যে ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন
- মদন প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন
- উকিলের বুদ্ধি
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’র কবিতা
- ভোলার তজুমদ্দিনে সরকারি খাল বিক্রি, নীরব প্রশাসন
- মঙ্গলবার দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি
- ঝালকাঠির দুইটি আসনে নৌকার জয়
- ১৩ ডিসেম্বর নীলফামারী হানাদার মুক্ত দিবস
- প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল ১৪ ডিসেম্বর
- ওয়ালটন মাইক্রোওয়েভ ওভেন ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার যৌথ উদ্যোগে রেসিপি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
- নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কৃতি ছাত্র সম্মাননা
- বাগেরহাটে মোবাইল সিম বিক্রেতাকে গণধর্ষণ, ৩ ধর্ষক গ্রেফতার
- সাতক্ষীরায় অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনের ঝটিকা অভিযান
- নীলফামারীতে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন