E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

৭ নভেম্বর, ১৯৭১

কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনী শালদা নদী পাকসেনা ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়

২০২৪ নভেম্বর ০৭ ১২:১৭:৫৫
কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনী শালদা নদী পাকসেনা ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : মুক্তিবাহিনী ঘাটাইল থানার ধরাপাড়া নামক স্থানে ভোর সারে চারটা থেকে প্রায় ৫০০ পাকসৈন্যের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে ৬ ঘন্টাব্যাপী তীব্র সংঘর্ষ হয়। এই যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর একজন মেজরসহ ৬ জন সৈন্য ও ৩ জন রাজাকার নিহত এবং অনেক আহত হয়।

৭নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীর মুক্তিযোদ্ধা দল পাকবাহিনীর শাহপুর বিওপি আক্রমণ করে। এতে ৩ জন রাজাকার নিহত ও অনেক আহত হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে।

কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনী শালদা নদী পাকসেনা ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের এই অভিযানে ২ জন পাকসৈন্য নিহতও ৪ জন আহত হয়।

২নং সেক্টরের কায়েমপুর এলাকায় মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত ও কয়েকজন আহত হয়।

মুক্তিবাহিনী কুমিল্লা জেলার মন্দভাগ এলাকায় পাকসেনাদের একটি শক্তিশালী দলকে আক্রমণ করে। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ১৫ জন সৈন্য হতাহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর ৩ জন যোদ্ধা আহত হয়।

রংপুর জেলায় মুক্তিবাহিনী কারানি এলাকায় অবস্থানরত রাজাকারদেও ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৮ জন রাজাকার ৫টি রাইফেলসহ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে বন্দি হয়। এছাড়া পাহারপুকুর এলাকায় মুক্তিবাহিনীর সফল অবিযানে ১০ জন পাকসৈন্য নিহত হয়।

মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা নারায়ণগঞ্জ শান্তি কমিটির নেতা আফি সরদারের বাড়ি আক্রমণ করে। এতে আফি সরদার ও তার পরিবারের ৮ জন সদস্য নিহত এবং ৩ জন আহত হয়।

ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রধান নুরুল আমিন লাহোরে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠক শেষে নুরুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন উপ- নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হবার পর পূর্বপাকিস্থানে দুষ্কৃতকারীদের(মুক্তিবাহিনী) নাশকতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য তিনি পূর্বাঞ্চলে রাজাকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করার জন্যে প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করেছেন।

জামায়াত নেতা আব্বাস আলী খান পশ্চিম পাকিস্থানে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পূর্ব পাকিস্তানের পুরো অবস্থা সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় বেসামাল হয়ে ভারতীয় চররা চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে শান্তি বিনষ্ট করছে।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ০৭, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২১ নভেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test