E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

কক্ষ তালাবদ্ধ করে কুশপুত্তলিকা দাহ

ববির রেজিস্ট্রারের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

২০২৫ এপ্রিল ২৭ ১৮:০৩:৫৯
ববির রেজিস্ট্রারের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

আঞ্চলিক প্রতিনধি, বরিশাল : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভে ফেঁটে পরেছেন একদল শিক্ষার্থী। আজ রবিবার দুপুরে তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে রেজিস্ট্রারের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।

তালা লাগানোর সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। তবে আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট করেছেন দাবির ব্যাপারে প্রশাসন যদি অগ্রগতি না দেখায় তাহলে আন্দোলনের মাত্রা আরও বাড়ানো হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মুখপাত্র রাকিন খান বলেন, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে দাপ্তরিকভাবে অপসারণ না করা পর্যন্ত আমরা এই তালা খুলবো না এবং খুলতেও দেবো না।

তিনি আরও বলেন, মনিরুল ইসলাম ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ন্যায্য দাবির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা সত্বেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনে প্রভাব বিস্তার করছেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশাসনের পরিপন্থী।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিন স্যারকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেছে এবং তাকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল থেকে বাদ দিয়েছে। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেনা।

কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী স্বপ্নিল অপূর্ব রকি বলেন, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন। তারপরেও তাকে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক। আমরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রারের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো সাড়া না পাওয়ায় তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো-অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ প্রত্যাহার করে তাকে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে পুনর্বহাল করা। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে অবিলম্বে অপসারণ করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন লাভজনক কমিটিতে থাকা স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের সহযোগি শিক্ষকদের অপসারণ করা। বিতর্কিত শিক্ষকদের পুনর্বাসনের ঘটনায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ ও ক্ষমা চাওয়া।

(টিবি/এসপি/এপ্রিল ২৭, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test