E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে কিনা জানতে চায় আন্দোলনকারী সাংবাদিকরা

২০২৫ জানুয়ারি ০৬ ১৮:০৫:০৪
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে কিনা জানতে চায় আন্দোলনকারী সাংবাদিকরা

নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোঃ মুফিদুল আলমের আই ওয়াশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব। ১৭ বছর ধরে দখলকৃত ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব যাতে ফ্যাসিস্ট মুক্ত না হতে পারে এবং আন্দোলনকারীদের দমানোর জন্য যৌথ বাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে (২ জানুয়ারি ২০২৫) আন্দোলনকারী সাংবাদিকদের বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যারিকেট দিয়ে রেখে ফ্যাসিস্ট ও র'য়ের এজেন্টদের মদদপুষ্ট  অনির্বাচিত প্যানেল ফ্যাসিবাদী কায়দায় ঘোষণা দেন মহানগর জাতীয় পার্টির নেতা (রওশন এরশাদ) সদ্য হওয়া  মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন। নাটকীয়ভাবে যৌথ বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও সদর) পুলিশ ও গোয়েন্দার নজরদারির মাধ্যমেই রেহাই পেয়ে গেলেন ফ্যাসিস্টরা। বঞ্চিত ও আন্দোলনকারী সাংবাদিকরা এর দায় পুরোটাই দিলেন জেলা প্রশাসককে।

অথচ জেলা প্রশাসক আন্দোলনকারী সাংবাদিকদের বলছেন, আমি প্রেসক্লাবের সভাপতি থাকবো না‌। আমি অন্যদের মতো জেলা প্রশাসক নই। ৫ আগস্টের পর কথামতো ময়মনসিংহে যোগদান করার পর জেলা প্রশাসক কখনো ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে যাননি। অথচ ২ জানুয়ারি বেঁকে বসলেন। ফ্যাসিস্টদের আহ্বানে তিনি তাদের হয়ে সকল প্রকার সহযোগিতা করলেন।

আন্দোলনকারীরা যখন ঘোষণা করলো চট্টগ্রামের মতো প্রেসক্লাবে তালা দিবো‌ প্রেসক্লাব অবরোধ করে রাখলো রাত সাড়ে ১০ মিনিট পর্যন্ত। অবৈধ কমিটি মানি না মানবো না শ্লোগানে প্রকম্পিত হলো শহরের গাঙ্গীনার পাড়। ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে অপেশাদার সাংবাদিকদের সদস্য পদ বাতিল করতে হবে, পেশাদার সাংবাদিকদের নিয়ে "প্রেসক্লাব ফর প্রেসম্যান" করার জন্য গঠনতন্ত্র খসড়া প্রনয়ণ করতে হবে, আন্দোলনকারী সাংবাদিকদের নামের তালিকা করে নিয়ম নীতিমালা অনুসারে খসড়া ভোটার তালিকা নির্নয় করতে হবে, পক্ষদ্বয়ের মধ্যে আলোচনা করে সমন্বয়ের ভিত্তিতে একটি এডহক কমিটি গঠন করে সম্মিলিত ভাবে সাধারণ সভার দাবি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দেন সাংবাদিকরা। অপরদিকে, জেলা প্রশাসক মোঃ মুফিদুল আলম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) উম্মে হাবীবা মীরাকে প্রেসক্লাবে পাঠান। তিনি এসে ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক পদাধিকার বলে সভাপতি। কাজেই এখানে কোন বিশৃঙ্খলা হতে দিবোনা। ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) উম্মে হাবীবা মীরা আন্দোলনকারীদেরকে নিয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

এ সময় আন্দোলনকারীদের দাবি শুনেন এবং প্রেসক্লাব সংস্কারের আশ্বাস দেন এবং আন্দোলনকারী সাংবাদিকদের তালিকা চান। অপরদিকে, প্রেসক্লাবের যে কমিটি ঘোষণার প্রক্রিয়া চালছিলো তা বন্ধ করার আশ্বাস দিলেও গত ৫ জানুয়ারি ইং রবিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ পন্থায় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মদদপুষ্ট প্যানেল কমিটির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ছবিতে ডানদিকে স্পস্ট দেখা যাচ্ছে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের এক নম্বর সহ সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক, তার সঙ্গে ঘাতক দালাল নির্মল কমিটির সভাপতি মোঃ শাহজাহান, মহানগর জাপা(রওশন) মহানগর সাধারণ সম্পাদক, কথিত ও সদ্য হওয়া মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক মোশারফ হোসেন, আওয়ামী লীগ ও ন্যাপ নেতা ও প্রিন্সিপাল মতিউর রহমানের বড় ভাই মোঃ জিয়া, বর্তমান সেক্রেটারি ফ্যাসিস্ট নেতা অমিত রায়সহ অনেকেই। অপরদিকে নবাগত দায়িত্ব গ্রহণকারী গফরগাঁওয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কখনো সাইফুল ইসলাম কখনো সাইফুল মাহমুদ এখন যিনি জামায়াত ইসলামীর নাম বিক্রী করে বেড়ায়,

এ নিয়ে আন্দোলনকারী বঞ্চিত সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে জেলা প্রশাসনকে দায়ী করে আন্দোলনকারী সাংবাদিকরা বলেছেন সমন্বয়ের নামে দ্বৈত আচরণের বহির্প্রকাশ ঘটিয়ে বঞ্চিত সাংবাদিকদের প্রতি বৈষম্য মূলক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তীব্র নিন্দনীয় কাজটি করছেন। অবিলম্বে প্রেসক্লাবের অভ্যান্তরে সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনকারী সাংবাদিকগণ। সমঝোতা বৈঠকের পূর্বে এরুপ কর্মকান্ড দৃশ্যমান হলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

গত ২ জানুয়ারি সাংবাদিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ঠেকানোর জন্য ফ্যাসিস্টরা অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে বঞ্চিত সাংবাদিকদের উপর হামলা করেন। হামলাকারী এবং অস্ত্রধারীকে অতি শীঘ্রই গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেন আন্দোলনকারী সাংবাদিকরা।

(এনআরকে/এসপি/জানুয়ারি ০৬, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২১ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test