E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

মহেশপুরের ‘ক্রিকেট ব্যাট’ দেশজুড়ে

২০২৪ জুলাই ২৭ ২০:১১:৩৯
মহেশপুরের ‘ক্রিকেট ব্যাট’ দেশজুড়ে

শেখ ইমন, ঝিনাইদহ : পাশাপাশি তিনটি ছোট কারখানা। চলছে ক্রিকেট ব্যাট তৈরির কর্মযজ্ঞ। কোথাও পড়ে আছে কাঠ, কোথাও ছোট বড় কাটিং মেশিন, কেউ করছেন কাঠ পরিষ্কার, কেউ লাগাচ্ছেন কাভার। প্রত্যন্ত পল্লিতে তৈরি হওয়া ছোটবড় এসব ক্রিকেট ব্যাট যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। কারখানটির অবস্থান ঝিনাইদহের মহেশপুরে।

জানা যায়, মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাথানগাছি মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের সহোদর রাজেন্দ্রনাথ, সাধন দাস ও শ্যামল দাস গড়ে তুলেছেন কারখানাগুলো। ৩টি কারখানা থেকে প্রতিদিন তৈরি হয় ২ শতাধিক ছোট-বড় ব্যাট। যা পৌছে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। ২৪ বছর ধরে চলছে এই ব্যাট তৈরির কাজ। কারখানায় কর্মসংস্থানের সুযোগও হয়েছে ১০-১৫ জনের। আর এই ব্যাট দিয়ে মাঠ কাঁপিয়ে অনেকেই হয়েছেন তারকা ক্রিকেটার।

গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, একটি বাড়িতে পাশাপাশি তিনটি ছোট কারখানা। কথা হয় একটি কারখানার মালিক রাজেন্দ্রনাথের সাথে। তিনি জানান,‘২৪ বছর ধরে তিন ভাই তিনটি কারখানা পরিচালনা করছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা তাদের ব্যাটের অগ্রিম অর্ডার দেন। প্রকারভেদে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত পাইকারি দরে তারা ব্যাট তৈরি করেন। একটি ব্যাটে গড়ে ৪০-৫০ টাকা লাভ হয়।

রাজেন্দ্রনাথ আরও জানান, তারা ঝিনাইদহের আরাপপুর থেকে ব্যাট তৈরি কাঠ সংগ্রহ করে থাকেন। কাঠগুলো বাড়িতে এনে ভাল করে শুকিয়ে নেন। এরপর এগুলো ছোট কাটার মেশিনে সাইজ করে ব্যাটের রুপ দেওয়া হয়। পরে মেশিনের মাধ্যমে পরিষ্কার করে আঠা দিয়ে ব্যাটগুলো সেট করা হয়। পরে সেগুলো ভালোভাবে শুকানোর পর তাতে স্টিকার লাগিয়ে বাজারজাত করা হয়।’

কারখানায় কর্মরত কর্মচারীরা বলেন,‘তারা অনেক দিন ধরে ব্যাট তৈরির সঙ্গে জড়িত। প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা হাজিরায় কাজ করেন। এখানে প্রতিদিন ছোট-বড় সাইজের ব্যাট তৈরি করা হয়। যারা ক্রিকেট খেলেন তারা প্রতিনিয়ত এখান থেকে ব্যাট কিনে নিয়ে যান।এছাড়াও ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা এই কারখানা থেকে ব্যাট কিনে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন।’

শ্যামল দাস বলেন,‘এখানে তৈরিকৃত ব্যাটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কারাখানা ছোট হওয়ার দরূন অর্ডার অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারেন না। সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের আর্থিক সহযোগিতা করলে এই কারখানা বড় করতে পারতেন।’

(এসআই/এএস/জুলাই ২৭, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৫ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test