E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

সালথায় হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প 

২০২৪ জুন ২২ ১৫:৩৮:৫০
সালথায় হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প 

আবু নাসের হুসাইন, সালথা


ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প এক সময়ে খুব সুনাম বা কদর ছিল মানুষের কাছে। নানা প্রতিকুলতায় ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্প আজ হারাতে বসেছে। সংসার চালানোর জন্য বাপ-দাদার এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে অনেকেই। আগে এখানকার পালপাড়া গুলোতে মৃৎশিল্প বানানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতো তারা। এখন প্লাসটিক ও এ্যালুমিনিয়ামের ভীড়ে  আগ্রহ কমে গেছে মৃৎশিল্পর তৈজ্যষপত্রের।

জানা যায়, উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর পালপাড়া ও আটঘর ইউনিয়নের গৌড়দিয়া পালপাড়া ছিল মৃৎশিল্পের প্রাণকেন্দ্র। এ দুটি গ্রামসহ উপজেলার আটটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে দুই শতাধিক মৃৎশিল্পী রাতদিন কাজ করত। তারা মাটি দিয়ে হাঁড়ি-পাতিল, বাসন, কড়াই, ঢাকনা, কলকি, পেয়ালা, কলসি, ফুলদানি প্রভূতি তৈরিতে ব্যস্ত ছিল। শিশুদের জন্য তৈরি করতো হরেক রকমের খেলনা পুতুল। এসব মৃৎশিল্প উপজেলাসহ আশপাশের বাজারগুলোতে বিক্রি করে সংসার চালাতেন তারা। কালের বিবর্তনে প্লাস্টিক, মেলা মাইন ও সিলভারের ভীড়ে আজ হারাতে বসেছে মৃৎশিল্প। ঐতিহ্যবাহী এই পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে অনেকেই। বতর্মানে উপজেলার কয়েকজন মৃৎশিল্পী তাদের বাপ-দাদার আদি পেশা কোনোমতে আঁকড়ে ধরে আছেন। তারপরও বাজারে পাচ্ছেন না ন্যায্যমুল্যে।

মাটির তৈরি তৈজ্যষপত্রের স্থান দখল করে নিয়েছে অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজ্যষপত্র। এগুলোর দাম বেশি হলেও অধিক টেকসই হয়। তাই মাটির তৈরি তৈজ্যষপত্র এখন আর কেউ ক্রয় করতে চায় না।

উপজেলার মৃৎশিল্প অখিল পাল ও পরিমল পাল জানান, তাদের ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি জিনিসপত্রের কদর ও বিক্রয় কম হওয়ায় পযার্য়ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প। এ কারণে তাদের সংসার চালাতে বিপযর্য় নেমে এসেছে। তারা আরও জানান, সরকারি-বেসরকারি এনজিও থেকে সাবির্ক সহযোগিতা পেলে তাদের কাযর্ক্রম বৃদ্ধি পাবে।

সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিছুর রহমান বালী বলেন, বাজারে মৃৎশিল্পর চাহিদা অনুযায়ী ভালো জিনিস তৈরি করতে হবে। একি সাথে দক্ষ কারিকরও থাকতে হবে। দক্ষ কারিকর ও মান ভালো করতে পারলে মৃৎশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব। এবিষয়ে কেউ যদি প্রশিক্ষন নিতে চায় তাহলে তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি আমরা প্রশাসনিকভাবে তাদের সহযোগিতা করবো।

(এএনএইচ/এএস/জুন ২২, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২১ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

Website Security Test