E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

‘ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ইউরোপ’

২০২৫ মার্চ ০৪ ১৪:৪৫:০৪
‘ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ইউরোপ’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লন্ডনে ইউরোপীয় নেতাদের এক শীর্ষ সম্মেলনে রবিবার (২ মার্চ) ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ইউরোপ তথা পশ্চিমা বিশ্ব ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা প্রক্রিয়াকে ইউরোপের দেশগুলো মূলত যুক্তরাষ্ট্রের একক নিয়ন্ত্রণ থেকে বের করে আনতে চাইছে। যার কারণে ইউরোপীয় দেশগুলো একসঙ্গে একটি সমাধানের পথ খুঁজছে।

ঐতিহাসিক ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে আয়োজিত গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বৈঠকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি শুধু আলোচনার সময় নয়— এখনই কাজ করার সময়।

স্টারমার জানিয়েছেন, তিনি ফ্রান্স ও আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে মিলে একটি পরিকল্পনা তৈরি করছেন, যা যুদ্ধ থামানোর একটি রূপরেখা দেবে। পরিকল্পনাটি পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উপস্থাপন করা হবে, যাতে তারাও এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ফরাসি দৈনিক লা ফিগারো-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই পরিকল্পনার কিছু বিবরণ তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য ইউক্রেনে এক মাসের জন্য সীমিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে।

এই পরিকল্পনার প্রথম ধাপে আকাশ, সমুদ্র এবং জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা এক মাসের জন্য বন্ধ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। ম্যাক্রোঁ আরও জানান, দ্বিতীয় ধাপে স্থলসেনাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যাতে ধাপে ধাপে যুদ্ধের উত্তেজনা কমিয়ে আনা যায়।

ট্রাম্প প্রশাসন গত মাসে রাশিয়ার সঙ্গে যে আলোচনা শুরু করেছিল, এই নতুন ফরাসি-ব্রিটিশ পরিকল্পনাটি তার এক ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারে।

স্টারমার বলেন, আমরা এমনভাবে এগোতে পারি না, যেখানে আলোচনা শুরু হওয়ার আগেই রাশিয়া নিরাপত্তা নিশ্চয়তার শর্ত নির্ধারণ করে দেবে, তবে চুক্তিতে রাশিয়াকে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে—এটিই স্বাভাবিক।

যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী জোট গঠনের চেষ্টা করছে, যারা একটি চুক্তি সম্পাদিত হলে ইউক্রেনে প্রবেশ করবে। স্টারমার বলেন, যদি একটি চুক্তি হয়, তবে সেটি রক্ষা করাও জরুরি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রবিবারের এই সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, ইউরোপের ঐক্য বর্তমানে এক অভূতপূর্ব উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা বহুদিন দেখা যায়নি।

একটি পৃথক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেছেন, সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির প্রথম ধাপে হওয়া উচিত বন্দি বিনিময় এবং শিশুদের ফিরিয়ে দেওয়া। তার মতে, এটি ‘রাশিয়ার প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠার সদিচ্ছা’ যাচাইয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।

তথ্যসূত্র : সিএনএন

(ওএস/এএস/মার্চ ০৪, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৬ মার্চ ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test