E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

সুদানে ভয়াবহ সংঘাতে নিহত ৬৫

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৪ ১২:২৭:০৯
সুদানে ভয়াবহ সংঘাতে নিহত ৬৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে ভয়াবহ হামলা ও সংঘাতে কমপক্ষে ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ। দেশটির দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে লড়াইয়ে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। আফ্রিকার এই দেশটিতে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিধ্বংসী যুদ্ধ চলছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, দক্ষিণ ও পশ্চিম সুদানে ভয়াবহ লড়াইয়ে সোমবার কমপক্ষে ৬৫ জন নিহত এবং আরও ১৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এর মধ্যে দেশটির সাউথ কর্ডোফান প্রদেশের রাজধানী কাদুগলিতে কামানের গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে দুটি চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে।

সুদানের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এই শহরটিতে আক্রমণের ঘটনায় আবদেল আজিজ আল-হিলুর নেতৃত্বাধীন সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট-নর্থ (এসপিএলএম-এন) এর একটি দলকে দায়ী করেছেন গভর্নর মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি এএফপিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, “কাদুগলিতে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হিলুর হামলার উদ্দেশ্য” হচ্ছে এলাকাটিকে অস্থিতিশীল করা। তিনি বিদ্রোহী বাহিনীর কবল থেকে “কাদুগলির চারপাশের পাহাড়গুলো সাফ” করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

গভর্নর বলেছেন, স্থানীয় একটি বাজারকে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণের এই ঘটনা ঘটেছে। এসপিএলএম-এন তাদের যুদ্ধের সময় সাউথ কর্ডোফানের বিভিন্ন অংশে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) উভয়ের সাথেই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।

সুদান ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সংঘাতে জর্জরিত হয়েছে, তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটির নিয়মিত সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। এদিকে দারফুরের বিস্তীর্ণ পশ্চিমাঞ্চলে দক্ষিণ দারফুরের রাজধানী নিয়ালায় সামরিক বিমান হামলায় সোমবার ২৫ জন নিহত এবং আরও ৬৩ জন আহত হয়েছেন বলে একটি মেডিকেল সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে।

নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি এএফপিকে জানিয়েছে, আরএসএফের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা “নিয়ালার সিনেমা ডিস্ট্রিক্ট” এ হামলাটি হয়। উত্তর দারফুরের অবরুদ্ধ রাজধানী এল-ফাশার থেকে ১৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নিয়ালাসহ দারফুরের বেশিরভাগ অংশে আরএসএফের আধিপত্য রয়েছে।

এছাড়া এল-ফাশারে অঞ্চলটিতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস করেন, যারা ২০২৪ সালের মে মাস থেকে আরএসএফ অবরোধের মধ্যে রয়েছেন। এর আগে শনিবার বৃহত্তর খার্তুমের অংশ সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ওমদুরমানের একটি ব্যস্ত বাজারে আরএসএফ গোলাবর্ষণ করলে কমপক্ষে ৬০ জন নিহত এবং আরও ১৫০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছিলেন।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test