E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

হারলে জেলে যেতে পারেন ট্রাম্প

২০২৪ নভেম্বর ০৩ ১২:৫৮:১৫
হারলে জেলে যেতে পারেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর)। জনমত সমীক্ষা বলছে- ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে কমলা হ্যারিসের।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের চেয়ে হ্যারিস মাত্র ১ শতাংশ এগিয়ে আছেন। ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার হার যেখানে ৪৭ শতাংশ, সেখানে হ্যারিসের জনপ্রিয়তার হার ৪৮ শতাংশ।

এবারের নির্বাচনকে ঘিরে ট্রাম্পের ভাগ্য প্রেসিডেন্ট পদ ও কারাবাসের ঝুঁকির মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। জিতলে তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন; না জিতলে তাকে কারাগারে যেতে হতে পারে।

গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ট্রাম্প পারমাণবিক অস্ত্র কোডের অ্যাক্সেস পাওয়া প্রথম দোষী সাব্যস্ত অপরাধী। তার হোটেল ও ক্যাসিনো ব্যবসা নিয়ে নানা অভিযোগ আছে; কর জালিয়াতির অভিযোগও আছে।

প্রতিবেদন বলা হয়েছে, যদি ট্রাম্প বিজয়ী হন, তাহলে তিনি হবেন হোয়াইট হাউসে যাওয়া ও পারমাণবিক অস্ত্র কোডের অ্যাক্সেস পাওয়া প্রথম দোষী সাব্যস্ত অপরাধী। যদি তিনি বিজয় থেকে ছিটকে পড়েন, তাহলে ৭৮ বছরের ট্রাম্পকে আরও অপমানজনক আদালতের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে; এমনকি কারাগারের পেছনেও সময় দিতে হবে। এটি হবে তার মোহনীয় জীবনের সমাপ্তি, যে জীবনে তিনি সবসময় আইন ও জবাবদিহিতাকে এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।

মঙ্গলবার দিনটি কার্যত ট্রাম্পের জন্য রায়ের দিন।

ট্রাম্পের জীবনী লেখক গোয়েন্ডা ব্লেয়ার বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) নিজেকে সেই লোক হিসেবে তুলে ধরেন, যিনি এগুলো (আইন-জবাবদিহি) থেকে দূরে চলে গেছেন। তবে তিনি এবার অনেক হিসাব-নিকাশের মুহূর্তের মুখোমুখি হচ্ছেন। তাকে জেলে যেতে হতে পারে; সম্পত্তি কমে যেতে পারে। যাই ঘটুক না কেন এবং তিনি জিতুন বা হারুন– তার স্বাস্থ্যের হিসাব থাকবে। মৃত্যু, অসুস্থতা, স্মৃতিভ্রংশ– এগুলো তিনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না।’

১৯৭০-এর দশকে সাদা ভবনগুলোতে কৃষ্ণাঙ্গদের অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া দিতে অস্বীকার করায় জাতিগত বৈষম্যের জন্য বিচার বিভাগ ট্রাম্প ও তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা করে। তার হোটেল ও ক্যাসিনো ব্যবসা নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। তার ট্রাম্প ইউনিভার্সিটি প্রোপার্টি প্রশিক্ষণ কোর্স প্রস্তাব করে ব্যবসা, জালিয়াতি, বিভ্রান্তিকর বিপণন ও গুণমান সম্পর্কে মিথ্যা দাবির জন্য একাধিক মামলার সম্মুখীন হয়েছে। ২০১৬ সালে ট্রাম্প ভুল স্বীকার না করে ২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক করেন।

দাতব্য সংস্থা ডোনাল্ড জে ট্রাম্প ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে দাতব্য তহবিল ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক খরচের জন্য ব্যবহারের অভিযোগে মামলা ও তদন্ত চলছে। অবশেষে ট্রাম্প দাতব্য প্রতিষ্ঠানে অবশিষ্ট তহবিল দিয়ে ফাউন্ডেশনটি ভেঙে দিতে সম্মত হন। প্রতারণার মামলারও মুখোমুখি হয়েছেন ট্রাম্প। তার কোম্পানিকে কৃত্রিমভাবে তার নেট মূল্যস্ফীত বাড়ানোর জন্য আদালত ৩৫০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করে। তার বিরুদ্ধে কর জালিয়াতির অভিযোগও আছে। ট্রাম্পের ব্যক্তিগত জীবনও নানা বিতর্ক ও স্ক্যান্ডালে পূর্ণ। অভিযোগ আছে, তিন স্ত্রীর সঙ্গেই প্রতারণা করেছেন ট্রাম্প।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ০৩, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০২ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test