E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

উড়িষ্যায় স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা

২০২৪ অক্টোবর ২৫ ১৩:২২:২৬
উড়িষ্যায় স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উড়িষ্যায় স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা। পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১২ মিনিটে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। উড়িষ্যার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যবর্তী স্থানে স্থলভাগ অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশ। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে। প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে তিন থেকে চার ঘণ্টা লাগবে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, এরই মধ্যে ঝড়ের দাপট আরও বেড়ে গেছে উড়িষ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। তবে রাত পর্যন্ত কলকাতায় তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।

এদিকে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশের আবহওয়া অধিদপ্তরের ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানা আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে।

এত বলা হয়, এটি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে (২৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং আজ সকালের (২৫ অক্টোবর) মধ্যে পুরী ও সাগরদ্বীপের মাঝখান দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রাসমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, বারিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, লক্ষীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই-তিন ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২৫, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ অক্টোবর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test