E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন দিসানায়েক

২০২৪ সেপ্টেম্বর ২৩ ১২:৫৯:৪০
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন দিসানায়েক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন অনুরা কুমারা দিসানায়েক। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী প্রার্থী হিসেবে এই বামপন্থি নেতার নাম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২০২২ সালে গণবিক্ষোভের মুখে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে পালানোর দুই বছরেরও বেশি সময় পর দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।

এদিকে নতুন প্রেসিডেন্ট দেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে নতুন ইতিহাস রচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নির্বাচনে তার এই জয়কে দুর্নীতি ও কুসংস্কারের প্রত্যাখ্যান হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা। দীর্ঘদিন ধরেই দেশটি নানা সংকটে জর্জরিত।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের প্রাক্কালে এক বিবৃতিতে, একেডি নামে পরিচিত ৫৫ বছর বয়সী এই নেতা বলেন, এই জয় আমাদের সকলের এবং শ্রীলঙ্কার নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, আশা এবং প্রত্যাশায় লাখ লাখ মানুষের স্বপ্ন আমাদের এগিয়ে নিয়েছে এবং আমরা একসঙ্গে শ্রীলঙ্কার ইতিহাস নতুন করে লেখার জন্য প্রস্তুত। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ভোটারদের সুশাসন এবং দুর্নীতিবিরোধী কঠোর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দিসানায়েক।

শ্রীলঙ্কার উৎপাদন, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। শ্রীলঙ্কাকে অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে মুক্তি দিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিটি চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন। দিসানায়েক শপথ নেওয়ার আগেই পদত্যাগ করেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী দিনেশ গুনাবরদেনা।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন দিসানায়েক। তার নিকটতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দল সঙ্গী জন বালাওয়াগার (এসজেবি) নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট। মাত্র ১৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহে।

দিসানায়েকের উত্থানের গল্প অনেকটা রূপকথার মতো। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদদের চেয়ে নিজেকে ভিন্ন হিসেবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন বামপন্থি এই নেতা।

১৯৬৮ সালে জন্ম নেওয়া দিসানায়েক ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শ্রীলঙ্কার দুর্নীতি ও দুর্বল শাসনের কঠোর সমালোচক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।

২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ১৭তম জাতীয় কনভেনশনে জেভিপির নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন দিসানায়েক। তার এই দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রা তাকে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে।

এবারের নির্বাচনে এনপিপি জোটের প্রার্থী ছিলেন জেভিপি প্রধান অনুরা কুমারা দিসানায়েক। এই জোট এর আগে কখনো শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলও ছিল না। দেশটির ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টে এই জোটের আসন ছিল মাত্র তিনটি।

কিন্তু গণবিক্ষোভের মুখে গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালানোর পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জেভিপির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ওই বিক্ষোভে সক্রিয় ভূমিকা ছিল দলটির। আন্দোলনের পর জেভিপি বৃহত্তর পরিবর্তনের ডাক দেয়। সামাজিক ন্যায়বিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলটির অনড় অবস্থান নাগরিকদের আকৃষ্ট করেছে। তাতে দলের সঙ্গে বেড়েছে দিসানায়েকের ব্যক্তিগত আবেদনও।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test