E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

‘পুলিশের গুলিতেই মুগ্ধের মৃত্যু হয়েছে’

২০২৫ জানুয়ারি ১৭ ১৩:৩৫:৫৯
‘পুলিশের গুলিতেই মুগ্ধের মৃত্যু হয়েছে’

স্টাফ রিপোর্টার : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের গুলিতেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার আপন যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ও বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত।

কারও নাম উল্লেখ না করে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর অভিযোগ দায়েরের পর সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন তারা। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শহীদ মুগ্ধর দুই ভাই স্নিগ্ধ ও দীপ্ত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

স্নিগ্ধ বলেন, মুগ্ধ গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে একটা বিতর্ক ছিল যে, গুলিটা পুলিশের মধ্যে থেকে করা হয়েছে নাকি বাইরের কারও থেকে করানো হয়েছে। অথবা স্নাইপার থেকে করা হয়েছে কি না। তবে আমাদের কাছে যে প্রমাণাদি আছে, তার মাধ্যমে আমরা বলতে পারি পুলিশের পক্ষ থেকে এই গুলি চালানো হয়েছে। আমরা যে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি সেখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের গুলিতেই মুগ্ধের জীবন গেছে।

তিনি বলেন, এই ছয় মাসে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে যতটুকু প্রমাণ বের করা সম্ভব তা আমরা নিজ উদ্যোগেই করেছি। যেহেতু প্রথম দিকে প্রশাসন পুরোপুরি অকার্যকর অবস্থায় ছিল, তাই আমরা নিজ উদ্যোগে এই কাজ করেছি। নিজ উদ্যোগে আমাদের সব ধরনের ভিডিও ফুটেজ, সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করতে হয়েছে।

মুগ্ধের বড় ভাই দীপ্ত বলেন, মুগ্ধের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পাওয়া ভিডিওর পুরোটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তার হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ আছে, তার বিচারের বিষয়ে সেটা আমরা সরকারের কাছে আশা করতেই পারি। কিন্তু এই ফুটেজ কালেক্ট করা আমাদের দায়িত্ব ছিল না, এটা প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল।

‘যেহেতু এটা নিজ উদ্যোগে করেছি, তাই আমাদের এখন আশা থাকবে ভিডিওটিকে ফরেনসিকের মাধ্যমে তাদের চেহারাকে পরিষ্কার করে, একজন একজন করে আসামিদের নিয়ে এসে সুষ্ঠু বিচারকার্য করবে। আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য শুধু ন্যায়বিচার পাওয়া।’

তিনি বলেন, মুগ্ধের এই ঘটনায় ফুটেজ সংগ্রহের বিষয়ে অ্যাডিশনাল আইজিপি জাহাঙ্গীর সেলিম সহযোগিতা করেছেন। পশ্চিম থানার বর্তমান ওসি হাফিজও আমাদের সহযোগিতা করেছেন। মুগ্ধ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যে ভিডিও আছে, সেখানে যার চেহারা আছে সে হেলমেট পরা ছিল, তাই চেহারাটা স্পষ্ট নয়। তবে ফরেনসিক করার মাধ্যমে এটা খুব সহজেই বের করা সম্ভব। যেহেতু আমরা ফরেনসিক এক্সপার্ট না, তাই এটা ফরেনসিক এক্সপার্টের মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব বের করে বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে হবে।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ১৭, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test