E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

দেবহাটায় পিস্তল-গুলিসহ গ্রেপ্তার আসাদুলকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

২০২৫ জানুয়ারি ০৬ ১৮:৪৬:০৩
দেবহাটায় পিস্তল-গুলিসহ গ্রেপ্তার আসাদুলকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : তিনটি বিদেশি পিস্তল,৬টি ম্যাগজিন,৬ রাউ- গুলিসহ গ্রেপ্তারকৃত আসাদুল গাজীকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ সোমবার সাতক্ষীরার আমলী ৭ নম্বর আদালতের বিচারক তনিমা মন্ডল তন্বি মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মোস্তাক আহম্মেদ এর পাঁচ দিনের রিমা- আবেদন শুনানী শেষে এ আদশে দেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসাদুল গাজী (৩২) দেবহাটা উপজেলার কালাবাড়িয়া গ্রামের মৃত জাফর গাজীর ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দেবহাটা উপজেলার কুলপুকুর মোড়ে অবৈধ অস্ত্র কেনাবেচা হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতেবৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনজন ব্যক্তির মধ্যে নোড়ার চক গ্রামের ইসাদ আলীর ছেলে আনারুল ইসলামসহ দুইজন পালিয়ে যায়। অপরজন আসাদুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার পরিহিত জ্যাকেট থেকে ২টি ও প্যান্টের পকেট থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৬টি ম্যাগাজিন ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আহম্মেদ কবীর বাদি হয়ে শুক্রবার আসাদুল ইসলামসহ পলাতক আসামী আনারুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে ১৯৭৮ সালে অস্ত্র আইনের ১৯ (এ)(এফ) ধারায় একটি মামলা (১ নং) দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গোয়েন্দু পুলিশের উপপরিদর্শক মোস্তাক আহম্মেদ আসামী আসাদুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার আদালতে পাঁচ দিনের রিমা- আবেদন করেন।

সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মোসলেমউদ্দিন রিমাণ্ড শুনানিকালে উপস্থাপন করেন যে, একই ব্যক্তির জ্যাকেটের পকেট ও প্যান্টের পকেট থেকে থেকে তিনটি আট ইঞ্চি বাটযুক্ত বিদেশী পিস্তল, ছয়টি ম্যাগজিন, ছয় রাউ- গুলি উদ্ধার করা প্রায় অবাস্তব। তা ছাড়া এক ব্যক্তিকে বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় আটক করে শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় আদালতে পাঠানো হলো। অর্থাৎ গ্রেপ্তারের ৪২ ঘণ্টা পর আদালতে পাঠানো আইন বহির্ভুত। এ ছাড়া আসামী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর আগেই তাকে দুই পুলিশ জাপটে ধরে আহত হলো। আসামি রক্তাক্ত জখম হলো। সখীপুর হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে সূদুর সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পুলিশ ও আসামী চিকিৎসা নিলো। এটা একটা নাটকীয় ও পরিকল্পিত বলে মনে হয়েছে। খলিষাখালি ভূমিহীন জনপদে ভূমিহীন নেতা কামরুলকে পিটিয়ে হত্যার নয় সপ্তাহেও কোন আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় খলিষখালি ভূমিহীন আবাসন প্রকল্পের কোষাধ্যক আসাদুলকে পরিকল্পিতভাবে অস্ত্র দিয়ে হত্যা মামলার আসামিরা গ্রেপ্তার করিয়েছে। তাছাড়া আসামীর কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার দেখানো হলে আর রিমাণ্ডে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের সিএসআই মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, মামলা রেকর্ডের পর থেকে যথাসময়ে আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামীর সঙ্গে আর কারন কার অস্ত্র ব্যবসা আছে তা জানার জন্য রিমাণ্ড নেওয়া দরকার।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মোস্তাক আহম্মেদ জানান, যথাসময়ে কারাফটকে যেয়ে আসাদুলকে জিজ্ঞাবাদ করা হবে।

(আরকে/এসপি/জানুয়ারি ০৬, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৮ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test