E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

২ আসামির স্বীকারোক্তি, ২২ দিনেও মুকুট উদ্ধার হয়নি

যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে মুকুট চুরি মামলায় সঞ্জয়-পারুলের জামিন নামঞ্জুর

২০২৪ অক্টোবর ৩১ ১৯:২৩:৩১
যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে মুকুট চুরি মামলায় সঞ্জয়-পারুলের জামিন নামঞ্জুর

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : গত ১০ অক্টোবর সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শ্রীশ্রী যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে মা কালীর মাথার মুকুট চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সঞ্জয় বিশ্বাস ও পারুল বিশ্বাসের জামিন আবেদন না’মঞ্জুর করেছে আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক চাঁদ মোঃ আব্দুল আলীম আল রাজী আসামীপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তার বক্তব্য, মামলার কেস ডায়েরী ও নথি ঘণ্টাব্যাপি পর্যালোচনা শেষে এ জামিন আবেদনর না’মঞ্জুর করেন।

এদিকে মুকুট চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে দুই আসামীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া ছাড়াও চুরি পরবর্তী ২২ দিন অতিক্রান্ত হলেও সিসি ক্যামেরায় চুরি করতে দেখা যাওয়া মূল চোরকে আটক করতে না পারা, ১৬৪ ধারায় ছেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি মুকুট জিম্মায় থাকা বাবা শেখ শফি মাহমুদ গ্রেপ্তার হলেও মুকুট উদ্ধার না হওয়ায় তদন্তকারি কর্মকর্তার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলছেন বিশিষ্ঠ জনেরা।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যশোরেশ্বরী কালীমন্দির পরিদর্শনে এসে কালী মাতাকে মুকুট পরিয়ে দিয়েছিলেন। গত ১০ অক্টোবর দুপুর ২টা ১০ থেকে ৪৯ মিনিটের মধ্যে মুকুটটি চুরি হয়। মন্দিরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে এক যুবককে মুকুটটি চুরি করে নিয়ে যেতে দেখা যায়। ঘটনার তদন্তে নেমে ওই দিন বিকেলে পুলিশ ঈশ্বরীপুর গ্রামের মৃত ছিদাম সরকারের স্ত্রী ও মন্দিরের সেবায়েত রেখা সরকার (৪৫), একই গ্রামের অখিল চন্দ্র সাহার ছেলে অপুর্ব কুমার সাহা (৪৬), মৃত গোকুল চন্দ্র সাহার ছেলে সঞ্জয় বিশ্বাস ও শ্রীফলকাটি এলাকার হরেণ বিশ্বাসের স্ত্রী পারুল বিশ্বাস ও মন্দিরের পূজারী দীলিপ চ্যাটার্জিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে দীলিপ চ্যাটার্জীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় মন্দিরের সেবায়েত জ্যোতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায় বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে ১২ অক্টোবর শনিবার শ্যামনগর থানায় ১২ নং মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৮০৯ সাল থেকে পারিবারিক জমি দেবত্ব সম্পত্তি হিসেবে দান করে তারা মন্দিরের রক্ষাণাবেক্ষণ ও পূজা অর্চনাদি পরিচালানা করে আসছেন। যদিও ১৫০০- থেকে ১৬০০ সালের মাঝামাঝি নাগাদ রাজা প্রতাপাতিদ্য পূর্ব পুরুষদের নির্মিত ওই মায়ের মন্দির সংস্কার করেন মর্মে ইতিহাস থেকে জানা যায়। মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক আহম্মেদ কবীরের উপর ন্যস্ত করা হয়। ওইদিন শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর পুলিশ ওই চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমা- আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠায়। আদালতে নেওয়ার পরপরই বিচারিক হাকিম সুজাতা আমিন তাদের রিমাণ্ড শুনানি করেন। আদালত তাদের প্রত্যেককের একদিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর ওই আসামিদের আদালতে আনা হয়।

এরমধ্যে আসামি রেখা সরকার নিজেকে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ ছাড়াও এ মামলায় পুলিশ গত ২১ অক্টোবর ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার রামপুরা থেকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কদমতলীর পূর্ব জুরাইনের ফরিদাবাদের ৫৩ নং ওয়ার্ডের ১ নং সড়কের ৯৫ নং বাসার বাসিন্দা সম্রাট ফারুক মওলা ও তার বাবা শেখ শফি আহম্মেদ নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। ওই দিন বিকেল চারটা ৩৫ মিনিটে তাদেরকে সাতক্ষীরায় এনে প্রত্যেককের জিজ্ঞাসাবদের জন্য ১০ দিন করে রিমাণ্ড আবেদন করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় বিচারিক হাকিম তাদের দুই দিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন। ২৩ অক্টোবর বাবা ও ছেলেকে রিমাণ্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আসামী সম্রাট ফারুক মওলা বিচারিক হাকিম সুজাতা আমিনের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পুলিশ প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত গত ২৮ অক্টোবর আসামী অপূর্ব সাহার জামিন মঞ্জুর করেন জেলা ও দায়রা জজ। পরদিন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সঞ্জয় বিশ্বাস ও পারুল বিশ্বাসের মিস কেস শুনানীর একপর্যায়ে সিডিসহ মামলার তদন্তদকারি কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক আহম্মদ কবীরের উপস্থিতিতে ৩১ অক্টোবর জামিন শুনানীর জন্য দিন ধার্য করা হয়।

মামলার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেওয়া রেখা সরকার, সম্রাট ফারুক মওলা ছাড়াও বৃহষ্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানীকালে উপস্থিত থাকা কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও মামলার কাগজপত্র থেকে জানা গেছে শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুরের যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কালী মাতাকে( ৫১ পিঠের একটি কষ্ঠি পাথরের) শ্রদ্ধা জানাতে এসে একটি স্বর্ণ রং এর মুকুট পরিয়ে দেন।

কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর মাধ্যমে ১৩ অক্টোবর রেখা সরকারের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, একই দিনে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তার কাছে ১৬১ ধারায় জবানবন্দি থেকে জানা যায়, স্বামী মারা যাওয়ার পর রেখা সরকার ৭/৮ বছর যাবৎ যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরের সেবায়েত হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। ২০২৩ সালে সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে ও স্থানীয় সমিতি থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে রেখা এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা খরচে পিত্তথলী অপারেশন করায়। ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে মায়ের মন্দিরে এসে ঝাড়ু দেওয়ার সময় বারান্দায় এক ব্যক্তিকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখেন রেখা। ঝাড়ু দেওয়ার সময় ওই ব্যক্তির ঘুম ভেঙে যায়। ওই ব্যক্তি রেখা সেখানে কি করে তা জানতে চায়। সে মন্দির মেখা শুনা করে বলে ওই ব্যক্তিকে জানায় রেখা। ওই ব্যক্তির (বয়স-৩০) পরিচয় জানতে চাইলে সেে নিজেকে সাতক্ষীরার ভোমরা বর্ডারের দক্ষিণ পাশে সুদেব এর ছেলে স্বপন(ছদ্মনাম) বলে জানায়। সে শহরের কাটিয়া আমতলায় বালুর ট্রলীতে হেলপারের কাজ করে বলে জানায়। স্বপন ওই সময় তার মোবাইলটি চার্জ দেওয়ার কথা বললে রেখা সেটি নিয়ে অর্পিতা বিশ্বাসের বাড়িতে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর অর্পিতার কাছ থেকে পারুল ওই ফোন নিয়ে এসে স্বপনকে দেয়। এরপর রেখার পিছনে পিছনে স্বপন ঘুরতে থাকে।

দুপুরের আগে স্বপন রেখাকে বলে যে, তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে পারো। তুমি সুবিধা দিতেও পারো না, নিতেও পারো না। রেখা বলে আমি কি সুবিধা দেব আর কি সুবিধা নেব। সে মন্দিরের ভিতেরের স্বর্ণের মুকুটটা তার কাছে এনে দিতে বলে। রেখা বলে সে মায়ের সেবক, তাই ওই মুকুটটি তার কাছে এনে দিতে পারবে না। সে রেখাকে বলে যে কত টাকা চাও। রেখা দুই লাখ টাকা দাবি করে। স্বপন রাজী হয়। সে বলে মাদারীপুরেরসম্রাট (রেখার পরিচিত) এর মাধ্যমে তার কাছে দুই লাখ টাকা পৌঁছে দেবো। তখন রেখা বলে সে নিজের হাতে মুকুট খুলে এনে দিতে পারবে না। তবে পূজার মধ্যে দরজা খুলে ক্লোবসিগ্যাল গেট চেপে দিয়ে চাবি জানালায় রেখে দেবে। স্বপন সুযোগ মত নিয়ে নেবে। স্বপন অন্যান্য পূজারীদের সাথে দুপুরের প্রসাদ খায়। রেখা দুপুরে সকলের খাওয়ার পর কলপাড়ে থালা ও বাটি ধুয়ে এসে দেখেন মন্দিরের মায়ের মুকুট নিয়ে স্বপন চলে গেছে। তখন রেখা ঠাকুরদা (পুরোহিত) দীলিপ মুখার্জীকে ফোন করে মুকুট চুরির বিষয়টি জানান।

রেখা জানায় যে, সম্রাটকে সে আগে থেকে চিনতো। কারণ সে ৫/৬ মাস মন্দিরে ছিলো। নামসম্রাট সাধু, সে হিন্দু ও বাড়ি মাদারীপুরে বলেছিলো। রেখার চেয়ে বয়সে বড়ো। সে রেখাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলো। রেখা রাজী হয়নি। চুরির পর তার সাথে আর যোগাযোগ হয়নি রেখার। রেখার কাছে নেই সম্রাটের কোন ফোন নাম্বার ও ঠিকানা। স্বপনের বাবা ও মায়ের নাম ঠিকানা জানেন না রেখা। স্বপন দেখতে কালো, শ্যামলা রং এর রোগা পাতলা চেহারা। ১০ অক্টোবরের আগে স্বপনকে কোন দিন দেখে নি রেখা। মুকুট চুরি বাবাদ রেখা কোন টাকা পাননি। লোভে পড়ে এ ভুল কাজ করে ফেলেছে। রেখা নিজেকে গরীব ও অসহায় উল্লেখ করে তার কোন সন্তান ও আত্মীয় স্বজন নেই বলে জানায়।

একইভাবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর মাধ্যমে বিচারিক হাকিম সুজাতা আমিনের কাছে ২৩ অক্টোবর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মামলার নথিপত্র, ও সমাটের সাথে আদালত চত্বরে কথা বলে জানা যায়, সম্রাটের বাবা তার জমি জমা মেয়েদের নামে লিখে দেন। তিনি নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করেন। পিতা শেখ শফি আহম্মেদ সম্রাটকে বলে, তুই যদি তাকে(বাবা) এই মুকুট এনে দিতে পারিস তাহলে তার জমিতে ঘর বাড়ি করে জায়গা করে দেবেন। ওই মকিটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী দেবী মন্দিরে দিয়েছিল। ২০২১ সালে যখন নরেন্দ্র মোদী ওই মুকুট দিয়ে যায় তখন থেকেই ওই মুকুটটি সম্পর্কে সমাট ও তার বাবা জানতো। ২০২২ সালে সম্রাট দত্ত নাম দিয়ে হিন্দু সেজে ওই মন্দিরে আসে সম্রাট ফারুক মওলা।

মন্দিরে ঢোকার জন্য পিতা সুবল দত্ত নাম দিয়ে জরুরী একটি পরিচয়পত্র তৈরি করেন। মন্দির কমিটির নিকট পরিচয়পত্র জমা দেন। তারপর থেকে মন্দিরে থাকতে শুরু করেন। সেখানে সেবায়েত রেখার সাথে সম্রাটের পরিচয় হয়। সম্রাট রেখাকে দুই লাখ টাকা দিতে চান যাতে সে ওই মুকুট দিয়ে দেয়। ২০২২ সালে স্থানীয়দের কাছে মুসলিম হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে গেটে সম্রাট ঢাকায় চলে যায়। ভিডিওতে যে মুকুট চোর আল আমিনকে দেখা যায়সম্রাট ২০২৩ সালে ওই আল আমিনের সঙ্গে সম্পর্ক করে। আল আমিন জুরাইনের পাশে শ্যামপুর বারুইতলা থাকে। একটি চায়ের দোকানে আল আমিনের সাথে পরিচয় হয়। আল আমিনকে মাঝে মাঝে খাওয়ার টাকা দিতেন সম্রাট। গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাবা সম্রাকে ৫ হাজার টাকা দেয়। ওই দিন আল আমিনকে নিয়েসম্রাট সাতক্ষীরা শহরে এসে রেখার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। ২৫ সেপ্টেম্বরসম্রাট ঢাকায় চলে যায়। ১০ অক্টোবরসম্রাট রামপুরার একটি মেসে সিট ভাড়া নেয়। ওই মেসে ওঠে। ০২,০৩ তারিখে বাবা এসে সম্রাকে কিছু টাকা দিয়ে যায়। গত ৯ অক্টোবর ঢাকা থেকে শ্যামনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়সম্রাট ও আল আমিন। রাতে শ্যামনগরে পৌঁছায়।

সম্রাট ও আল আমিন একিিট হোটেলে ওঠে। ১০ অক্টোবর আল আমিন মুকুট চুরি করতে দেবীর মন্দিরে যায়। তখন সে বংশীফুর বাজারে বসে ছিলো আল আমিনের জন্য। পরে আল আমিন মন্দিরের ভিতরে যায়। রেখা আল আমিন গেলে গেটের তালা খুলে রাখে। পরে আল আমিন মন্দিরে ঢুকে মুকুট চুরি করে নিয়ে আসে। মুকুট নিয়ে আল আমিন বংশীপুর বাজারে সম্রাটের কাছে আসে। আল আমিন মুকুটটি সম্রাটের কাছে দিয়ে দিলে তারা দুজন ঢাকায় চলে আসে। ১১ অক্টোবর সকালে তারা ঢাকায় পৌঁছায়।সম্রাট রামপুরার বাসায় উঠলে ১২ অক্টোবর বাবা সম্রাটের কাছ থেকে মুকুট নিয়ে যায়। বাবা তাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে যায় আল আমিনকে দেওয়ার জন্য। আল অমিনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়। ৫০ হাজার টাকা আল আমিনকে দিয়ে তাকে ভারতে চলে যেতে বলে সম্রাট। আল আমিন টাকা নিয়ে ভারতে পালায়। সম্রাটের বাবা মুকুটের কথা কাউকে বলতে নিষেধ করে। ওই মিিকট কোথায় সম্রাট জানে না।সম্রাট রামপুরায় অবস্থান করতে থাকলে মোবাইল ট্যাকিং এর মাধ্যমে পুলিশ তাকে ২১ অক্টোবর ধরে নিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আহম্মদ কবীর সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। সঞ্জয় ও পারুলের জামিন না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এড. জিয়াউর রহমান।

(আরকে/এসপি/অক্টোবর ৩১, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০১ নভেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test