২৫ মার্চ : ভয়াল সেই দিনের কথা

রহিম আব্দুর রহিম
৫২'র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র মুক্তিযোদ্ধা অম্লান, অমলিন, যা জীবন্ত এবং প্রজ্জ্বলিত বাঙালির এক মুক্তির দাললিক মহাকাব্য। যা ধ্বংস হবার নয়, ক্ষয়ে যাবার নয়। শোষিত, নিপীড়িত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা, মুক্তির সংগ্রামের আত্মনিয়োগের প্রস্তুতি, স্বাধীনতার ঘোষণা, রক্তক্ষয়ী ন'মাসের সমরযুদ্ধ সবকিছু মিলেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, যা আমাদের গৌরবের, অহংকারের স্মৃতি গাঁথা, বাংলার আপামর জনমানুষের মহাকাব্য। এই কাব্যের শুরুর অধ্যায় গণহত্যার নৃশংস দলিল। পাকিস্তান শাসক শোষকরা দীর্ঘ সময় বাঙালি জাতির উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শোষণ এবং দমন পীড়ন চালিয়েছে সু-কৌশলে। যার প্রতিচ্ছবি ৭১'র ২৫ মার্চের কালোরাত। ওই দিন শোষকরা বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দমন করার লক্ষ্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরীহ নিরাপরাধ মানুষের উপর নির্মম সামরিক অভিযান চালায়।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ ও পরিকল্পনায় পূর্ববাংলার শহর বন্দর দখলে নেবার সেইদিনের ভয়াল হত্যাযজ্ঞ আমাদের করুন ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের অমিয় দলিল। ১৯৭১'র ২৫ মার্চ, মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মুহূর্ত৷ ওই দিনের রাতেই পৃথিবীর ইতিহাসের ভয়াবহ গণহত্যার শিকার হয় স্বাধীনতাকামী বাঙালিরা৷ ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া বহর নিয়ে রাজপথে নামে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী৷ রাতের অন্ধকারে রক্তপিপাসু শোষকরা রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পিলখানার ইপিআর ব্যারাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস, শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা ও পুরান ঢাকার শাঁখারি বাজারসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। গ্রেফতার করে শেখ মুজিবুর রহমানকে, তাঁকে নিয়ে যায় পাকিস্তানের কারাগারে। ওই সময়ের ভয়াবহ বর্ণনা উঠে আসে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড পত্রিকায়।
প্রকাশিত রিপোর্টের ভাষ্য, '২৫ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে ১ লাখ বাঙালিকে পাকিস্তানি বাহিনী হত্যা করেছিল। পত্রিকাটিতে প্রতিবেদক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে উল্লেখ করেন, '২৫ মার্চ রাতের বর্ণনা দিয়েছেন ওই সময়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অস্ত্রাগারের দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল মো. আবু শামার। তিনি, তাঁর মুখে ভয়াবহ সেই রাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘রাজারবাগে আক্রমণটা হবে গোয়েন্দাদের মাধ্যমে সে সম্পর্কে ২৩ ও ২৪ মার্চেই ক্লিয়ার হয়ে যাই৷ পাকিস্তানের আইএসআই গোয়েন্দা সংস্থা রাজারবাগকে সিরিয়াসভাবে টার্গেট করে রেখেছিল৷ কারণ, ইস্ট পাকিস্তানের বৃহত্তম পুলিশ লাইনস ছিল রাজারবাগ৷ সেখানে বাঙালি সদস্য ছিল সবচেয়ে বেশি৷ রাত আনুমানিক সাড়ে দশটা৷ একটা ওয়্যারলেস মেসেজ আসে তেজগাঁও এলাকায় পেট্রোলে থাকা ওয়্যারলেস অপারেটর আমিরুলের কাছ থেকে৷ মেসেজে বলা হয়, ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৩৭ ট্রাক সশস্ত্র সেনা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে৷ খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে৷ সেন্ট্রিও তখন পাগলা ঘন্টি পিটায়৷
অস্ত্রাগারে গিয়ে দেখলাম তালা মারা৷ সেন্ট্রি বলে, ‘হাশেম স্যার (সুবেদার আবুল হাশেম) তালা মাইরা চাবি নিয়া গেছে মফিজ স্যারের বাসায়৷’ দৌঁড়াইয়া গেলাম সেখানে৷ তার কাছে অস্ত্রাগারের চাবি চাই৷ প্রথম দিতে চায়নি৷ চাপের মুখে তিনি একটা অস্ত্রাগারের চাবি দেন৷ ওই চাবি নিয়া একটা অস্ত্রাগারের দরজা খুলে দিই৷ এরপর শাবল দিয়া আরেকটির তালা ভেঙে ফেললে ভেতরের অস্ত্রগুলো যে যার মতো নিয়ে যায়৷ অবাঙালি সদস্যরা আগেই পালিয়ে যায় পুলিশ লাইনস থেকে৷ শুধু সুবেদার বদরুদ্দিন খান অবাঙালি হয়েও আমাদের পক্ষে ছিলেন৷ শান্তিনগরে ডন স্কুলের ছাদের ওপরে আর মালিবাগ এসবি ব্যারাকের ছাদে আমাদের দুইটা গ্রুপ চলে যায়৷ প্যারেড গ্রাউন্ডে একটা গ্রুপ, এক নম্বর ও দুই নম্বর গেইট, মূল ভবনের ছাদ ও বিভিন্ন স্থানে পজিশন নিয়ে অপেক্ষায় থাকি আমরা৷রাত আনুমানিক ১১টা৷ পাকিস্তানি কনভয়ের ওপর শান্তিনগরে ডন স্কুলের ছাদের ওপর থেকে পুলিশ প্রথম গুলি চালায়৷ আমরাও শব্দ পাই৷
পাকিস্তানি আর্মিদের ওপর ওটাই ছিল প্রথম আক্রমণ৷শাহজাহান, আব্দুল হালিম, ওয়্যারলেস অপারেটর মনির, গিয়াসউদ্দিনসহ পজিশনে থাকি মূল ভবনের ছাদে৷ রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজারবাগের দিকে ওরা আক্রমণ করে৷ আমাদের ১০টা গুলির বিপরীতে ওরা জবাব দিয়েছে প্রায় কয়েক হাজার গুলির মাধ্যমে৷ ওরা ট্যাংক, মর্টার ও হেভি মেশিনগান ব্যবহার করে৷ অল্প সময়ের ভেতর টিনশেডের ব্যারাকগুলোতে আগুন লেগে যায়৷ জীবন বাঁচাতে ভেতর থেকে পুলিশ সদস্যরা দৌঁড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে৷ পাকিস্তানি সেনারা তখন ব্রাশফায়ার করে নির্মমভাবে তাদের হত্যা করে৷ ফজরের আজানের পর আর্মিরা রাজারবাগের এক ও দুই নম্বর গেট দুটি ট্যাংকের সাহায্যে ভেঙে ভেতরে ঢুকে৷ আসে ১০টি খালি ট্রাকও৷ এক থেকে দেড়'শ পুলিশের লাশ পড়ে ছিল৷ ওগুলো ট্রাকে করে ওরা সরিয়ে ফেলে৷ ভেতরে ঢুকে ছাদে উঠে টেনেহিঁচড়ে নামায় আমাদের৷ বেয়োনেট দিয়েও খুঁচিয়েছে, অস্ত্র কেড়ে নিয়ে হাত উপর দিকে তুলে মারতে মারতে নীচে নামিয়েছে৷ তারপর রাস্তায় ফেলে ক্রলিং করায় আর নির্দয়ভাবে পেটায়৷ দেখলাম একটা ময়লার ড্রেনে পড়ে আছে আমাদের ক্যান্টিন বয়৷ বয়স চৌদ্দ বছরের মতো৷ আর্মিরা তাকে সেখান থেকে উঠিয়ে পিচঢালা রাস্তায় এনে আছড়ায়৷ তার মুখ ফেটে রক্ত বের হতে থাকে৷ ছেলেটা কাঁপতে কাঁপতে বলছিল 'পানি..পানি৷' এক পাকিস্তানি আর্মি পাশে নিয়ে প্যান্টের জিপার খুলে তার মুখে প্রস্রাব করে দেয়৷ ওই মুহূর্তটা খুবই খারাপ লাগছিল৷ মানবতা প্রতি মুহূর্তে পদদলিত হয়েছে রাজারবাগে! তিনদিন আটকে রেখে আমাদের ওপর নির্মমভাবে টর্চার করে ওরা৷ রাইফেলের বাঁটের আঘাত, বুটের নীচে ছিল লোহার পাত, সেটা দিয়ে দেয় লাথি, শরীরের প্রতিটি জায়গা ছিলে যায়, রক্তাক্ত হই৷ মুখেও আঘাত করেছে৷ সবগুলো দাঁতের গোড়া ভেঙে যায়৷ ফলে সব দাঁতই পড়ে গেছে৷ এক ফোঁটা পানিও খেতে দেয়নি৷ শরীরের রক্ত মুখে চলে এলে লবণ-কাঁটা লাগতো৷ ভাবিওনি বেঁচে থাকবো৷ বেঁচে আছি এটাই আল্লাহর রহমত৷'
ওই রাতে পাকিস্তানি সেনারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, ইকবাল হল ও রোকেয়া হলেও গণহত্যা চালায়৷ বিশ্ববিদ্যালয় কৃর্তপক্ষ ১৯৫ জন শহিদের তালিকা করলেও বিভিন্ন তথ্য বলছে ওই রাতে সেখানে আড়াই শ থেকে তিন শ জনকে হত্যা করা হয়েছে৷ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওয়্যারলেসের সংলাপেও হত্যার এমন সংখ্যার উল্লেখ পাওয়া যায়৷ জগন্নাথ হলে হত্যার শিকার হন ৪ শিক্ষক, ৩৬ ছাত্র এবং ২১ কর্মচারী ও অতিথি৷ ছয় ছাত্রকে পাকিস্তানি সেনারা কবর খোঁড়ার কাজে লাগায়৷ এরপরও তাঁরা বাঁচতে পারেনি৷ ইকবাল হলে ওরা ১১ ছাত্রকে লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে গুলি করে৷ এরপর রোকেয়া হলে আগুন ধরিয়ে দিলে ছাত্রীরা হল থেকে দৌঁড়ে বের হয়ে আসে৷ তাদের তখন মেশিনগান দিয়ে অবিরাম গুলি করা হয়৷ অনেককে হত্যা করা হয় বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে ছিলেন মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন৷ ২৫ মার্চে রাতে কী দেখেছিলেন তিনি? সাংবাদিককের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি তাঁর ভাষায় বলেন, ‘‘২৫ মার্চ সকাল থেকেই হল ছাড়তে থাকে ছাত্ররা৷ শেষে ছিলাম মাত্র একচল্লিশ জনের মতো৷ ডাইনিং বন্ধ৷ রাতের খাবারের জন্য চলে যাই সচিবালয়ের পেছনে, চিটাগাং রেস্টুরেন্টে৷ হঠাৎ সাঁজোয়া যানের শব্দ৷ দেখলাম আর্মির কনভয় যাচ্ছে৷ ওদের চোখে মুখে হিংস্রতার ছাপ৷ দ্রুত হলের উত্তর গেটে আসতেই শুরু হয় কামানের গর্জন৷ গোলাগুলিরও শব্দ পাই অবিরত৷ আমরা চার বন্ধু হলের ছাদে অবস্থান নিই৷ নানা শঙ্কায় কাটে গোটা রাত৷ ওরা আগে আলোর মতো একটা গুলি ছোঁড়ে৷ এরপরই ফায়ার করতে থাকে৷ রাত দুইটার পর দেখি পুরান ঢাকার দিকে দাঁউ দাঁউ করে আগুন জ্বলছে৷ চারপাশে শুধু গুলি, চিৎকার আর মানুষের কান্নার শব্দ৷ ফজরের আজান পড়েছে তখন৷ কিন্তু আজানের সময়ও পাকিস্তানি সেনারা গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছিল৷ কেন জানি ওরা ফজলুল হক হলে আসেনি৷ ফলে দৈবক্রমে বেঁচে যাই আমরা।২৬ মার্চ ভোরবেলায়, শহিদুল হক হলে অ্যাটাক হয়৷ ছয় জনের লাশও পড়েছিল৷
আর্মিরা আমাদের হলে আসে৷ আমরা যে যার মতো লুকিয়ে থাকি৷ আমি চলে যাই তিনতলায়, ৩৫২ নম্বর রুমের বারান্দায়৷ওরা এলে দারোয়ান বলে, ‘এই হলে ভাল ছাত্ররা থাকে৷ ছুটির কারণে সবাই বাড়ি চলে গেছে৷ এখন কেউ নাই, স্যার৷' কিন্তু বাংলাদেশের একটি পতাকা তখনও হলের সামনে পতপত করে উড়ছিল৷ তা দেখে আর্মিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, অশ্লীল একটা গালি দিয়ে দারোয়ানের ওপরই চড়াও হয়৷ এরপর পতাকাটি নামিয়ে বুটের তলায় কিছুক্ষণ মাড়িয়ে তাতে তারা আগুন ধরিয়ে দেয়৷ রাগে চারদিকে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোঁড়ে৷ একটি গুলি এসে পড়ে আমার ঠিক সামনেই৷ কোনো প্রত্যুত্তর না পেয়ে আর্মিরা তখন অন্যত্র চলে যায়৷ ফলে মৃত্যুর খুব কাছাকাছি থেকেই ফিরে আসি৷"একাত্তরে তৌফিকুর রহমানরা থাকতেন সরকারি কোয়ার্টারে, চাঁনখারপুলের রশিদ বিল্ডিংয়ে৷ ২৫ মার্চের রাতের কথা স্মরণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সারারাত গোলাগুলির শব্দ৷ ওরা যে গণহত্যা চালিয়েছে এটা ক্লিয়ার হই ভোরের দিকে৷ গেটের বাইরে গিয়েই থ বনে যাই৷ রাস্তা সুনসান৷
হঠাৎ কার্জন হলের দিক থেকে একটা আর্মিদের জিপ আসে৷ জিপে এলএমজি ফিট করা৷ ওরা ফায়ার করতে করতে আসছে৷ স্যান্ডেল ফেলে দৌঁড়ে দেয়াল টপকে কোনো রকমে বাসায় চলে আসি৷ বাসার সামনে টং দোকানে একটা ছেলে সিগারেট বিক্রি করতো, বরিশাল বাড়ি তার৷ দোকানের ভেতর থেকে সে বের হতে গেলে তাকেও গুলি করে হত্যা করে ওরা৷পরে ভয়ে ভয়ে জগন্নাথ হলের দিকে যাই আমি৷ রাতে ওদিকেই গুলির শব্দ হচ্ছিল৷ দূর থেকে দেখলাম অনেক মানুষের গুলিবিদ্ধ ডেডবডি পড়ে আছে৷ কারো মাথায়, কারো বুকে, কারো পেটে গুলি লেগেছে৷ কয়েকজনকে বেওনেট দিয়ে খুঁচিয়েও মারা হয়েছে৷ রক্তের গন্ধ তখনো ছড়াচ্ছিল৷ এক রাতে ওরা ফুলবাড়িয়া রেললাইনের দুই পাশের বস্তিগুলোও পুড়িয়ে দেয়৷ মানুষের আর্তচিৎকারে ভারি হয়ে ওঠে ঢাকার বাতাস৷ ’
’বজলুল মাহমুদ বাবলুর বাড়ি ঢাকার সেন্ট্রালরোডে৷ তিনি বলেন, ‘‘সারারাত শুনেছি মানুষের আর্তচিৎকার ও গুলির শব্দ৷ পরেরদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ ওঠে৷ মানুষ তখন ঢাকা থেকে পালাতে থাকে৷ মোড়ে মোড়ে বন্দুক তাক করে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানি আর্মি৷ নিউ মার্কেটের দিকে এগোতেই দেখি লাশের স্তূপ৷পলাশী হয়ে ইকবাল হলের দিকে যেতেই চোখে পড়ে শত শত লাশ৷ ওইদিন ঢাকার রাজপথে ছিল পঁচা লাশের গন্ধ৷’’
কামরুল আমানরা থাকতেন নারায়ণগঞ্জে৷ ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যার কথা তিনি তুলে ধরেন এভাবে, ‘‘কারফিউ চলছিল৷ তা শিথিল হতেই রওনা হই ঢাকার দিকে৷ মাতুয়াইলে এসে দেখি রাস্তার ঢলে পড়ে আছে ৭-৮ জনের গলাকাটা লাশ৷ তাদের কখন মারা হয়েছে কেউ জানেন না৷ দেহ তখনও কই মাছের মতো নড়ছিল৷ এ যেন জিন্দা লাশ! বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় গিয়ে দেখি একজনের হাতের কব্জি বেরিয়ে এসেছে মাটির উপরে৷ তারপরে ছুটে যাই শাঁখারি পট্টিতে৷ কী নির্মমভাবে ওরা মানুষ পুড়িয়েছে! কোর্ট বিল্ডিংয়ের পাশেই শাঁখারি পট্টির প্রবেশমুখ৷ সেটি বন্ধ করে আগুন দিয়ে দেয় পাকিস্তানি সেনারা৷ সবাই পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে৷ কয়েকটি বাড়িতে তখনও আগুন জ্বলছিল৷ একটি বাড়িতে পা রাখতেই গা শিউরে ওঠে৷ মানুষ পুড়ে তার চর্বি গলে মেঝেতে পড়ে আছে৷ তাতে পড়েছে আমার পা৷ এর চেয়ে ভয়াবহ আর মর্মান্তিক দৃশ্য আর কী হতে পারে!’ চলতে থাকে যুদ্ধ, যুদ্ধ আর যুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাসের ভয়াল যুদ্ধে লাখো মা বোনের সম্ভ্রম, ত্রিশ লক্ষ শহীদ এর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ করি, পাই সবুজ শ্যামলিমায় ভরা মাতৃভূমিতে রক্তের ছোঁপাকৃত একটি পতাকা। আকাশে বাতাসে এখন শুধুই ভেসে আসে 'এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলো যারা আমরা তোমাদের ভুলবো না....।'
লেখক: কলামিস্ট ও নাট্যকার।
পাঠকের মতামত:
- খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় ঈশ্বরদীতে যুবদলের দোয়া মাহফিল
- চট্টগ্রাম বেতার থেকে এম.এ.হান্নান বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন
- ঈশ্বরদীতে মাদকের অভিযানে গাঁজাসহ আটক ১
- বাংলাদেশি শিশুদের বিশেষ ‘ব্যাগপ্যাক’ উপহার দিল এমিরেটস
- গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা আব্দুল মালেকের জামিন নামঞ্জুর
- চাঁদা না পেয়ে জোরপূর্বক জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ শাহাদাত গং এর বিরুদ্ধে
- ‘রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আছে, এ প্রচেষ্টা চালু থাকবে’
- সাতক্ষীরায় জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত
- কুমার নদে বালু উত্তোলনের দায়ে দুইজনকে জরিমানা
- সালথায় গণহত্যা দিবস পালিত
- নড়াইলে অবসরপ্রাপ্ত মেজর ওবায়দুল হকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হামলার অভিযোগ
- যাকাতের ৪০০ শাড়ি লুঙ্গি বিতরণ করলেন ডা. মুখলেছুর রহমান
- সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন স্কুল শিক্ষিকা
- সোনারগাঁয়ে ছিনতাই হওয়া মোবাইল কেনার অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
- সেনাসদ্যসের বৈঠক ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তোলপাড়, ঘটনা সাজানো দাবি করে মানববন্ধন
- লোহাগড়া-লক্ষীপাশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- ৯০ দিনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে স্টারলিংক চালুর নির্দেশ
- নবগঠিত কমিটির নেতাদের ওপর পদবঞ্চিতদের হামলা, আহত ১০
- রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৯৪
- আগৈলঝায় র্যাব ও পুলিশের পৃথক অভিযানে ইয়াবা-গাঁজাসহ দুই ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- আগৈলঝাড়ায় প্রশাসনের উদ্যোগে গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- গোপালগঞ্জে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা
- কাপাসিয়া ফজিলা আলী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অসহায়দের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ
- নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন, পুড়েছে ১০ একর বনভূমি
- বাগেরহাটে শিশু শিক্ষার্থীদের ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ
- গোপালগঞ্জে ২টি স্বর্ণের দোকান পুড়ে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি
- অদম্য মেধাবী এক কিশোরের গল্প, ভালো কলেজে ভর্তি নিয়েও সংশয়
- স্বাধীনতা দিবস ওয়ালটন আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা প্রতিযোগিতা শুরু
- বাজার ধরতে অপরিপক্ব রসুন তুলছেন রাজবাড়ীর কৃষকরা
- শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের ভাতা
- গোপালগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদুকের মামলা
- চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ
- ঈশ্বরদীতে খেজুরের রস পান করে একই পরিবারের ৫ জন হাসপাতালে
- সুন্দরবনে যৌথ অভিযানে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুই সন্ত্রাসী আটক
- রাজবাড়ীতে তিন দিনব্যাপী তারুণ্য মেলার উদ্বোধন
- বিস্ফোরক মামলায় ২ শতাধিক আসামির জামিন
- ধর্মীয় উপাসনালয় রক্ষার আহ্বান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
- দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সুপেয় পানির তীব্র সংকট
- সঙ্গী নন এমন ব্যক্তির মাধ্যমে নারী নির্যাতন বেশি ঢাকায়
- প্রবীণ সাংবাদিক স্বপন দত্ত আর নেই
- সাভার থেকে নিখোঁজ রাশেদ ফরিদপুর থেকে উদ্ধার
- রাজবাড়ীতে জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টশন কর্মশালা
- নারী দিবসের প্রত্যাশা নারীর অগ্রগামিতা
- সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করতে সাতক্ষীরায় কৃষকদের মাঠদিবস পালন
- মেলান্দহে চার ইউপি চেয়ারম্যান আটক