মহা শিবরাত্রির ইতিহাস ও জগতের মঙ্গল কামনা

মানিক লাল ঘোষ
সনাতনীদের ভাবনায় শিব দেবাদিদেব মহাদেব। ব্রহ্মা-বিষ্ণুর সঙ্গেই উচ্চারিত হয় তাঁর নাম। একদিকে শিব মহাপ্রলয়ের দেবতা আর অপরদিকে কল্যাণ সুন্দর। পণ্ডিতগণ মনে করেন শিব প্রাগার্য সংস্কৃতির দেবতা। মহেঞ্জোদরোর একটি শিলে পশুপতির প্রতিকৃতি খোদিত দেখা যায়। আবার বৈদিক রুদ্র ছিলেন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ঝঞ্ঝার দেবতা। শিবের সঙ্গে এই রুদ্র সম্ভবত পরে মিলেমিশে যান।
শিবপত্নী উমা-পার্বতী। যুগ যুগ ধরে ভারতীয় উপমহাদেশপ দাম্পত্যের শ্রেষ্ঠ আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। গুপ্ত-পাল-সেন পর্বে উমা-মহেশ্বরের যুগ্মমূর্তি বেশ জনপ্রিয় ছিল। বাংলার বিভিন্ন স্থানে এমন প্রস্তরমূর্তি অনেক দেখা গিয়েছে। পশ্চিম বাংলার বর্ধমান জেলার বিভিন্ন গ্রামে আজও হরগৌরীর প্রস্তরমূর্তি পূজা করা হয়। এছাড়াও কলিগ্রামে, মঙ্গলকোটের বনকাপাশি কিংবা কাটোয়ার বিকিহাটসহ অনেক গ্রামে এখনো কুমারী মেয়েরা মনের মতো বরের কামনায় শিবপূজা করেন। ভৌগোলিক সীমানার প্রাচীর ডিঙিয়ে বাংলাদেশের সনাতনী কণ্যাদের ওপরেও এর প্রভাব পড়েছে। শিব-পার্বতীর বিয়ের মূর্তিকে বৈবাহিক,পাণিগ্রহণ, কল্যাণসুন্দর মূর্তি বলা হয়। বিভিন্ন গুহাশিল্পে, মন্দিরগাত্র কিংবা স্বতন্ত্র মূর্তিফলক হিসেবে এই মূর্তি নান্দনিক শিল্পকর্ম হিসেেবে দেখা যায়।
শিবপুরাণ, পদ্মপুরাণ, স্কন্দপুরাণ প্রভৃতি পুরাণে, মহাকাব্যে, প্রাচীন সাহিত্যে শিবের গার্হস্থ্য জীবন বর্ণিত হয়েছে। শিবের গলায় মালা দিয়েছিলেন দক্ষকন্যা সতী। শিবের চালচলন, পোষাক,ও সাংসারিক জীবনের প্রতি উদাসিনতার কারণে শিব-বিরোধী দক্ষ এক বার শিবহীন যজ্ঞের আয়োজন করলেন। সেখানে সতীর উপস্থিতিতে শিবের নিন্দা শুরু হল। সতী, পতির অপমান সইতে না পেরে যজ্ঞকুণ্ডে প্রাণ বিসর্জন দিলেন। স্বামীর প্রতি সতীর এই ভালোবাসা, তার অপমানে আত্ম বিসর্জনে শিব দিশেহারা ও কোধান্বিত হয়ে দক্ষযজ্ঞ লণ্ডভণ্ড করে সতীর দেহ কাঁধে নিয়ে প্রলয় নাচনে মেতে উঠলেন। সৃষ্টি বুঝি রসাতলে যায়। বিষ্ণু সুদর্শন চক্রে সতীর দেহ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে দিলেন বৃহত্তর ভারতবর্ষে। তার পরে মহাদেব গভীর ধ্যানে ডুবে গেলেন।
এ দিকে, সতী জন্ম নিলেন হিমালয়কন্যা উমা রূপে। স্বর্গরাজ্য তখন অসুর, দানবদের করতলে। তারকাসুরকে বধ করতে চাই শক্তিশালী দেবসেনাপতি। ব্রহ্মা বললেন, যেমন করেই হোক উমার সঙ্গে মহেশ্বরের বিবাহ দিতে হবে। তবেই জন্ম হবে কার্তিকের। দেবতাদের প্রচেষ্টায় গৌরীর তপস্যায় মদন ভস্মের পরেই হরগৌরীর পরিণয় সুসম্পন্ন হয়।
পুরাণ-লোকশ্রুতি অনুসারে শিব-গৌরীর বিয়ের স্থানটি উত্তরাখণ্ডে রুদ্রপ্রয়াগ জেলার ত্রিযুগীনারায়ণ গ্রামে। মন্দাকিনী ও শোনগঙ্গার মোহনায় অবস্থিত এই পৌরাণিক জনপদটি ছিল হিমালয় রাজার রাজধানী। এই বিবাহ দিয়েছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা। আর নারায়ণ গৌরীকে সমর্পণ করেন শিবের হাতে। চৈত্র মাসে শিবগাজন উৎসব অনেকের মতে হর-কালীর বিয়ের অনুষ্ঠান। যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি লিখেছেন, ‘‘শিবের গাজনের প্রকৃত ব্যাপার হর-কালীর বিবাহ। সন্ন্যাসীরা বরযাত্রী। তাহাদের গর্জন হেতু গাজন শব্দ আসিয়াছে। ধর্মের গাজনে মুক্তির সহিত ধর্মের বিবাহ হয়। দুই বিবাহ-ই প্রচ্ছন্ন।’’
পৌরাণিক মতে, হরগৌরীর বিবাহ হয় শিবরাত্রির পুণ্যলগ্নে। অনেকেই বলেন, প্রতি কৃষ্ণপক্ষের চৌদ্দতম রাত্রিই শিবরাত্রি। কিন্তু ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চৌদ্দতম রাত্রি হল মহাশিবরাত্রি। এই মহা শিবরাত্রি মূলত শিবচতুর্দর্শী নামে অভিহিত।এই রাত্রিকে বছরের সবচেয়ে অন্ধকার রাত বলে মনে করা হয়। এই রাতেই মহাদেব গৌরীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দিন ভারত ও বাংলাদেশের বহু শিবমন্দিরে হরগৌরীর বিবাহ অনুষ্ঠান কোথাওবা এ উপলক্ষে মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
কেউ কেউ পুণ্য সঞ্চয়ের অভিলাষ, কেউ কেউ দীর্ঘলালিত মনোস্কামনা পূরণের আশায় ভক্তি আর বিশ্বাসে ফাগুনের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে পালণ করে শিবরাত্রি।এই শিবরাত্রির সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা কাহিনি এবং কিংবদন্তি। উৎসবের আচার অনুষ্ঠানেও দেখা যায় নানা রীতি রেওয়াজ। কোথাও শিব–পার্বতীর বিয়ে, কোথাও বা নানা উপচার নির্বিশেষে সারা দিনের উপবাসের শেষে শিবের পুজো করে থাকেন পুণ্য লাভের আশায়। এমনটাই তো চলে আসছে যুগ যুগান্তর ধরে।
এই শিবরাত্রি নিয়ে শোনা যায় এক প্রচলিত কাহিনি। কাশীতে এক ব্যাধ বাস করত। সারা দিন বনে শিকার করে সন্ধ্যায় সে বাড়ি ফিরত। এমনই এক বনে গিয়ে সারাদিন অনাহারে ক্লান্ত সেই ব্যাধ একটি গাছের নীচে বিশ্রাম নিচ্ছিল। যখন তার ঘুম ভাঙল তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। ব্যাধ বুঝতে পারল সে দিন আর গভীর জঙ্গল অতিক্রম করে বাড়ি ফেরা সম্ভব নয়। তাই ঠিক করল একটি গাছের উপরে রাত কাটিয়ে পর দিন বাড়ি ফিরবে। কাছেই ছিল একটি প্রাচীন বেলগাছ। ব্যাধ তখন কাছেই একটি বেলগাছের ডালে শিকারগুলিকে বেঁধে রেখে নীচে একটি শক্ত ডালের উপরে বসে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেই বেলগাছের কাছেই একটি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত ছিল। গাছের উপরে ব্যাধের নড়াচাড়ার ফলে একটি বেলপাতা সেই শিবলিঙ্গের উপরে গিয়ে পড়ে। সে দিন ছিল শিবচতুর্দশী বা শিবরাত্রি। নিজের অজান্তেই উপবাসী থেকে বেলগাছের একটি পাতা শিবলিঙ্গের উপরে পড়ায় সেই ব্যাধের ব্রত পালন হয়ে গিয়েছিল। পর দিন বাড়ি ফিরে, স্নান সেরে সে খেতে বসবে, এমন সময় তাঁর বাড়িতে অতিথি এসেছিল। ব্যাধ অতিথি সেবার রীতি মেনে খাওয়ানোরও ব্যবস্থা করল। ফলে নিজের অজান্তে সে ব্রতের সম্পূর্ণ ফল লাভ করেছিল। বহু বছর পরে ব্যাধের মৃত্যুর সময় এক দিকে যমদূতেরা, অন্য দিকে শিব দূতেরা তাকে নিতে উপস্থিত হল। এই নিয়ে যুদ্ধও বেঁধে গেল। অবশেষে যখন যমদূতরা কৈলাসে শিবের কাছে নালিশ করতে গিয়েছিল ঠিক তখনই শিবের প্রহরী নন্দী যমদূতদের বলেন, যেহেতু ব্যাধ শিবচতুর্দশীর ব্রত পালন করে পুণ্য অর্জন করেছে তাই তাকে যমদূতেরা নিয়ে যেতে পারেন না। যমদূতরা, যমরাজের কাছে গিয়ে যখন এ কথা জানাল যমরাজ নাকি বলেছিলেন, এই ব্রত যে পালন করবে তার উপর যমের কোনও অধিকার থাকবে না। এই ব্রত মানুষকে সর্ব পাপ থেকে উদ্ধার করে। সেই বিশ্বাস নিয়ে পুণ্যার্জনের আশায় নারী-পুরুষ যুগ যুগ ধরে এই ব্রতের পালন করে আসছে।
সিন্ধু উপত্যকায় প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে অনুমান করা যায় সিন্ধু সভ্যতার যুগেও বিক্ষিপ্ত ভাবে লিঙ্গ রূপে শিব পূজিত হতেন। পরবর্তী কালে বৈদিক যুগে রুদ্রের সঙ্গে তিনি মিলিত হলেন। তবে প্রাক আর্য যুগ থেকেই শিব ঊর্বরতা এবং প্রজননের দেবতা হিসেবে পূজিত হয়েছেন। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে অন্যান্য নানা গুণ।
ব্রতকথা অনুযায়ী, শিবরাত্রি ব্রতের ব্যাখ্যা করেন মহাদেব স্বয়ং। পার্বতী মহাদেবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, প্রভু, এমন এক সহজ ব্রত বলে দিন, যা সকলেই পালন করে পাপমুক্ত হতে পারে। মহাদেব বললেন, ‘ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে যে ভয়ানক অন্ধকার রাত্রি হয়, তা-ই শিবরাত্রি। শিবরাত্রিতে যে উপবাস করে, আমি তার উপর খুব সন্তুষ্ট হই।… শিবরাত্রিতে চার প্রহরে চারটি গঙ্গামাটির শিব গড়ে পূজা করবে।… ওই দিন রাত্রি জাগবে…’ পুজোর উপকরণ সরল, বেলপাতা আর গঙ্গাজলই যথেষ্ট। জটিল মন্ত্রতন্ত্র কিছু নেই, দীর্ঘ প্রস্তুতিরও প্রয়োজন নেই। সাধে কি আর সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রত, সহজে পাপমুক্তি আর সপরিবার মঙ্গলের ব্যবস্থা!
জাগতিক পাপমোচন ও পরিবারের মঙ্গলকামনায় প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশীতে সনাতনধর্মালম্বীরা ভক্তি সহকারে শিব পূজা করে আসছেন।আর আবাহনকাল থেকেই বাঙালিরা
অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী বলে শিবপূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে যে মেলা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় তা আজ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সার্বজনীন আনন্দ মেলায় পরিনত হয়ে বাঙালির লোক সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
লেখক : ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক।
পাঠকের মতামত:
- ভেড়ামারায় পাঁচটি ইটভাটা বন্ধ করলো উপজেলা প্রশাসন
- কুষ্টিয়ায় ট্রেন থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকার এলএসডি ও জুয়েলারি উদ্ধার
- বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সকল বেতার কেন্দ্র থেকে রিলে করার দাবি
- দিনাজপুরে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
- ‘সরকারি গাড়ি উল্টোপথে গেলেই মামলা’
- ধামরাইয়ে শতাধিক ইটভাটা মালিক-শ্রমিকদের মানববন্ধন
- মাদারীপুরে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- কুষ্টিয়া সীমান্তে আটক ২ ভারতীয় নাগরিককে ফেরত দিল বিজিবি
- পিঠ বাঁচাতে মানববন্ধন করেছে হত্যা, অস্ত্র ও ডাকাতি মামলার পলাতক আসামিরা
- বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণ না করেই ফিরে গেলেন এসিল্যান্ড
- যুুবদল নেতার বিরুদ্ধে টিসিবি পণ্য ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
- বাজার মনিটরিং ও ফুটপাত নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান
- নগরকান্দায় প্রতি ডজন ডিমের দাম ১১৫ টাকা
- মিয়ানমারে ক্ষুদ্র মডিউলার রিয়্যাক্টর স্থাপনে রসাটমের সঙ্গে চুক্তি
- ঈশ্বরদীতে বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ড, আগুনে পুড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
- স্ত্রীকে আনতে গিয়ে পিটুনির শিকার স্বামী, খেলনা পিস্তলসহ উদ্ধার করলো পুলিশ
- মানিক লাল ঘোষ’র কবিতা
- দেশে কন্ট্যাক্টলেস পেমেন্ট বেড়েছে দ্বিগুণ
- বাগেরহাটে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি গ্রেফতার
- ‘শেখ হাসিনার বিচারের সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই’
- ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন ফরিদপুরের কলেজ শিক্ষার্থী রাসেল ফকির
- নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আনিসুল-শাজাহানসহ ১৬ জন
- রমজানে সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার নতুন নির্দেশনা
- সালথায় আলু চাষ করে লাভবান কলেজ শিক্ষার্থী
- ফল চুরির অপবাদে মাদরাসা ছাত্রকে নির্যাতন
- ‘এত বড় দায়িত্বের আমানতকে যেন খেয়ানত না করি’
- জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা
- মহা শিবরাত্রির ইতিহাস ও জগতের মঙ্গল কামনা
- ‘ছ্যাঁকা কেবল তো শুরু, সারাজীবনই দেব’
- ভারতের ৪০ বছরের রেকর্ড ভাঙলো যুক্তরাষ্ট্র
- ঝালকাঠিতে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত
- ‘কমিউনিস্ট পার্টিকে বেআইনী রাখা চলবে না’
- ড. ইউনূস কি জনগণকে পাশে পাবেন না?
- বাংলাদেশের সামনে এখন অনেক কাজ
- খালের টেকসই উন্নয়নে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক
- নির্ভার, তবুও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ইকবাল হোসেন অপু
- তুমি যে সেনা কর্মকর্তার ভাঙা ঘর জোড়া লাগিয়েছিলে, সেই তোমাকে সপরিবারে খুনের উস্কানিদাতা! কী কঠিন হৃদয় তার! এই জন্যই বুঝি তিনি সানগ্লাসে চোখ ঢেকে রাখতেন; চোখ দেখলেও নাকি খুনী চেনা যায়!
- ক্যান্সারের ওষুধ উৎপাদনে রসাটমের নতুন প্রযুক্তি
- পর্দা নামলো বইমেলার
- রমজানে অফিসের নতুন সময়সূচি
- আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের মঞ্চে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা
- স্যামসাং নিয়ে এলো দেশের প্রথম ওএলইডি টিভি এস৯৫ডি
- গুণে ভরা ডাল, কমাবে ওজনও
- নিরাপত্তার স্বার্থে সচিবালয়ের সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ
- ভক্ত সমাগমে আনন্দ মুখর মজলিশপুর সেবাশ্রম