দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসে প্রথম মৃত্যু: প্রয়োজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
বিশ্বজুড়ে এখন নতুন আলোচিত ভাইরাসের নাম হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস, সংক্ষেপে যা এইচএমপিভি নামেও পরিচিতি। করোনার পর কোনো ভাইরাসের নাম শুনলেই ভয়ে চুপসে যান অনেকে। করোনার সেই ভয়াবহতা আর নেই। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কার কথা প্রায়ই বলছেন বিজ্ঞানীরা। এবার সেই শঙ্কার মধ্যেই নতুন এক ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলো। অদ্ভুত নামের ভাইরাসটি বর্তমান সময়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। নতুন এই ভাইরাসের নাম দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব বেড়েছে চীন জাপান, মালয়শিয়া ও ভারতের পর এবার বাংলাদেশেও শনাক্ত হলো।
চীনে আতঙ্ক ছড়ানো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত সানজিদা আক্তার (৩০) নামে এক নারী মারা গেছেন। ১৫ জানুয়ারি বুধবার রাতে রাজধানীর মহাখালী সংক্রামক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোনো রোগী মারা গেলেন। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায় বলে জানা গেছে।
গত ১২ জানুয়ারি সানজিদার এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। জানা যাচ্ছিল ওই নারীর বিদেশ সফরের কোনো ইতিহাস ছিল না। ২০১৭ থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৮ জন আক্রান্ত।
চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে প্রথম এর সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর পর জাপানে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব মালয়েশিয়া ও ভারতেও রয়েছে।এদিকে বাংলাদেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভির বিস্তার ঠেকাতে গত ১৩ জানুয়ারি সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিশেষ নির্দেশনা জারি করে।
* বিমানবন্দরের যাত্রী, স্টাফ ও দর্শনার্থীদের মুখে মাস্ক রাখা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে।
* কারও মধ্যে জ্বর, কফ, শ্বাস ছোট হওয়ার মতো এইচএমপিভির লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে হবে।
* দেশের বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনাকারী দেশি ও বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এবং যেসব দেশে এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী রয়েছে, সেসব দেশ থেকে যাত্রী আনার ক্ষেত্রেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বিমানের ভেতর যদি কারও মধ্যে জ্বর, কফের মতো এইচএমপিভির লক্ষণ দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে হবে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।। বিশেষজ্ঞদের অনেকের শঙ্কা, ২০২৫ সালে আবার করোনার মতো নতুন কোনো মহামারির উদ্ভব হতে পারে। যদিও কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা এখনই দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এইচএমভির প্রাদুর্ভাব ভাবাচ্ছে তাঁদের।
আর একটি মহামারির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনো কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সেটি নিশ্চিত না বলে আগাম মহামারির নাম দেওয়া হয়েছে ডিজিজ এক্স।’
হাম, কলেরা, বার্ড ফ্লু ও স্ক্যাবিসের মতো প্রায় ১১টি রোগকে সম্ভাব্য মহামারির তালিকায় রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে এইচএমপিভির সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাব চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে।আর আগামীর মহামারির প্রধান বৈশিষ্ট্য হবে মারাত্মক ছোঁয়াচে। মানুষের মৃত্যুহার পৌঁছাবে সর্বোচ্চে।
এইচএমপিভির উপসর্গগুলো কী?
এইচএমপিভির উপসর্গগুলো ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতোই। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট।
এইচএমপিভির ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা উন্মেষপর্ব সাধারণত তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে হয়। তবে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো বিভিন্ন সময়কালের জন্য স্থায়ী হয়।
জ্বর, নাক বন্ধ, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী সময় এই ভাইরাসের সংক্রমণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় সংক্রমণের তীব্রতা ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা বা কানে ইনফেকশনের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
কীভাবে ছড়ায়?
এইচএমপিভি অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের মতোই ছড়ায়। যার মধ্যে রয়েছে-
১. কাশি এবং হাঁচি থেকে নিঃসরণ।
২. হাত মেলানো বা স্পর্শ করা।
৩. সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করা এবং তারপর মুখ, নাক বা চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ করা।
এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে কারা
করোনা ভাইরাসের মতো এই ভাইরাসেও সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা। বিশেষ করে আগে যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল, তারা নতুন এই ভাইরাসের আক্রমণে নাজুক অবস্থায় আছেন। বিশেষ করে যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে। দেশে আগেও এইচএমপিভি ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল। এখনও শিশু আর প্রবীণদের শরীরে মিলবে এটির অস্তিত্ব। তবে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। করোনার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই, সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
এইচএমপিভি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী এইচএমপিভি রোগ প্রতিরোধের উপায়
হাত ধোয়া: বারবার প্রয়োজন মতো সাবান পানি অথবা অ্যালকোহল ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে দিয়ে ভালো করে হাত ধুতে হবে। বাইরে থেকে আসার পর, জীবাণু আছে এমন কিছু ধরার পর, আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে আসার পর। অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রে আপনার হাত ভাইরাস মুক্ত রাখতে হবে।
মুখমন্ডল স্পর্শ থেকে বিরত থাকুন: হাত দিয়ে মুখ, নাক ও চোখ স্পর্শ থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ হাত অনেক জিনিস স্পর্শ করে এবং তাতে ভাইরাস হাতে আসতে পারে। হাতে ভাইরাস থাকলে তা মুখ, নাক বা চোখে স্পর্শ করলে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। যখনই স্পর্শ করার প্রয়োজন হবে আগে ভাল করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
সোশ্যাল ডিসটেন্স: আক্রান্ত ব্যক্তি বা আক্রান্ত হতে পারেন এমন সম্ভাবনাময় ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। কমপক্ষে ১ মিটার (৩ ফিট) দূরে থাকতে হবে। শুধু আক্রান্ত ব্যক্তি নয়, সম্ভব হলে সবার কাছ থেকেই দূরত্ব বজায় কথা বলা বা হাটাচলা করতে হবে।
শিষ্টাচার মেনে চলা: আক্রান্ত হলে কাশি শিষ্টাচার অনুশীলন করতে হবে। হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখতে হবে। কফ থুথু সেখানে সেখানে ফেলা যাবেনা। টিস্যু ব্যবহার করতে হবে এবং যথাযথ স্থানে তা ফেলতে হবে।
এড়িয়ে চলা: যেসব জায়গায় মানুষ বেশি জড়ো হয় সেসকল স্থান এড়িয়ে চলতে হবে। সকল ধরণের সভা সমাবেশ, মিছিল, সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতে হবে। এক কথায় মানুষের ভিড়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
গণপরিবহণ: গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে হবে। যদি একবারেই সম্ভব না হয় তাহলে সতর্কতার সহিত চলাফেরা করতে হবে এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
স্পর্শ থেকে বিরত থাকা: অসংখ্য মানুষ স্পর্শ করে এমন আবরণ বা জিনিস স্পর্শ করবেন না। যেসব জিনিস পাবলিকলি ব্যবহৃত হয় তা হাত দিয়ে বা অন্য কোনভাবে স্পর্শ করার আগে সতর্ক থাকতে হবে। পাবলিক অফিসের ডেস্কে বসার আগে কম্পিউটার, কিবোর্ড এবং মাউস জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত। লিফটের বাটন, রেলিং, পাবলিক স্পেসের দরজার হাতল, নব, হোটেল রেস্টুরেন্টের গ্লাস, চায়ের কাপ প্রভৃতিও এ তালিকাভুক্ত। মোটকথা কারও স্পর্শে ভাইরাস থাকতে পারে এমন কিছু ব্যবহারের আগে সতর্ক হোন এবং স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করুন।
বাইরে থেকে আসার পর: বাইরে থেকে আসার পর ঘরে প্রবেশের সময় নিজের পোশাক ও ব্যবহার্য একটি নির্দিষ্ট ঘরে পরিবর্তনের অভ্যাস করুন এবং হাত ও উন্মুক্ত স্থান ভাল করে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজন মনে করলে একবার ব্যবহার করা পোশাক পরিস্কার না করে আবার ব্যবহার করবেন না। বাইরের পোশাক নিয়ে ঘরে ঢুকেই বিছানায় বা সোফায় বসার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
ব্যবহার্য জিনিস: প্রতিনিয়ত স্পর্শ করতে হয় নিজের এমন ব্যবহার্য জিনিস যেমন মোবাইল, মানিব্যাগ, পানির বোতল, গ্লাস, কলম, চায়ের চাপ ইত্যাদি যতদূর সম্ভব স্যানিটাইজ করে ব্যবহার করুন।
মাস্ক ব্যবহার: মুখে মাস্ক পড়ে সামান্য সুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে। ব্যাট-রিওভাইরাস তরল উৎস যেমন হাঁচি-কাশির ফোটা থেকে ফেস মাস্ক কিছুটা সুরক্ষা দিতে পারে। কিন্তু এর মাধ্যমে ভাইরাসের অতি সূক্ষ্মকণা আটকানো একেবারে সম্ভব নয়। তবে যিনি ভাইরাসে আক্রান্ত তার অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।
টাকা-পয়সা: ব্যাংক নোট বা টাকায় নানা ধরণের জীবাণুর উপস্থিতি থাকতে পারে। ফলে ব্যাংক নোটের মাধ্যমে সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনার কথাও বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন। তাই টাকা পয়সা হাত দিয়ে ধরার পর হাত ধুয়ে নিন এবং সচেতন থাকুন।
আলদা ব্যবহার: ঘরের ভিতর এবং বাইরের জন্যে ব্যবহার্য জিনিস আলাদা করে রাখুন। যেমন বাইরে যে সব পোশাক পরিধান করবেন তা ঘরের ভিতর ব্যবহার করবেন না। ঘরের জিনিসের সাথে বাইরের জিনিস যেন না মিশে তা খেয়াল রাখবেন।
শিশু ও বয়স্কদের জন্যে বিশেষ কেয়ার: বয়স্ক মানুষদের বিশেষ করে যিনি অন্যান্য রোগে আক্রান্ত তাঁদের প্রতি স্পেশাল যত্ন নিতে হবে। বয়স্ক মানুষ আক্রান্ত হলে মৃত্যুহার অনেক বেশি।
ভাইরাস একটি অদৃশ্য বিষয়। তা কিভাবে আপনাকে আক্রান্ত করবে তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে সবকিছুর মূল হচ্ছে নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা। হাত না ধুয়ে নিজের মুখমণ্ডল স্পর্শ করবেন না। সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য নিয়মিত ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজে পরিস্কার থাকবেন এবং আশেপাশের সবাইকে পরিস্কার রাখার ব্যাপারে সচেতন করবেন।
হোমিও সমাধান
প্রায় দুই দশক আগে প্রথমবারের মতো এইচএমপিভি ভাইরাস উপস্থিতি জানান দিলেও এখন পর্যন্ত এর এ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিতে টিকা আবিষ্কার হয়নি। আর রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয় এই জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক কে ডা. হানেমানের নির্দেশিত হোমিওপ্যাথিক নিয়মনীতি অনুসারে এইচএমপিভি ভাইরাস সহ নানাবিধ রোগ সহ যে কোন জটিল কঠিন রোগের চিকিৎসা ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ভিওিক লক্ষণ সমষ্টি নির্ভর ও ধাতুগত ভাবে চিকিৎসা দিলে আল্লাহর রহমতে সহজে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। চিকিৎসা বিজ্ঞানে চিরন্তন সত্য বলে কিছুই নেই। কেননা একসময় আমরা শুনতাম যক্ষা হলে রক্ষা নেই, বর্তমানে শুনতে পাই যক্ষা ভাল হয়। এ সবকিছু বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও উন্নয়নের ফসল। নানাবিধ রোগ সমূহ হোমিওপ্যাথিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি। সামগ্রিক উপসর্গের ভিত্তিতে ওষুধ নির্বাচনের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা হয়। এটিই একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে রোগীর কষ্টের সমস্ত চিহ্ন এবং উপসর্গগুলি দূর করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের অবস্থা পুনরুদ্ধার করা যায়।
হোমিও মেডিসিন: লক্ষণ সাদৃশ্যে প্রাথমিক ভাবে যেইসব মেডিসিন এইচএমপিভি জন্য আসতে পারে রাসটক্স, সারসেনিয়া পুরপুরিয়া, ভ্যাকসিনাম, ম্যাল্যান্ডরিনাম, পালসেটিলা, এন্টিমক্রুড, সালফার, থুজা, ভেরিওলিনাম, মারকুরিয়াস সল, সাইলিসিয়া, ব্রায়োনিয়া এল্ব সহ আরো অনেক ঔষধ লক্ষণের উপর আসতে পারে তাই নিজে নিজে ঔষধ ব্যবহার না করে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎকের পরামর্শ নিন।
পরিশেষে বলতে চাই, এইচএমপিভি এলোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোনো চিকিৎসা নেই। তবে যেকোনো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মতই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে এর প্রকোপ রোধ করা যায়। আর হোমিওপ্যাথি সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করলে সাধারণত রোগীরা এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, যদি এই রোগের লক্ষণ দেখতে পান তাহলে দ্রুত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসা নিলে দ্রুত সময়ে সুস্থ হওয়া সম্ভব।
লেখক:কলাম লেখক ও গবেষক, প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।
পাঠকের মতামত:
- ‘নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না’
- টানা তৃতীয় বছরে জনসংখ্যা কমলো চীনে
- ‘প্রশিক্ষণই খেলোয়াড়দের চূড়ান্ত সফলতা আনতে পারে'
- ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন
- ককটেল ফাটিয়ে কোটি টাকার মালামাল লুট, থানায় অভিযোগ
- ‘কুমিল্লায় সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে’
- বাগেরহাটে দিনব্যাপি বসুন্ধরা সিমেন্ট এনডিএফ বিডি বিতর্ক উৎসব
- সাতমেরা ভলিবল টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত
- জিয়া সাইবার ফোর্স সদস্যের ওপর আ.লীগের হামলা, প্রতিবাদে সমাবেশ বিক্ষোভ
- রাজবাড়ীতে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা
- তারেক রহমানের নির্দেশে সালথায় বাবুলের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ
- বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানী আর নেই
- সালথায় গণঅধিকার পরিষদের লিফলেট বিতরণ
- ওয়ালটন প্রথম জাতীয় নারী ও পুরুষ ল্যাক্রোস প্রতিযোগিতা শুরু
- কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা কবির শিকদার গ্রেফতার
- রাজবাড়ীতে ব্যবসায়ীকে মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ সড়ক অবরোধ
- সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম ও তার স্ত্রী সন্তানের নামে দুদকে মামলা
- ছেলে দুবাই, পাঁচু মিয়ার ঠাঁই ঝুপড়ি ঘরে
- কুষ্টিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- গোপালগঞ্জে মামলার ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতার চাঁদা দাবি, থানায় মামলা
- স্মার্টকার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে সেবাকেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
- গোপালগঞ্জে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- ‘মুক্তিযুদ্ধে আ.লীগের অংশগ্রহণ কম ছিল’
- ‘হামলা-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ সব নির্যাতন করেছে আ.লীগ’
- সান্তাহারে এ্যাম্পুলসহ একাধিক মাদক মামলার আসামি গ্রেপ্তার
- মাকে বাঁচাতে জবি শিক্ষার্থীর আকুতি
- খাগড়াছড়িতে বাঙ্গালি ছাত্র পরিষদের সড়ক অবরোধ
- পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা
- নিউ ইয়র্কে সাকিব আল হাসানের নয়া কৌশলে চাঁদাবাজি
- শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে নানা আয়োজন
- বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল : কৃষিমন্ত্রী
- হাইকোর্টে শুনানি কালেই প্রবীরের আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ, অপেক্ষা নতুন বেঞ্চের
- আল জাজিরার প্রতিবেদনে ১৫ বিশিষ্ট নাগরিকের নিন্দা
- ইসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতির কাছে ১০১ আইনজীবীর আবেদন
- সিটি মিনিস্টার পদ থেকে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ
- ‘গণহত্যার সাথে জড়িতদের বিএনপিতে কখনই জায়গা হবে না’
- বান্দরবানে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ২
- তোমার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর প্রথম যে ব্যক্তিটি খুনি মোশতাককে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, তিনি মাওলানা হামিদ খান ভাসানী, যাকে তুমি পিতৃজ্ঞানে শ্রদ্ধা করতে
- জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির রেজাউল সাতদিনের রিমান্ডে
- গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক ধাপে ভর্তি পরীক্ষা
- জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূতকে ভিসা দেয়া সম্ভব নয় : হোয়াইট হাউজ
- 'আমি নিশ্চিত, পিতা মুজিব যদি রাষ্ট্রপতির প্রটোকল মেনে বঙ্গভবনে থাকতেন, তাহলে বাঙালির এতো বড় মহাসর্বনাশ কেউ করতে পারত না'
- জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি পেছাল
- ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে দাবি আদায়ে তুমুল হট্টগোল, সংস্কারের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসন
- ‘বই উৎসব’ বাতিল, উদ্বোধন অনলাইনে