E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণ রোধে প্রয়োজন হোমিওপ্যাথি

২০২৫ জানুয়ারি ১২ ১৭:০৪:৪৪
শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণ রোধে প্রয়োজন হোমিওপ্যাথি

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ


ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। প্রচুর মানুষ এই অসুখে আক্রান্ত। দেখা গিয়েছে যে ইউরিক অ্যাসিডে আক্রান্ত হলে শরীরে কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই বলা হয়ে থাকে যে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা নিয়ে মানুষকে একটু সতর্ক হয়ে যেতে হবে। তাই রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি নিয়ে অনেকেই দুঃশ্চিন্তায় থাকেন। 

ইউরিক অ্যাসিড কী এবং কেন বাড়ে

ইউরিক অ্যাসিড এক ধরনের নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ। মানবদেহে বিপাক ক্রিয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় এবং প্রস্রাবের সঙ্গে তা বের হয়ে যায়।

কোনো কারণে যদি কিডনির মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড কম নিঃষ্কাশন হয় অথবা শরীরে কোনো কারণে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি বেড়ে যায়, তাহলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে পারে।

ইউরিক অ্যাসিড কী কী কারণে বাড়তে পারে

বেশ কিছু কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে পারে। যেমন-

১. কিডনির সমস্যা থাকলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে পারে

২. অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে

৩. বিয়ার জাতীয় অ্যালকোহল পান করলে

৪. সোরিয়াসিস জাতীয় চর্মরোগ

৫. থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে

৬. কিছু রক্তরোগ আছে যার কারণে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারে

৭. ক্যান্সারের চিকিৎসা এবং কিছু ওষুধের পার্শ্বঃপ্রতিক্রিয়ার কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে পারে

৮. এ ছাড়া ইউরিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খেলেও এর মাত্রা বেড়ে যায়।

ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কী হয়

ইউরিক অ্যাসিড বেশি মানেই বড় রকমের শারীরিক সমস্যা আছে এমন নয়। অনেকের ক্ষেত্রেই জিনগত কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ইউরিক অ্যাসিড শরীরে কোনো সমস্যা তৈরি করে না। তবে কিছু ক্ষেত্রে ইউরিক অ্যাসিড শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে (হাড়ের জোড়া) ক্রিস্টাল হিসেবে জমা হয়ে প্রদাহ তৈরি করতে পারে। এর ফলে অস্থিসন্ধি লাল হয়ে ফুলে যায় এবং প্রচণ্ড ব্যথার সৃষ্টি করে। এই অবস্থাকে গাউট বা গেঁটে বাত বলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে গেঁটে বাতে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির গোঁড়ার অস্থিসন্ধি আক্রান্ত হয়। এ ছাড়াও দীর্ঘমেয়াদে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর বা অন্যান্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। আর বর্তমানে বহুমানুষ যারা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের মনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন যে এটাকে কিভাবে কমানো যায়। দেহের অন্তরে ভাঙন সৃষ্টি হওয়ার কারণে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। তাই শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমানোর জন্য রোগীক তার পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া কমাতে হবে।

বিভিন্ন ধরনের খাদ্য, পানীয় যার মধ্যে পিউরিন পাওয়া যায় এবং অনেক সময় শরীরেও পিউরিন উৎপাদিত হতে পারে। তাই 'ইউরিক অ্যাসিড' কীভাবে কমানো যায়, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। রক্ত প্রবাহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ার ফলে আর্থেরাইটিস দেখা দেয় যাকে বাত বলা হয়ে থাকে। বাতকে প্রতিরোধ করার জন্য সঠিক খাদ্য এবং সঠিক ঔষধ গ্রহণ করা দরকার।

যদি ইউরিক এসিড স্বাভাবিকভাবে নির্মূল হয় না যার ফলে বাত দেখা যায়, এবং যেটি রক্ত প্রবাহের সাথে মিশে জয়েন্ট পেইন এবং ব্যথা সৃষ্টি করে।যদি কোন ব্যক্তির বেশি পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকে তাহলে তাকে সঠিক খাদ্য তালিকা অনুসরন করতে হবে।

কারা ইউরিক এসিডে বেশি আক্রান্ত হন

• যাদের বংশে বাতের সমস্যা আছে তারা এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

• যারা প্রোটিন জাতীয় খাবার চাহিদার তুলনায় বেশি খেয়ে থাকে এবং শাক সবজি কম খায়।

• কিছু কিছু ওষুধ রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যেমন : ডাই ইউরেটিক মেডিসিন।

• যাদের উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, হৃদরোগের সমস্যা আছে তাদের ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে।

• যাদের ওজনাধিক্য রয়েছে তারাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

• যারা পানি কম পান করে তাদের এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা আছে।

ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে উল্লিখিত শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

> ইউরিক অ্যাসিডে কি কি খাবার এবং পানীয় গ্রহণ করা যাবে তার একটি তালিকা নিম্নে দেওয়া হল।

* পানি: পানি শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড সহ টক্সিন বের করে দেয় । তাই একজন ব্যক্তির প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতে হবে ।

* বেরি: বেরি বিশেষ করে স্ট্রবেরি, এবং ব্লুবেরির মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে যা শরীরকে জয়েন্টের ব্যথা থেকে আরাম দেয়। তাই এদের ইউরিক অ্যাসিডের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।

* আপেল: আপেল হল ম্যালিক অ্যাসিডের সমৃদ্ধ যা ইউরিক এসিড নিষ্ক্রাষণে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়ার চেষ্টা করুন।

* বিনসের রস: বাতের ব্যথা থেকে আরাম পাওয়ার জন্য আরেকটি কার্যকরী ঘরোয়া উপায় হল বিন্সের রস। বাত বা উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন দুবার করে স্বাস্থ্যকর রস খাওয়া যেতে পারে।

* পিন্টো বিন: ফোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই খাদ্যটি প্রাকৃতিকভাবে ইউরিক এসিড কমাতে সাহায্য করে। ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ পিন্টো বিন্স, সূর্যমুখী বীজ এবং ডাল আপনার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ যা আপনার ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করবে।

* ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: শরীরে ইউরিক অ্যাসিড কমানোর জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ও সাপ্লিমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি ইউরিক অ্যাসিডকে সংহত করে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন আম্লকি, পেয়ারা, কিউই, মিষ্টি লেবু, কমলা লেবু, ক্যাপসিকাম, লেবু, টমেটো এবং সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি খাওয়া উচিৎ।

* উচ্চমাত্রায় ফাইবার জাতীয় খাবার: মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুযায়ী, খাদ্যতালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য শরীরেইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তে এর পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে কিডনির সাহায্যে তা শরীরের বাইরে বের করে দেয়।ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য হিসাবে ইসবগুল, ওটস, ব্রোকলি, আপেল, কমলা, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, শসা, সেলারি, এবং গাজর, বার্লি ইত্যাদি খেতে পারেন। কলাও ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে।

* গ্রিন টি: নিয়মিত গ্রিন টি অর্থাৎ সবুজ চা খান যেটি আপনার ইউরিক এসিড এবং হাইপারইউরেক্সিমিয়াকে (উচ্চ ইউরিক এসিড মাত্রা) নিয়ন্ত্রণ করবে, এবং আপনাকে বাতের সমস্যা থেকে রেহাই দেবে।

* সবজি: টমেটো, ব্রোকলি এবং শসা এমন কিছু খাবার যা আপনার ইউরিক অ্যাসিড কমানোর খাদ্য তালিকায় যুক্ত করা দরকার। যেসব সবজি ইউরিক অ্যাসিড কমাতে পারে, তাদের মধ্যে টমেটো অন্যতম। টাটকা টমেটোর মধ্যে প্রাকৃতিক ক্ষারীয় উপাদান রয়েছে এবং এটি রক্তের প্রবাহে মিশে এটি রক্তের মধ্যে অ্যালমালাইন বৃদ্ধি করে। আলু বা ভূটার মতো কাঁচা সব্জি শরীরে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে কার্যকরী। তাই এদের কাঁচাই খাওয়া উচিত।

এটা অত্যন্ত জরুরী যে আপনি পিউরিন সমৃদ্ধ খাদ্য এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন এতে আপনার শরীরে ইউরিক এসিডের স্তর বাড়বে এবং বাতের সমস্যা শুরু হতে পারে। ফ্রুক্টোজ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার বিষয়টিও সীমিত করা উচিত।

> আপনার যদি ইউরিকঅ্যাসিডের সমস্যা অত্যাধিক পরিমাণে থাকে তাহলে নিম্ন লিখিত খাবার গুলি ত্যাগ করুন।

* অ্যালকোহল: অ্যালকোহল সেবন অবশ্যই কমিয়ে দিতে হবে যেহেতু তাতে পিউরিনের পরিমাণ খুব বেশি রয়েছে যা আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

* চিনিযুক্ত খাবার: ফলের রস এবং চিনিযুক্ত সোডাও শরীরে বাত উৎপন্ন হওয়ার অন্যতম কারণ। মধু এবং চিনির সিরাপের মধ্যে ফ্রুক্টোজ রয়েছে যা রক্তে ইউরিকঅ্যাসিডের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়।

* মাংস, সামুদ্রিক খাবার: এসব খাবার গুলির মধ্যে প্রচুর মধ্যে প্রোটিন রয়েছে যা শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রাকে বাড়াতে সাহায্য করে।

* ডাল: ডালে পিউরিনের পরিমাণ বেশি থাকে তাই এটিকে কম খাওয়া উচিৎ।

* সবজি: ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেশি থাকলে বেশি পরিমাণে সবুজ শাকসসব্জি খাওয়া উচিত। তবে এমন কিছু সবজি রয়েছে যাতে পিউরিন রয়েছে যেমন ফুলকপি, অ্যাসপারাগাস, পালং শাক, মটর ও মাশরুম এই ধরনের সব্জি এড়িয়ে চলুন।

* কার্বোহাইড্রেট: কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন পাউরুটি, কেক এবং কুকিজ আপনার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে, সুতরাং এগুলি এড়িয়ে চলা উচিৎ।

হোমিও প্রতিকার

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা খুব ফলপ্রসূ। ইউরিক অ্যাসিডের যেসব ওষুধ আধুনিক বিজ্ঞানে আছে, সেগুলোর কিছু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে বলে শোনা যায়। কিন্তু যদি হোমিওপ্যাথি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসকের মাধ্যম চিকিৎসা নেওয়া যায় তা হলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ভাবে রোগ সারিয়ে ফেলা সম্ভব। হোমিওপ্যাথিতে কোনও নির্দিষ্ট রোগের নির্দিষ্ট চিকিৎসা হয় না। কারণ, লক্ষণ এবং মায়াজম (এক ধরনের হোমিওপ্যাথিক থিওরি, যেটা অনুযায়ী চিকিৎসা হয়) এর উপর ভিত্তি করে চিকিৎসকেরা চিকিৎসা করেন। হোমিওপ্যাথির যেসব ওষুধে ইউরিক অ্যাসিডে কার্যকরী ফল পাওয়া যায় সেগুলো হল রাসটাক্স, ক্যালকেরিয়া কার্ব, ন্যাফেলিয়াম, লিথিয়াম কার্ব, অস্টিওআর্থ্রাইটিস নোসড, ম্যাগফস, জ্যাকেরেন্ডা ইত্যাদি। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনই এইসব মেডিসিন নিজে নিজে ব্যবহার করিবেন না।

পরিশেষে বলতে চাই, দৈনন্দিন জীবনে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া শব্দটার সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, নিয়মানুবর্তিতার অভাব, ভুল খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ওজন— এইসবের কারণে দিনে দিনে বেড়ে চলেছে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। ইউরিক অ্যাসিডের বাড়াবাড়ির ফলে গেঁটে বাতের কারণে বহু মানুষ শয্যাশায়ী পর্যন্ত হয়ে যান। গবেষণা অনুযায়ী বিশেষজ্ঞের পরিসংখ্যান বলছে প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ গোটা বিশ্বে ইউরিক অ্যাসিডজনিত রোগে আক্রান্ত।প্রোটিন বিক্রিয়ার ফলে পিউরিন এবং তার নিউক্লিক অ্যাসিড ভেঙে আমাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। এই অ্যাসিড রক্তে দ্রবীভূত হয়ে মল-মূত্রের মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থ হয়ে বেরিয়ে যাবারই কথা। কিন্তু বেশি জমলে তখন এই অ্যাসিড রক্তে দ্রবীভূত হতে পারে না এবং তা শরীরে গাঁটে-গাঁটে জমে যায়। বিভিন্ন পেশিতে, সন্ধিবন্ধনীতে, কার্টিলেজে ক্ষুদ্র দানাদার নুন বা স্ফটিক আকারে জমতে থাকে এবং বাতের ব্যথার সৃষ্টি হয়। ইউরিক অ্যাসিডের বাড়াবাড়িতে হাড় ক্ষয় হয়, কিডনিতে পাথরও জমে যেতে পারে। ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ৩.৪ এমজি থেকে ৬ অথবা ৭ এমজি–র উপরে হলেই তা জমতে শুরু করে এবং প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন অসুখ থেকেও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যেমন, শুগার, হাই ব্লাডপ্রেশার, উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল ট্রাইগ্লিসারাইড ইত্যাদি থাকলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রতিরোধ করতে প্রয়োজন সতর্কতা।

লেখক: চিকিৎসক, কলাম লেখক ও গবেষক, প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

পাঠকের মতামত:

১৪ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test