E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

শীতকালে নানা ধরনের বাত ব্যথা বৃদ্ধি রোধে প্রয়োজন সতর্কতা  

২০২৪ ডিসেম্বর ০৮ ১৬:৩৭:১১
শীতকালে নানা ধরনের বাত ব্যথা বৃদ্ধি রোধে প্রয়োজন সতর্কতা  

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ


শীতে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা বাড়ে। বাতের ব্যথা এর মধ্যে একটি সমস্যা। তবে সব ধরনের বাতের ব্যথা বাড়বেই এমনটা নয়। বাতের ব্যথা আরও বেশি করে নাজেহাল করে দেয়। ব্যথা এতটাই কাবু করে দেয় যে, হাঁটা চলাতেও সমস্যা দেখা গিতে পারে। বাতের ব্যথার সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের নিয়ম এবং পরামর্শ মেনে লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাসে অবশ্যই বদল আনা প্রয়োজন। এছাড়াও ডা. এম এম মাজেদ যা যা পদ্ধতি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন, সেগুলো মেনে চলা প্রয়োজন। আর্থরাইটিস এমন এক শারীরিক সমস্যা যা গাঁটের সঠিক চলাচলকে ব্যাহত করে। যেকোনও বয়সের মানুষের মধ্যেই বাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতকালে সহজ পাঁচ পদ্ধতি মেনে চললে বাতের ব্যথার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। নিম্নে আলোকপাত করা হলো। বাত এক ধরনের রোগ। শরীরের হাড় বা অস্থির জয়েন্টে ইউরিক এসিড জমা হয়ে এই রোগ হয়ে থাকে। বয়স হলে কিংবা বংশগত ভাবেও বাতের ব্যথা হয়ে থাকে। বাত হলে যে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি হয়, তা সহ্য করা খুব কষ্টকরই হয়ে পড়ে রোগীর পক্ষে। বাতের ব্যথায় রয়েছে নানা ধরনের চিকিৎসা। কিন্তু এই ব্যথা একবার হলে অনেক সময় এমন অবস্থারই সৃষ্টি হয়, যে রোগী বিছানা ছেড়ে পর্যন্ত উঠে দাঁড়াতে পারে না।আবার আমাদের মধ্যে কম-বেশি অনেকেরই ঘাড়, পিঠ বা কোমর ব্যথার সমস্যায় পড়েছে,তাদের আবার অনেকে  মেরুদন্ড, ঘাড়, পিঠ ও কোমরের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। বিষেশত বয়ষ্কা মহিলারা বেশি কষ্ট পায়। আঘাতহীন ব্যথার জন্য মেরুদন্ডে হালকা ব্যথা হলেও পরবর্তী সময়ে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় শরীরের অন্য অংশে। তাই মেরুদন্ডের ব্যথায় সবার আগে প্রয়োজন রোগ নির্ণয় ও সঠিক-কার্যকর চিকিৎসা। তা না হলে রোগীর যন্ত্রনা বাড়তে থাকে। এমন মানুষ হয়ত পৃথিবীতে পাবেন না যিনি তার জীবনে একবারও বাত ব্যথা অনুভব করেননি।আমাদের  মেরুদন্ডের গঠন অনুযায়ী মাথার খুলির নীচ থেকে প্রথম ৭টি হাড় বা কশেরুকা নিয়ে ঘাড়, পরবর্তী ১২টি হাড় নিয়ে পিঠ, তার নিচের ৫টি হাড় নিয়ে কোমড় গঠিত মেরুদণ্ডের নিচের হাড়ের মধ্যবর্তী তরুণাস্থি বা ডিস্কের বার্ধক্যজনিত পরিবর্তনের ফলে এ ব্যথার সুত্রপাত হয়। তরুণাস্থির এই পরিবর্তনের সাথে সাথে মেরুদণ্ডের নিচের দিকে সংবেদনশীলতার পরিবর্তন হয়। সাধারণত এ পরিবর্তন ৩০ বছর বয়স থেকে শুরু হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ রোগের কোনো উপসর্গ থাকে না। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে রোগের উপসর্গও বাড়তে থাকে।

কারণ

সাধারণত দেখা যায় মেরুদণ্ডের মাংসপেশি, লিগামেন্ট মচকানো বা আংশিক ছিঁড়ে যাওয়া, দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক সমস্যা, কশেরুকার অবস্থান পরিবর্তনের কারণে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। চলাফেরা, খুব বেশি ভার বা ওজন তোলা, মেরুদণ্ডের অতিরিক্ত নড়াচড়া, একটানা বসে বা দাড়িয়ে কোন কাজ করা, মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়া, সর্বোপরি কোমরের অবস্থানগত ভুলের জন্য হয়ে এ ব্যথা দেখা যায়। অন্যান্য কারণের মধ্যে বয়সজনিত মেরুদণ্ডে ক্ষয় বা বৃদ্ধি, অস্টিওআথ্র্যাটিস বা গেঁটে বাত, অস্টিওপোরেসিস, এনকাইলজিং স্পনডাইলাইটিস, মেরুদণ্ডের স্নায়ুবিক সমস্যা, টিউমার, ক্যান্সার, বোন টিবি, কোমরের মাংসে সমস্যা,বিভিন্ন ভিসেরার রোগ বা ইনফেকশন, বিভিন্ন স্ত্রীরোগজনিত সমস্যা, মেরুদণ্ডের রক্তবাহী নালির সমস্যা, অপুষ্টিজনিত সমস্যা, মেদ বা ভুড়ি, অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদি।

লক্ষণ

কোমরের ব্যথা আস্তে আস্তে বাড়তে পারে বা হঠাৎ প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। নড়াচড়া বা কাজকর্মে ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে। ব্যথা কোমরে থাকতে পারে বা কোমর থেকে পায়ের দিকে নামতে পারে অথবা পা থেকে কোমর পর্যন্ত উঠতে পারে। অনেক সময় কোমর থেকে ব্যথা মেরুদণ্ডের পেছন দিক দিয়ে মাথা পর্যন্ত উঠতে পারে। রোগী অনেকক্ষণ বসতে বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। ব্যথার সঙ্গে পায়ে শিন-শিন বা ঝিন-ঝিন জাতীয় ব্যথা নামতে বা উঠতে পারে, হাঁটতে গেলে পা খিচে আসে বা আটকে যেতে পারে, ব্যথা দুই পায়ে বা যেকোন এক পায়ে নামতে পারে। অনেক সময় বিছানায় শুয়ে থাকলে ব্যথা কিছুটা কমে আসে। এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকলে রোগীর কোমর ও পায়ের মাংসপেশীর ক্ষমতা কমে আসে এবং শুকিয়ে যেতে পারে, সর্বোপরি রোগী চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

সতর্কতা

নিচ থেকে কিছু তোলার সময়-

* কোমর ভাঁজ করে কিংবা ঝুঁকে তুলবেন না। *হাঁটু ভাঁজ করে তুলুন।* কোনো কিছু বহন করার সময়

* ঘাড়ের ওপর কিছু তুলবেন না।

* ভারি জিনিস শরীরের কাছাকাছি রাখুন।

* পিঠের ওপর ভারি কিছু বহন করার সময় সামনের দিকে ঝুঁকে বহন করুন।

শোয়ার সময়-

* উপুড় হয়ে শোবেন না। ভাঙ্গা খাট, ফোম বা স্প্রিংয়ের খাটে শোবেন না।* সমান তোশক ব্যবহার করুন। * বিছানা শক্ত, চওড়া ও সমান হতে হবে।* শক্ত বিছানা বলতে সমান কিছুর ওপর পাতলা তোশক বিছানোকে বোঝায়।

দাঁড়িয়ে থাকার সময়-

* ১০ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে থাকবেন না।

* হাঁটু না ভেঙে সামনের দিকে ঝুঁকবেন না।

* দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়াতে হলে উঁচু হিল পরবেন না।* অনেকক্ষণ দাঁড়াতে হলে কিছুক্ষণ পর পর শরীরের ভর এক পা থেকে অন্য পায়ে নিন।* দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হলে ছোট ফুট রেস্ট ব্যবহার করুন।

বসে থাকার সময়-

* আপনার চেয়ারটি টেবিল থেকে বেশি দূরে নেবেন না।* সামনে ঝুঁকে কাজ করবেন না।

* কোমরের পেছনে সাপোর্ট দিন।

* এমনভাবে বসুন যাতে ঊরু মাটির সমান্তরালে থাকে।* নরম গদি বা স্প্রিংযুক্ত সোফা বা চেয়ারে বসবেন না।*যানবাহনে চড়ার সময় গাড়ি চলানোর সময় স্টিয়ারিং হুইল থেকে দূরে সরে বসবেন না। * সোজা হয়ে বসুন।

* ভ্রমণে ব্যথার সময় লাম্বার করসেট ব্যবহার করুন। * কোমর ব্যথা বেশি হলে বিছানা থেকে শোয়া ও ওঠার নিয়ম চিৎ হয়ে শুয়ে এক হাঁটু ভাঁজ করুন।* এবার অন্য হাঁটুটি ভাঁজ করুন। হাত দুটি বিছানায় রাখুন।* এবার ধীরে ধীরে এক পাশ কাত হোন।* পা দু’টি বিছানা থেকে ঝুলিয়ে দিন, এবার কাত হওয়া দিকের হাতের কনুই এবং অপর হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে বসুন।* দুই হাতের ওপর ভর দিয়ে বসুন এবং মেঝেতে পা রাখুন।এবার দুই হাতের ওপর ভর দিয়ে সামনে ঝুঁকে দাঁড়ান।

মেয়েরা যেসব নিয়মকানুন মেনে চলবেন অল্প হিলের জুতো বা স্যান্ডেল পরুন, বিভিন্ন জুতোর হিলের উচ্চতা বিভিন্ন না হওয়াই উচিত।

* তরকারি কাটা, মসলা পেষা, কাপড় কাচা ও ঘর মোছার সময় মেরুদ- সাধারণ অবস্থায় এবং কোমর সোজা রাখুন।* কোমর ঝুঁকে বাচ্চাকে কোলে নেবেন না। * ঝাড়ু দেয়া, টিউবওয়েল চাপার সময় কোমর সোজা রাখবেন।

* মার্কেটিং বা শপিংয়ে ঘণ্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে হলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট দাঁড়ানো বা হাঁটার পরে বিশ্রামের জন্য একটু বসবেন।

* বিছানা গোছানোর সময় কোমর ভাঁজ না করে বরং হাঁটু ভেঙে বসা উচিত।

খাদ্যাভাস পরিবর্তন করুন-

গরু, খাসির মাংস, ডালজাতীয় খাবার, মিষ্টিজাতীয় খাবার, তৈলাক্ত খাবার খাদ্য তালিকা থেকে কমিয়ে শাকসবজি, তরিতরকারি, ফলমূল খাদ্য তালিকায় বেশি করে রাখুন। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন এবং যাদের দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস আছে, তা বন্ধ করে রাতে শিগগিরই শুয়ে পড়ুন।

বাত ব্যাথার কিছু ঘরোয়া পরামর্শ-

* বাতের ব্যথা কমাতে আদা খুবই উপকারী আপনার বাতের ব্যথা কমানোর জন্য আদা খুব উপকারী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন ১ থেকে ২ কাপ আদা চা খাওয়ার অভ্যাস করলে বাতের ব্যথা নিরসন হয় সহজেই।* অস্থিসন্ধিতে বরফের চাপ দিলে ব্যথা কমবে হাড়ের গিড়ায় বা অস্থিসন্ধিতে বরফের হালকা চাপ দিলে ধীরে ধীরে ব্যথা কমে যাবে। একটা পাতলা তোয়ালে বা কাপড়ে টুকরা টুকরা বরফ নিয়ে সেটা দিয়ে ব্যথার জায়গায় আস্তে আস্তে চাপ দিন। তবে ভুলেও বরফ সরাসরি ব্যথার স্থানে লাগাবেন না। এতে ব্যথা কমে যাওয়ার বদলে উল্টো ক্ষতি হতে পারে!

* ব্যথার জায়গায় করতে পারেন ম্যাসাজ অলিভ ওয়েল, নারিকেল তেল এবং সরিষার তেল একসাথে নিয়ে হালকা গরম করুন। এই তিনটি তেলের মিশ্রণ কুসুম গরম করে সেটি আক্রান্ত স্থানে ১০/১৫ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। দেখবেন, ধীরে ধীরে বাতের ব্যথা কমে যাচ্ছে, আপনি আরামও পাচ্ছেন।

* নিয়মিত গোসল করুন গরম পানি দিয়ে: বাতের ব্যথা প্রতিরোধে গরম পানি দিয়ে গোসল করার কোনো বিকল্প নেই। আপনি যদি প্রায়ই বা দীর্ঘদিন ধরে বাতের ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে গরম পানি দিয়ে নিয়মিতভাবে গোসল করলে বেশ উপকার পেতে পারেন।

* ব্যথা কমাতে দারুণ কাজ করে পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতার হাজার গুণাগণের কথা আমরা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু আপনি জানেন কি, বাতের ব্যথা সারাতে পুদিনা পাতা দারুণভাবে কার্যকরী? জ্বি, হ্যা! এটি বাতের ব্যথার কষ্ট কমাতেও দারুণভাবে কাজ করে থাকে। তাজা পুদিনাপাতা শুকিয়ে দুই/তিন কাপ পানির সাথে অন্তত ১৫ মিনিট ধরে সিদ্ধ করুন। এভাবে পানীয়টি প্রতিদিন এক কাপ করে পান করে নিন। দেখবেন, আপনার বাতের ব্যথা পই পই করে কমে আসবে বৈ কী!

অন্যান্য টিপস: তাহলে জানিয়ে দিলাম আজকে আমরা আপনাকে কী করে আপনি মাত্র ৫টি উপায়ে ঘরে বসেই বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে এগুলোর সাথে সাথে আপনাকে যে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে আপনার নিত্য পথচলায়। না, ভয় পাবেন না! কোনো কঠিন কাজের কথা আমি আপনাকে বলবো না! বাতের ব্যথা থেকে রক্ষা পেতে হলে আপনাকে নিয়মিত ১/১.৫ লিটার পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন আর প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি করুন অন্তত ৩০ মিনিট ধরে! সেই সাথে আপনি যেখানেই যান না কেন, লিফটের বদলে অভ্যাস করুন সিঁড়ি দিয়ে ওঠার।আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।

আর হ্যা, ধুমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস যদি থেকে থাকে আপনার, তাহলে কিন্তু তা অবশ্যই বাদ দিতে হবে! মনে রাখবেন, তামাক ও মদ- এই দুটোই হাড়ের ক্যালসিয়াম দ্রুত শুকিয়ে দিয়ে বাতের ব্যথা সৃষ্টি করে সহজে! আশা করি আপনি এই নিয়মগুলো মেনে চলে, ঘরে বসেই সারিয়ে তুলতে পারবেন আপনার বাতের ব্যথাকে।

হোমিও প্রতিকার

রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়,এই জন্য রোগীর পুরা লক্ষণ নির্বাচন করে চিকিৎসা দিতে পারলে তাহলে বাত ব্যথা রোগীকে আল্লাহর রহমতে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। আবার ইদানিংকিছু কিছু হোমিওচিকিৎসক বের হয়েছে, তারা রোগীদেরকে পেটেন্ট, টনিক, মিশ্রপ্যাথি, মলম, সহ অপচিকিৎসা দিয়ে বাত ব্যথা রোগীদেকে চিকিৎসা দিয়ে থাকে, যেটাকে ডা. স্যামুয়েল হানেমান বলে থাকেন শংকর জাতের হোমিওপ্যাথ। তাই অভিজ্ঞ চিকিৎসক বাতব্যথা রোগীদের জন্য লক্ষণের উপর যে সব ঔষধ নির্বাচন করে থাকে একোনাইট, লিডাম পাল, রাসটক্স, রডোডেন্ড্রন, কলোফাইলাম, ল্যাক ক্যানিনাম, ব্রায়োনিয়া, আর্টিকা ইউরেন্স, মেডোরিনাম, ফেরামফস, আর্নিকা মন্ট, ম্যাগ ফস, কষ্টিকাম সহ আরো অনেক মেডিসিন লক্ষণের উপর আসতে পারে তাই অভিজ্ঞ হোমিওচিকিৎসক ছাড়া ঔষধ নিজে নিজে ব্যবহার করলে রোগ আরো জটিল আকারে পৌঁছতে পারে।

পরিশেষে বলতে, শীতকালে সুস্থ থাকতে নিয়ম করে শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। বাতের ব্যথা থাকলে শরীরচর্চার প্রয়োজন বেড়ে যায়। ফলে কিছুটা হলেও ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সচল রাখতে এবং বাতের ব্যথা কমাতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই।

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

পাঠকের মতামত:

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test