পিতার রক্তে কন্যার বিশ্বাসঘাতকতা
আবু মকসুদ
আমাদের বন্ধুদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে, যেখানে সদস্য সংখ্যা শতাধিক। এই গ্রুপটি চব্বিশ ঘণ্টা জুড়ে যেন এক জীবন্ত, দোদুল্যমান আলোচনার কেন্দ্র। এখানে এমন কোনো বিষয় নেই যা আলোচনার বাইরে থাকে—সৃষ্টির প্রথম মানুষ আদম থেকে শুরু করে শেষ মানুষের গল্প পর্যন্ত সবকিছুই স্থান পায় আমাদের কথোপকথনে। ইতিহাস, ধর্ম, রাজনীতি, বিজ্ঞান—সবই এখানে যেন এক চিরন্তন স্রোতের মতো বয়ে চলে।
এই গ্রুপটি আমাদের আত্মপরিচয়ের একটি আয়না হয়ে উঠেছে। আমরা এখানে নিজেদের বিচারে প্রতিফলিত হই—কেউ কতটা কাজের, আর কেউ কতটা পাজি কিংবা ফটকাবাজ। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ এই গ্রুপে মিশে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনীতি আমাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। জামাত, বিএনপি, হেফাজত, হিজবুত তাহরীর সমর্থকরা এবার আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর যেন ঝাঁপিয়ে পড়েছে। যদিও গ্রুপের অধিকাংশ সদস্য আওয়ামী লীগ সমর্থক, এখন বিরোধী পক্ষের দাপট চলছে। এই গ্রুপকে যদি এক ক্ষুদ্র দেশ হিসেবে ভাবা হয়, তবে এখানেও দেশের রাজনৈতিক ঝড়ের প্রতিফলন দেখা যায়। এটি যেন একটি ক্ষুদ্র পৃথিবী, যেখানে বৃহৎ বিশ্বের প্রতিটি স্পন্দন অনুরণিত হয়।
তবে দেশের সঙ্গে একটা উল্লেখযোগ্য পার্থক্য এখানে বিদ্যমান। শেখ হাসিনার পলায়নের পর তার সব মন্ত্রী, এমপি হয় পালিয়ে গেছে, নয় আত্মগোপনে। কিন্তু আমাদের গ্রুপের আওয়ামী লীগ সমর্থকরা পালায়নি; তারা কোণঠাসা হলেও নিজেদের অবস্থান দৃঢ়ভাবে ধরে রেখেছে এবং বিরোধীদের মোকাবিলা করছে। তাদের এই সাহসিকতা যেন এক অদৃশ্য শক্তির প্রমাণ, যা কোনো প্রতিকূলতার সামনে মাথা নত করতে শেখেনি। এই সমর্থকরা বিশ্বাসঘাতকতার চেয়ে পরাজয়কে শ্রেয় মনে করে। তারা জানে, এই সংগ্রাম শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি এক আদর্শের লড়াই।
আমি এই গ্রুপে একজন কট্টর আওয়ামী লীগার হিসেবে পরিচিত। আমার আওয়ামী লীগ সমর্থনের প্রধান কারণ বিএনপি কিংবা জামাতের প্রতি আমার অসহনীয় মনোভাব। বিএনপিকে আমি কখনোই প্রকৃত রাজনৈতিক দল মনে করতে পারিনি। কয়েকজন সুবিধাবাদীর একত্রিত হয়ে দু-চারটি ভালো কথা বললেই তাদের চরিত্র বদলে যায় না। চরিত্র বদলানোর জন্য অগ্নিপরীক্ষার প্রয়োজন, আর বিএনপি যখনই আগুনের সামনে পড়েছে, তখনই পালিয়ে গেছে। বিএনপির প্রতি আমার এই বিদ্বেষের মূলে রয়েছে তাদের রাজনৈতিক ইতিহাস, তাদের কর্মকাণ্ড, যা জাতির কল্যাণের চেয়ে নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছে। কিছু মানুষ বিএনপির রাজনীতি পছন্দ করে, তাদের প্রতি আমার কোনো ক্ষোভ নেই; বরং করুণাধর্মী সমবেদনা আছে। হয়তো একদিন তারা অগ্নিপরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হবে এবং নিজেদের প্রকৃত পরিচয় খুঁজে পাবে।
জামাতের প্রতি আমার অবিশ্বাসের প্রধান কারণ তাদের আনুগত্য পাকিস্তানের প্রতি, যা আমাদের দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসা এবং নিষ্ঠাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। মাতৃভূমির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও আনুগত্য জন্মগত ও স্বাভাবিক; এটি অন্য কোনো দেশের আদর্শ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে না। জামাতের জন্ম এমন একটি আদর্শে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ছিল। তারা মায়ের তুলনায় সেই সতীন-মাতাকে বেশি মর্যাদা দেয়, যার জন্য আমার মনে হয়, তারা সাপের চেয়েও কম বিশ্বাসযোগ্য। যদিও আমি সাপের নির্মূল চাই না, আমি মনে করি, জামাতের অস্তিত্ব থাকুক—কিন্তু সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে। তাদের রাজনীতি এবং আদর্শ একটি বিপথগামী ধারায় চালিত, যা আমাদের সমাজের জন্য হুমকি স্বরূপ। আমি চাই তারা বেঁচে থাকুক, কিন্তু মানুষের কাছ থেকে দূরে, যাতে তাদের বিষ আমাদের সমাজে আর ছড়িয়ে না পড়ে।
গত দেড় মাস ধরে, আমি একজন কট্টর আওয়ামী লীগের অনুরাগী থেকে একজন কট্টর সমালোচকে পরিণত হয়েছি। এখন গ্রুপে আমাকে 'পল্টিবাজ' বলা হয়। আমি স্বীকার করছি, আমি বদলে গেছি। শেখ হাসিনার প্রতি আমার সমর্থন একসময় ছিল ৩৬০ ডিগ্রি, কিন্তু তা এখন ১৮০ ডিগ্রিতে এসে ঠেকেছে। আমি তাকে এখন সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করছি। তার অর্জনগুলো আর আমাকে গর্বিত করে না। আমার মনে হয়, এই পরিবর্তনটি শুধুই রাজনৈতিক নয়, এটি এক গভীর আদর্শিক দ্বন্দ্বের প্রতিফলন। একটি সময়ে, আমি বিশ্বাস করতাম যে, বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনীতে প্রবাহিত, সে কখনোই মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না। কিন্তু এখন আমি বুঝতে পেরেছি, রক্তের উত্তরাধিকার সবসময় আত্মার উত্তরাধিকার বহন করে না।
যখন আমি প্রথম জীবনে আদর্শ নির্ধারণ করি, তখন বঙ্গবন্ধু আমার প্রেরণা হয়ে ওঠেন। আমার জীবনের সবকিছুই ছিল বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে। যখন আমি প্রথম অক্ষর লিখতে শিখি, সেই অক্ষরের পিছনে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। মৌমাছি তাদের রানীর জন্য যে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে, আমিও তেমনিভাবে বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে লিখে গেছি। আমার প্রতিটি কবিতায়, প্রতিটি লেখায় ছিল বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতি। তিনি না থাকলে আমার জীবনের কোনো অর্থ থাকত না। বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমার এত গভীর ভালোবাসা যে, তাঁকে ছাড়া আমি নিজেকে এতিম মনে করি। বঙ্গবন্ধু শুধু একজন নেতা ছিলেন না; তিনি ছিলেন এক জনক, যার আদর্শের ছায়ায় আমি বেড়ে উঠেছি। তাঁর প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি কাজ আমার হৃদয়ে গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল।
শেখ হাসিনার প্রতি আমার সমর্থন ছিল বঙ্গবন্ধুর কন্যা হওয়ার কারণে। আমি বিশ্বাস করতাম, বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনীতে প্রবাহিত, সে কখনো মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না। বঙ্গবন্ধুকে আমি যতটুকু জানি, তাঁর লেখায় কিংবা তাঁকে নিয়ে লেখা থেকে যতটুকু ধারণা পেয়েছি, মনে হয়েছে বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর চেয়ে শুদ্ধতম মানুষের জন্ম হয়নি। রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর কিংবা অন্যান্য মহাপুরুষদের স্মরণ রেখে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু বাঙালিত্বের যে গভীরতা ধারণ করেছেন, অন্য কেউ তাঁর সমকক্ষ হতে পারেননি। তাঁর প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল জাতির কল্যাণে নিবেদিত।
বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা বহন করছেন, এটাই আমার বিশ্বাস ছিল। কিন্তু যখন তিনি নির্বিচারে ছাত্রদের বুকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন, তখন আমার মনে হলো এই গুলিতে শুধু কিছু নির্দোষ মানুষ মারা যাচ্ছে না; নিহত হচ্ছেন বাংলাদেশের শুদ্ধতম পুরুষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমি দেখলাম, কন্যা ক্ষমতার লোভে নিজ পিতাকে হত্যা করছে। এমন কুলাঙ্গার সন্তানকে আমি সমর্থন দিতে পারি না। তাই শেখ মুজিবের কন্যাকে আমি ত্যাগ করেছি এবং তাকে আমার জীবন থেকে সম্পূর্ণরূপে উগরে ফেলেছি। তার প্রতি আমার মনে আর কোনো সমবেদনা অবশিষ্ট নেই। এই পরিবর্তনটি আমার জন্য সহজ ছিল না, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি এটি ছিল নৈতিক দায়িত্বের অংশ। আমি বুঝতে পারি যে, একজন নেতার প্রকৃত মূল্যায়ন তার কাজের মধ্যেই প্রতিফলিত হয়, তার নামের মধ্যে নয়।
গত ত্রিশ বছরে শেখ হাসিনাকে নিয়ে যতগুলো লেখা লিখেছি, তা একত্র করলে মহাভারতের মতো বিশাল হবে। এখন দেখি, এগুলো ছিল একটি বিশাল অপচয়। পীরের ঘরে জালিমের জন্ম হতে পারে, এটা শুনেছিলাম, কিন্তু শেখ হাসিনাকে নিয়ে এমন কোনো চিন্তা আমার মনে কখনো উদয় হয়নি। এখন আফসোস হয়, কেন আমি হাসিনান্ধ ছিলাম, কেন বুঝতে পারিনি এই উন্মাদ শুধু বাবার নাম ব্যবহার করে নিজের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করতে চাইছে। তার জীবনে এতগুলো অঘটন ঘটেছে, পরিবারকে নির্মূল করা হয়েছে, তাকে অসংখ্যবার হত্যা করার চেষ্টা হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম এই উন্মাদ হয়তো মৃত্যু ভয়ে ভীত নয়। কিন্তু এখন স্পষ্ট হয়েছে, সে শুধু ক্ষমতার লোভে নিজের পিতার নাম ব্যবহার করেছে। এই বাস্তবতা আমাকে ভেতর থেকে আঘাত করেছে।
শেখ হাসিনার পলায়ন শুধু তার ব্যক্তিগত পলায়ন হয়ে থাকল না। তার সঙ্গে পালিয়ে গেল বাংলাদেশের গৌরবের কিছু অর্জন—যেমন মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধু। এই পলায়ন শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনাই নয়, এটি ছিল এক জাতীয় ট্র্যাজেডি। এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে, নাম এবং রক্তের উত্তরাধিকার সবসময়ই আদর্শের উত্তরাধিকার বহন করে না। এটি একটি তিক্ত সত্য, যা আমি এখন উপলব্ধি করছি।
এ দেশে আরও অনেকবার স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার পতন হয়েছে, কিন্তু তাদের কেউই পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়নি। সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই মন্ত্রিসভা বা সংসদের সদস্যদের এভাবে আত্মগোপনে যেতে হয়নি। কিন্তু শেখ হাসিনার পলায়ন এক নজিরবিহীন ঘটনা হয়ে রইল। তিনশো এমপি প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, মন্ত্রীরা বোরকা পরে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ছেন, আর কেউ কেউ কানাইঘাটের কলাপাতায় ঘুমন্ত অবস্থায় ধরা পড়ছেন—এসব দৃশ্য এক অপমানজনক ইতিহাসের অংশ হয়ে গেল। এমনকি দেশের আপিল বিভাগের বিচারপতি পর্যন্ত চোরের মতো ধরা পড়লেন, যা বাংলাদেশে এর আগে কেউ দেখেনি।
আমাদের গ্রুপে আমাকে পল্টিবাজ বলা হয়, বলা হয় আমি সুযোগ বুঝে রং বদলে ফেলেছি। শেখ হাসিনা এমনভাবে আমার মুখে চাপটি মেরেছে যে, আমি লজ্জায় চোখ তুলে তাকাতে পারি না। এখন কেউ যদি আমাকে দালাল বা পল্টিবাজ ভাবে, কিংবা সুবিধাবাদী বলে মনে করে, আমি তার প্রতিবাদ করব না। শেখ হাসিনার বিপরীতে আমাকে অবস্থান নিতেই হবে, কারণ মানবতাবিরোধী কোনো কাজের প্রতি কোনো মানুষের সমর্থন থাকতে পারে না।
আমি শেখ হাসিনাকে ত্যাগ করেছি, কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ত্যাগ করতে পারব না। যতদিন আমার শ্বাস থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমার শ্বাস-প্রশ্বাসে থাকবে। শেখ হাসিনাকে ত্যাগ করেছি, কিন্তু আওয়ামী লীগকে এখনো ত্যাগ করিনি। আমি আশা করি, শেখ হাসিনার যুগের অবসানে যে নতুন সেনাপতি আসবেন, তার মধ্যে আমরা পুনরায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পুনর্জন্ম দেখতে পাব। বাংলাদেশের জন্য একমাত্র আশা এবং ভরসা হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু, বাকি সবই অন্ধকার। আমি আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বের কাছে বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিশ্বস্ততা আশা করি। এই দলের ভেতরে এখনও সেই শক্তি রয়েছে, যা দেশকে আলোর পথে নিয়ে যেতে পারে।
এই লেখা যখন শেষ করছি তখন খবরে দেখলাম রাজাকার শিরোমণি গোলামের পুত্র কোন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বদলাতে হবে। রাজাকার পুত্রের ধৃষ্টতাকে বাক স্বাধীনতা হিসেবে মেনে নিলে...
যেখানে লক্ষ শহীদের রক্তে রঞ্জিত স্বাধীনতার প্রতীক, আমাদের জাতীয় সংগীত, সেই পবিত্রতা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সাহস কোথা থেকে পায় এই রাজাকার পুত্র? এ যে শুধু অপমান নয়, এ আমাদের জাতীয় মর্যাদায় সরাসরি আঘাত। যার জন্য লক্ষ প্রাণের আত্মত্যাগ, সেই স্বাধীনতার সুরকে পরিবর্তন করার কথা বলা মানে, শুধু তার অসীম ঔদ্ধত্যই নয়, তার ভেতরের ঘৃণ্য রাজাকারের রক্ত যে এখনো অটুট রয়েছে, তারই প্রমাণ।
এই অপরাধের ক্ষমা নেই, আর এদের মতো পাষণ্ডদের মাথা মুন্ডন করে, মাথায় সারা দেশের মানুষ থুতু ফেলুক—এটাই তাদের প্রাপ্য। এই ধরনের বিকৃত মস্তিষ্কের লোকজনের জন্য আমাদের দেশে কোনো স্থান নেই। যেসব লোক এদের ধৃষ্টতাকে বাক স্বাধীনতার আড়ালে লুকিয়ে রাখতে চায়, তারা দেশদ্রোহী। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন কথা বলার দুঃসাহস না করে।
এটা শুধু ক্ষোভ নয়, এটা আমাদের জাতিগত অস্তিত্বের প্রশ্ন। যারা আমাদের জাতীয় সত্তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। রাজাকারদের উত্তরাধিকারীরা যেন এই দেশে কোনো স্থান না পায়, সেই প্রতিজ্ঞা নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
কিন্তু এই কাজের জন্য শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন আমরা চাই না। তিনি ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে যথেষ্ট বিপদে ফেলেছেন, এবং তার নেতৃত্বে নতুন করে বিপদের সৃষ্টি আমরা মোটেও কামনা করি না। শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশ বহু সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে, এবং তার অনেক সিদ্ধান্ত জনগণের ক্ষতি করেছে। আমরা চাই না যে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হোক। বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন, যারা দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারবে। শেখ হাসিনার বদলে এমন একজন নেতার প্রয়োজন, যিনি দেশের স্বার্থ রক্ষা করবেন এবং রাজাকারদের উত্তরাধিকারীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেবেন।
লেখক: যুক্তরাজ্য প্রবাসী, ছোটকাগজ ‘শব্দপাঠ’ সম্পাদক।
পাঠকের মতামত:
- ‘প্রতিবেশী দেশে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছ’
- নড়াইলে নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী পালিত
- রাত পোহালে বিশ্বকর্মা পূজা, শেষ বিকেলে জমজমাট প্রতিমা বিক্রি
- লোহাগড়ায় বাজার বণিক সমিতির উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত
- বেতনা নদীর বেঁড়িবাধ ভেঙে নিম্নাঞ্চলের ৪০ গ্রাম প্লাবিত
- আফরোজ খান মডেল স্কুলে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত
- কাপাসিয়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত
- আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য জানাতে জাতিসংঘের আহ্বান
- নগরকান্দায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
- দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ৪৬ ঘণ্টা পর চললো লঞ্চ
- নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টি, রাজবাড়ীতে জনজীবন বিপর্যস্ত
- রাজবাড়ীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন তীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ফাটল
- তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়িতে ঢুকে মারপিট, শিক্ষকসহ ৩ জন হাসপাতালে
- মাজার ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে ভক্তদের মানববন্ধন বিক্ষোভ
- কুলিয়ারচরে মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
- বানিয়ারচর খাল খনন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ
- আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী কারাগারে
- ‘ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখলে মালিক-শ্রমিক দুই পক্ষেরই ক্ষতি’
- লংগদুতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নদীতে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
- শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফেরার সময় হয়েছে
- সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের দখলে থাকা লাউয়াছড়া বনের জায়গা উদ্ধার
- শেখ হাসিনার সঙ্গে এবার আসামি অরুণা বিশ্বাস-রোকেয়া প্রাচী
- লোহাগড়ায় তিন দিনের বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা, জনদুর্ভোগ চরমে
- দিনাজপুরে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কর্মী শিক্ষা শিবির
- ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ জনের মৃত্যু
- সারদা পুলিশ একাডেমিতে কুচকাওয়াজে প্রধানমন্ত্রী
- মায়ের ‘অপহরণ’ সাজানো, নিয়মিত টাকা পাঠাতেন মরিয়ম তদন্ত শেষে পিবিআই
- পাবনায় সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা
- প্রচারে নামার আগে লিটনের ৮২ প্রতিশ্রুতি
- চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টি
- কিংবদন্তি যশ চোপড়ার চরিত্রে শাহরুখ খান
- রাজশাহীতে চুরির অপবাদে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা
- আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ক্যানভাসে তৃণমূল নারীদের ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা
- শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে মণিপুর থেকে পালালেন রাজ্যপাল
- শিক্ষা কার্যক্রমে মনোনিবেশ করার সিদ্ধান্ত ববি শিক্ষার্থীদের
- চলে গেলেন হকির ওস্তাদ ফজলু
- ২৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২০৭ কোটি ডলার
- আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
- সালথা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি চৌধুরী সাব্বির আলী
- 'সামাজিক দায়বদ্ধতা ও জনস্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা প্রত্যাশা করি'
- বর্ণবাদ ঠেকাতে রেফারিকে বিশেষ ক্ষমতা দিচ্ছে স্পেন
- পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে মজুত থেকে বিক্রি করছে ভারত সরকার
- মেডিটারেনিয়ান শিপিং কোম্পানিকে ক্যাশলেস ব্যাংকিং সুবিধা দেবে ব্র্যাক ব্যাংক
- ‘বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের বড় ভাই হয়ে যাবে’
- কালো টাকা সাদা করার সুবিধা বাতিল