E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

পদ্মা সেতু: রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালির স্বপ্ন জয়ের দুই বছর

২০২৪ জুন ২৫ ১৮:৩৭:০৫
পদ্মা সেতু: রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালির স্বপ্ন জয়ের দুই বছর

মানিক লাল ঘোষ


১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী, তাদের দোসর হায়নাদের পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশে বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছিল বাঙালি। স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পর বাঙালির দ্বিতীয় বিজয়ের চমকও এসেছে বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরসূরির শেখ হাসিনার নেতৃত্বে৷ ২০২২ সালের ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। 

দূরদর্শী এক রাষ্ট্রনায়কের অসীম সাহসিকতা ও দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের অবিশ্বাস্য এক রূপকথার নাম পদ্মা সেতু। যিনি দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ ও বাঙালির সক্ষমতাকে আরও একবার জানান দিলেন বিশ্ববাসীকে। পদ্মা সেতু এখন শুধু একটি সেতুই নয়, এটি আমাদের আবেগ, ভালোবাসা, অনন্য গৌরব, মর্যাদা আর অহঙ্কারের প্রতীক। বাঙালির স্বপ্ন পূরণের অনবদ্য উপাখ্যান। বাঙালি জাতিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না জাতির পিতার সেই সাহসী উচ্চারণকে আবারো অসীম সাহসিকতায় প্রমাণ করে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু হচ্ছে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রত্যয় আর দৃঢ়তার প্রতিচ্ছবি। কতটা দেশপ্রেম, মাটি ও মানুষের জন্য ভালোবাসা থাকলে বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে দিয়ে দেশি-বিদেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে এমন একটি বিরাট কর্মযজ্ঞ করা যায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিষ্কার বক্তব্য ছিল , “দেশ স্বাধীন করেছি, পদ্মা সেতুর বিষয়ে মাথা নত করব না।” তিনি কথা রেখেছেন। বাঙালি যে মাথা নত করার জাত নয়, শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে আবারও তা টের পেল বিশ্ববাসী।

কোন পরিস্থিতিতে এমন সাহসী সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন প্রশ্নের উত্তর এখন আর কারো অজানা নয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা এ দেশের মানুষের সুখ-দুঃখ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা ভালোবাসার নাম। তিনি জানেন, তিনি বুঝেন কীভাবে এ দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে, কীভাবে এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। তিনি জানেন একটি অঞ্চলকে গুরুত্বপূর্ণ জনপদে রূপান্তর করতে কী করণীয়। পিতার রক্তের যোগ্য উত্তরসূরি বলেই তিনি জানেন কীভাবে একটি জাতিকে আত্মমর্যাদায় শীর্ষে পৌঁছানো সম্ভব ?

পদ্মা সেতু পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত বহুমুখী সড়ক ও রেলসেতু। এর মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলপর সঙ্গে উত্তর পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটছে। দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ঠ্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে আছে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে আছে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১ টি স্পানের ওপর নির্মিত পদ্মা সেতু। ৬,১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮, ১০ মিটার প্রস্হ পরিকল্পনায় নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় সেতুটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটির নাম চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এই সেতু আজ আমাদের অহংকার এর প্রতীক। ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল এর নির্মাণ কাজ। এটি শুধুমাত্র একটি কাঠামো নয়, পদ্মা সেতু আমাদের আবেগের নাম। বাঙালির অহংকার ও সাহসের আরেক নাম, সক্ষমতার প্রতীক। অপবাদ আর দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সাহসী প্রতিবাদের নাম। পদ্মাসেতু আজ আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামের এক উজ্জ্বল মাইলফলক।

বাঙালির এই স্বপ্ন পূরণের পথে ছিল অনেক বাধা। শুরু থেকেই নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পদ্মা সেতুর কাজটি এগিয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা ও সাহসিকতার কারণে, রাজনৈতিক, কারিগরি ও আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই সফলভাবে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। হঠাৎ বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা দেখা না দিলে আরো আগেই ৬.১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের আনন্দ উৎসবে শামিল হতে পারতো বাঙালি জাতি ।

এ মেগা প্রকল্পটি আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির এক অনন্য প্রতীকে পরিণত হয়েছে। একটি স্বাধীন দেশ তার জনগণের সার্বিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজের অর্থে এমন একটি চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প সম্পন্ন করার সাহস পেয়েছে। কারণ আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন, যাঁর শরীরে প্রবাহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্ত, যার জীবনে আছে শুধু হার না মানার গল্প, আছে শুধু দেশের জন্য জীবন বাজী রেখে এগিয়ে যাওয়ার দীপ্ত প্রত্যয়।

পিতার রক্ত ও আদর্শের যোগ্য উত্তরসূরি বঙ্গবন্ধুকন্যাও পিতার মতোই এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-কষ্ট বোঝেন। তাই ২০০১ সালের ৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে মাওয়া ফেরিঘাটের কাছেই এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু সেতুটির নির্মাণকাজ থমকে যায় রাজনৈতিক হীনম্মন্যতার কারণে।

২০০৯ সালে ফের ক্ষমতায় আসে আওয়ামীলীগ। অর্থনৈতিক, সামাজিক, যোগাযোগ ও রাজনৈতিক নানা বিবেচনায় পদ্মা সেতু নির্মাণকে জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় করে অগ্রাধিকার তালিকায় নিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাইকা, আইডিবি এ সেতুর অর্থায়নের অংশীদার হলেও পরবর্তী পর্যায়ে বিশ্বব্যাংক যুক্ত হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণেও এ উন্নয়ন অংশীদাররা যুক্ত ছিল। তাই সরলবিশ্বাসেই বিশ্বব্যাংককে যুক্ত করেছিল বাংলাদেশ সরকার। প্রস্তাবিত ১.২ বিলিয়ন ডলারের এ প্রকল্পের অর্থায়নে শেষ পর্যন্ত সেই বিশ্বাসের দাম রাখেনি এ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। অযথাই একটি নোংরা বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল মনগড়া দুর্নীতির অভিযোগ তুলে।

বেলাশেষে সেই অভিযোগ কানাডার আদালতসহ কোথাও টেকেনি। বিশ্বব্যাংক ছাড়া অন্য উন্নয়ন অংশীদাররা খুবই বিব্রতবোধ করছিল এ অযথা অভিযোগ তোলার জন্য। মূলত দুর্নীতির অজুহাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি থামিয়ে দেয়ার দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র আজ আর কারো অজানা নয়। এ নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুস, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তাদের দোসরদের নানামুখী অপতৎপরতা ও সেতু বিরোধী বক্তব্য এ দেশের মানুষ কোনোদিনও ভুলবে না।

সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সাহসী প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি পদ্মা সেতু আজ শুধু আবেগ ও উচ্ছ্বাসই নয়। এই সেতুর প্রভাবে পাল্টে গেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চিত্র, বিশেষ করে দক্ষিণ বাংলার অর্থনীতির ওপর পড়বে ইতিবাচক প্রভাব। পদ্মার ওপাড়ের একুশ জেলার অর্থনীতি ও সমাজে এসেছে অকল্পনীয় পরিবর্তন। এ সেতু চালু হওয়ার পর সড়ক ও রেল-দুই পথেই দক্ষিণ বাংলার মানুষ অল্প সময়ে ঢাকায় যাতায়াত করতে পারছেন। দিনের পর দিন আর পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় বসে থাকতে হচ্ছে না। জীবন মৃত্যুর মুখোমুখি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সকে নিয়ে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না প্রিয়জনদের। ঝড়বৃষ্টিতে ফেরি বন্ধ থাকার কারণে আর থমকে থাকছে না সাধারণ মানুষের চলার পথ। পদ্মা সেতুর কারণেই প্রথমবারের মতো পুরো দেশ একটি সমন্বিত যোগাযোগ কাঠামোতে চলে এসেছে । পরিবর্তনের হাওয়া বইছে দক্ষিণ জনপদের গ্রাম বাংলায়। এ অঞ্চলের কৃষক, মৎস্যজীবী, তাঁতি, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভোক্তার সমাবেশ যে রাজধানী ঢাকা, তার সঙ্গে অনায়াসে সংযুক্ত হতে পারছেন। অন্যদিকে তারা রাজধানী থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে পারছেন তাদের গ্রামের ও আশপাশের এসএমই উদ্যোগগুলোর জন্য।

পদ্মা সেতু হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নত হয়েছে । পদ্মার ওপাড় ও আশপাশের জেলা শহরে জমির দাম বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। পদ্মা সেতুর দুই পারেই এক্সপ্রেসওয়ের পাশের জমির দাম তিন-চারগুণ বেড়ে গেছে। নতুন নতুন ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা, আবাসন প্রকল্প, রিসোর্ট, বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্ক, মানবসম্পদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রেস্টুরেন্ট ও নানা ধরনের এসএমই উদ্যোগ স্থাপনের হিড়িক পড়ে গেছে গত দুই বছরে। খুলনা ও বরিশালে জাহাজ নির্মাণশিল্পের প্রসার ঘটেছে। কুয়াকাটায় পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটছে দ্রুতগতিতে। আগামী দিনে বিকাশের এ ধারা আরও বেগবান হবে। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রেলের পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট অবকাঠামো ও স্থাপনও প্রক্রিয়াধীন। এর ফলে কলকাতার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের সময় প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে। এর প্রভাব বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। পায়রা ও মংলা সমুদ্রবন্দরের পণ্যসেবার পরিমাণ বাড়ব। নতুন নতুন জাহাজ ভিড়বে। ইন্টারনেট সেবা সহজেই পেলে দক্ষিণাঞ্চলে ডিজিটাল ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাড়বে। আর গ্যাস ও বিদ্যুৎ সহজলভ্য হলে এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশও ঘটবে। কৃষিসহ দক্ষিণাঞ্চলের সামগ্রিক উৎপাদন, সেবা, পর্যটন, শিল্প-বাণিজ্যেও বিনিয়োগ বাড়বে। বাড়বে কর্মসংস্থান। আর সেটা হলে এখন যে জলবায়ু চ্যালেঞ্জের শিকার অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষ গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে ঝুঁকিপূর্ণ অনানুষ্ঠানিক কাজকর্ম করতে বাধ্য হচ্ছে, তাদের সংখ্যা কমে আসছে। দক্ষিণ বাংলায় নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। নতুন নতুন শহরও গড়ে উঠবে।

ঢাকার কাছে বলে পদ্মার ওপারে ছোট-বড় নানা শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার পথে। দক্ষিণ বাংলা হবে পর্যটনের এক উৎকৃষ্ট হাট। ছুটি পেলেই ঢাকা ও অন্যান্য নগরের বাসিন্দারা ছুটছেন দক্ষিণ বাংলার প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক সৌন্দর্যের সন্ধানে। তারা ছুটে যাচ্ছেন কুয়াকাটা, সুন্দরবন, ষাট গম্বুজ মসজিদ এবং টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি পরিদর্শনে যাচ্ছেন পায়রা বন্দরে। পদ্মার চরগুলোয় গড়ে উঠছে নতুন নতুন রিসোর্ট ও পরিকল্পিত ব্যবসা-বাণিজ্যকেন্দ্র। সরকারও এরই মধ্যে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে পদ্মাপারের পুরো এলাকাকে উন্নত করার লক্ষ্যে। শোনা যাচ্ছে, পদ্মার চরাঞ্চলে অলিম্পিক ভিলেজ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সিটি, হাইটেক পার্ক, আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্র, বিমানবন্দরসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে সরকারের ভাবনায়। পদ্মা সেতুর কাছেই দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি গড়ে উঠছে। এখানে থাকবে আধুনিক আবাসন, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সব সুযোগ-সুবিধা। পদ্মা সেতুর আশপাশে গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রসার ঘটবে। খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালীতে শিপ-বিল্ডিং শিল্পের বিকাশ ঘটবে।

এক কথায় পদ্মা সেতু খুলে দিয়েছে হাজারো সম্ভাবনার দুয়ার। সারাদেশের মানুষ এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত। কিন্তু মন বেদনায় ভুগছেন তারা, যারা এর বিরোধিতায় ছিলেন। শুধু মনকষ্টই নয়, সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাধাগ্রস্ত করতে নানামুখী অপতৎপরতা চালিয়ে ছিল তারা। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আর আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে যারা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন সেই জ্ঞানপাপী, বিদেশী তাবেদার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের ইতিহাস কোনো দিনও ক্ষমা করবে না। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার অসীম সাহসিকতায় নির্মিত স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধনের দুই বছর পূর্তিতে পদ্মা সেতুর বিরোধীতা কারীদের উদ্দেশ্যে একটাই প্রশ্ন পদ্মা সেতুর সুবিধা ভোগ করছেনতো? আর তাদের উদ্দেশ্যে সেতু বিভাগের আরেকটি তথ্য জানিয়ে দিতে চাই বিপুল খরচে নির্মিত পদ্মা সেতু লাভজনক হবে কিনা, তা নিয়ে আর সংশয় নেই। দু' বছরে এ সেতু থেকে আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৫ কোটি ২৪ লাখ ৯৮ হাজার ১৫০ টাকার টোল।৷ এ থেকে ১৫ শতাংশ মূসক (ভ্যাট) পেয়েছে সরকার। পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ঋণের কিস্তির খরচের চেয়ে বেশি আয় হচ্ছে পদ্মা সেতুতে। সেতু বিভাগের দাবি জাতির যে প্রত্যাশা ছিল তা ছাড়িয়ে গেছে। জাতির সকল প্রত্যাশা সবই পূরণ হবে। শুধু এই দেশে পূরণ হবে না স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে নিয়ে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের দুঃস্বপ্ন।

লেখক : ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য।

পাঠকের মতামত:

২৯ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test