E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

অবৈধ তামাক পণ্য জব্দে অভিযানে নামছে এনবিআর

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৭ ১৪:৫২:০৬
অবৈধ তামাক পণ্য জব্দে অভিযানে নামছে এনবিআর

স্টাফ রিপোর্টার : তামাকজাতীয় পণ্য সিগারেটে রাজস্ব ফাঁকি ঠেকানোই যাচ্ছে না। সম্প্রতি তিন স্তরের সিগারেটের ওপরে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। ফলে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বাজারে প্রবেশ করছে দেশি-বিদেশি সিগারেট। তামাকজাত পণ্য বিক্রয়ে বিপুল অংকের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো।

অবৈধ তামাকজাতীয় পণ্যের (সিগারেট, গুল, জর্দা ও সমজাতীয় পণ্য) বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করার কথা জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটির দ্বিতীয় সচিব প্রণয় চাকমার সই করা আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নিয়মিত অভিযান পরিচালনার জন্য সব কমিশনারেটের অধীন সার্কেল পর্যায়ে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে এনবিআর।

এতে বলা হয়, সিগারেট, বিড়ি ও তামাকজাতীয় পণ্য থেকে আহরিত ভ্যাটের প্রায় ২৫ শতাংশ রাজস্ব আদায় হয়। অবৈধ তামাকজাতীয় পণ্যের কারণে দেশের সামগ্রিক রাজস্ব আদায় মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেশের শহর/গ্রাম/প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দেশি ও বিদেশি অবৈধ তামাকজাতীয় পণ্য ব্যাপাকহারে বাজারজাতের সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে।

এতে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।

এতে বলা হয়, নিয়মিত অভিযান পরিচালনার জন্য সার্কেল সংশ্লিষ্ট রাজস্ব কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে কমিটি করা হয়েছে। যেখানে পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট সেক্টর/ব্যাটালিয়নের বিজিবি প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট জেলা/ব্যাটালিয়নের আনসার ও ভিডিপি প্রতিনিধিকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ৮২(১) এর ক্ষমতাবলে বর্ণিত সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মূসক কর্মকর্তাকে তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা দিতে এ কমিটি গঠন করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, সব সার্কেল কর্মকর্তা এ কমিটির সামগ্রিক নেতৃত্ব দেবেন। প্রয়োজনে এলটিউ ভ্যাট কমিশনারের পরামর্শ নেবেন। কমিটি নিজ উদ্যোগে গোপনে সংবাদ সংগ্রহ করে প্রাত্যহিক হাটবাজার, লোকালয়, স্থানীয় গুদাম এবং সম্ভাব্য ও সন্ধিগ্ধ স্থানে অভিযান পরিচালনা করবে।

বিভাগীয় কর্মকর্তা তার সব সার্কেলের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও সম্পাদিত কার্যক্রম মান, গুণ ও পরিমাণ যাচাই করে মতামতসহ কমিশনারের কাছে পাঠাবে। কমিশনার প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত সমন্বয় করে সামগ্রিক কর্মকাণ্ড বিবেচনায় গুণগত মানসম্পন্ন ও মেধাজাত কর্মকাণ্ডে সেরা কর্মকর্তাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠাবে।

অবৈধ তামাকজাতীয় পণ্য ঠেকাতে উদ্বুদ্ধ দেশব্যাপী সেরা সার্কেল কর্মকর্তাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে ‘স্বীকৃতি সনদ’ দেওয়া হবে বলেও এতে জানানো হয়।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১২ মার্চ ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test