E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

যশোরে লাগামহীন সবজির বাজার

২০২৪ অক্টোবর ০৪ ১৮:৫৪:১১
যশোরে লাগামহীন সবজির বাজার

স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর : যশোরের বাজারে লাগামহীন ভাবে বেড়ে চলেছে সবজির বাজার। কোনো ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কাঁচা সবজির দাম। ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে নিন্ম আয়ের মানুষের। নিত্য দিন পরিবারের সদস্যদের খাবারের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত নানান শ্রেণি পেশার মানুষদের। আজ শুক্রবার সকালে শহরের বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দামের বড় রদবদল হয়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, জলাবদ্ধতা ও বৃষ্টির কারণে সবজির দাম চড়া। এদিকে সবজির দাম চড়া থাকাতে ক্ষোভ দেখা গেছে সাধারণ খুচরা ক্রেতাদের মধ্যে। এদিন বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহের তুলনায় শিমের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৬০ টাকা। গেল সপ্তাহে ২৬০ থেকে ২৮০ বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা। দ্বিগুণ দাম বেড়ে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। ৩০ টাকা কেজিতে বেড়ে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। ১০ টাকা কেজিতে বেড়ে পুঁই শাক বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। ৪০ টাকা কেজিতে বেড়ে ফুল কপি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। এছাড়াও প্রতিকেজি টমেটো ১৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১১০ টাকা, কচুরলতি ৮০ টাকা, পালন শাক ৫০ টাকা (আটি), লাল শাক ১৫ টাকা(আটি), লাউ ৮০ টাকা(পিস), রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা, শুকনো ঝাল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা, ভেন্টি ৬০ টাকা, কলা ৬০ টাকা, গাজর ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ওল ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, আমড়া ৪০ টাকা, ক্যাপসিকাপ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, মেচড়ি ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে প্রতিকেজি সিলভার ও তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, ইলিশ ৪৬০ থেকে ২১শ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ টাকা, ছাগলের মাংস ১ হাজার থেকে ১১শ টাকা, জাত ভেদে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, মুরগির মাংস ১৬০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শহরের বড় বাজারে সবজি কিনতে আসা শংকরপুর এলাকার দিনমজুর হালিমা খাতুন বলেন, বাসা বাড়িতে কাজ করে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা মজুরি পাই। বাজারে জিনিম পাতির যে দাম তাতে ঠিকমত দুবেলা ভাত মুখে তোলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সব জিনিসের দাম আগুন বরাবর। এত দামে বাজার করে খাওয়া সম্ভব না।

রিকশা চালক আনসার আলী বলেন, সারাদির রিকসা চালিয়ে ৫০০ টাকা আয় করেছি। রিকসা মালিককে দিতে হবে ২৫০ টাকা। বাকি টাকায় বাজার করতে হবে। শুধু এক পোয়া ঝাল কিনেছি। এখনও তরকারি ,চাউল কিনতে হবে।

মো. হৃদয় নামে বিমান অফিস এলাকার একজন ক্রেতা বলেন, অবস্থা খুব শোষনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। দিন মজুরির কাজ করি। আজ ৪ দিন কাজ বন্ধ। কি করে বাজার করে খাবো। বাজারে ১ হাজার টাকা আনলে প্যাকেট ভরে না। আগে এক কেজি কিনতাম এখন ২৫০ গ্রাম কিনছি। এভাবে চালিয়ে নিতে হচ্ছে।

বিক্রেতা ফাহিম ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকাল টানে বাজার হয়ে যায়। সকালে টাটকা জিনিস পাওয়া যায় তাই দমি একটু বেশি থাকে। বাজারে জিনিসের দাম বেড়েছে। মোকামে সবজি কম পাওয়া যাচ্ছে। সবজির ক্ষেত পানিতে নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে দাম বাড়তি।

বিশ্বজিৎ নামে অন্য এক বিক্রেতা বলেন, আমদানি বাড়লে সবজির দাম বাড়ে। এখন সবজির দাম বাড়ার কারণ আমদানি কমেছে। অনেক ছোট ছোট দোকানদার সবজির অভাবে দোকান বসাতে পারেনি।

(এসএ/এসপি/অক্টোবর ০৪, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৫ অক্টোবর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test