E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

তারেক-মোদি সম্পর্কের বয়স এক যুগেরও বেশি!

২০১৪ মে ২০ ১৩:৫৮:৩৮
তারেক-মোদি সম্পর্কের বয়স এক যুগেরও বেশি!

নিউজ ডেস্ক : ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ বিপুল ভোটে জয় পাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার জোর হাওয়া লাগতে শুরু করেছে।

শক্তিশালী প্রতিবেশি দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়া মাত্র এদেশে শুরু হয়ে গেছে নতুন হিসেব-নিকেষ। এবিষয়ে সরকারের ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ যেমন তৎপর, সংসদের বাইরে থাকা শক্তিশালী দল বিএনপিও তেমন তৎপর। বলতে গেলে বিএনপি’র তৎপরতা প্রথম থেকেই বেশি। তারই প্রতিফলন দেখা যায়- নির্বাচনে বিজেপির জয় নিশ্চিত হওয়া মাত্র নয়াপল্টনের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর মাঝে।

জানা যায়, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক দেড় দশক ধরে। সর্বশেষ এক বছর ধরে লন্ডনে বসেই তিনি গভীর সম্পর্ক বজায় রেখেছেন ভারতের ভাবী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। লন্ডনপ্রবাসী মোদি সমর্থক ভারতের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তার। এ সম্পর্কের রেশ ধরেই গত বছরের শেষের দিকে বিজেপির এক বিশেষ বৈঠকে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রণ পেয়ে বিএনপি একজন প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সলাপরামর্শ করে তারেক রহমান লন্ডন থেকে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য একজন অধ্যাপককে ভারত সফরে পাঠানোর উদ্যোগ নেন।

বিজেপির আমন্ত্রণপত্র নিয়ে যথারীতি ওই অধ্যাপক লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে ভিসার জন্য আবেদন করেন। কোনো ওজর-আপত্তি না করে এক সপ্তাহ পরে ভিসা সংগ্রহ করার কথা জানায় ভারতীয় হাইকমিশন। যথাসময়ে বিএনপির ওই প্রতিনিধি ভিসা আনতে যান। কয়েক মিনিট বসিয়ে রেখে ভিসা কর্মকর্তা জানান, তার ভিসা বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ তারেক রহমানকে জানানো হয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপির লন্ডন অফিসকে জানান। এ ঘটনায় লন্ডনের বিজেপি নেতারা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হন। লন্ডন অফিস থেকে ঘটনাটি দ্রুত দলের ভাবী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানানো হয়। তিনিও বিষয়টি শুনে হতবাক ও বিস্ময় প্রকাশ করেন। ভারতীয় হাইকমিশনের ভদ্রতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মোদি। তিনি বলেন, কোন শিষ্টাচার? দাওয়াত করলাম আমরা। দায়িত্ব তো আমাদের। কোন যুক্তিতে ভিসা বাতিল করল ভারতীয় হাইকমিশন। তারা তো আমাদের মতামত নিতে পারত।

আরো জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে ভারতের অটল বিহার বাজপেয়ি সরকার সর্বপ্রথম বেগম খালেদা জিয়াকে অভিনন্দন জানান। ওই সময় তারেক রহমান তার বন্ধুদের নিয়ে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। এর পর থেকে কোনো না কোনোভাবে তারেক রহমান বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সাত বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান নিয়ে বিজেপির লন্ডন অফিসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা।

সূত্র জানায়, সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে লন্ডন থেকে বেশকিছু করপোরেট ব্যবসায়ী বিজেপির ভাবী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করেন। এদের সঙ্গেও তারেক রহমানের যোগাযোগ রয়েছে। তাদের মাধ্যমেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন বিএনপির সিনিয়র এই ভাইস চেয়ারম্যান। বিজেপির নতুন সরকারের সঙ্গে দলের সম্পর্ক আরও জোরাল করতে বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ, লন্ডনপ্রবাসী বিএনপির এক নেতা বলেন, বিজেপির সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক অনেক আগে থেকেই ভালো। এ জন্য তারেক রহমানেরও অনেক অবদান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিজেপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন।

(ওএস/এটিআর/মে ২০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test