E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

‘নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের মর্যাদা রাখতে হবে’

২০২৪ ডিসেম্বর ২৩ ১৯:১০:৪০
‘নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের মর্যাদা রাখতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়েই ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ছাত্র-জনতার এই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দিক হচ্ছে একটি নির্বাচিত সরকার। সেই নির্বাচিত সরকার যতক্ষণ না আসবে গণঅভ্যুত্থান তার মর্যাদা হারাবে। নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়েই সেই মর্যাদা ধরে রাখতে হবে ও সংকট কাটাতে হবে।

তিনি বলেন, ড. মো. ইউনূস সাহেব একটু হুঁশে আসুন। এই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দিক হচ্ছে একটি নির্বাচিত সরকার। এর কোনো ভিন্ন পথ আছে এটা আমি মনে করি না। সেজন্য আমরা নির্বাচনের আহ্বান করেছি। আমি মনে করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের দিকে দেশকে এগিয়ে নেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, ভারত একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের যে সহযোগিতা করেছিল, আমাদের দেশের মানুষকে তাদের ভূখণ্ডে জায়গা দিয়েছিল, এ জন্য আমরা তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা তাদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করি। কিন্তু এই ভারত বিগত ৫৩ বছরে আমাদের বন্ধুত্ব, আমাদের কৃতজ্ঞতাকে তাদের স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে। মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করার পরে নব্য বাংলাদেশে লুটপাট করেছিল তাদের সেনাবাহিনী এবং জনগণ।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্বিচারে শেখ হাসিনা যেমন লুটপাট করেছেন, ঠিক তেমনই সেই সময় ভারতও বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে। তখন আমাদের টাকার দরকার ছিল। কারণ সদ্য স্বাধীন দেশে সাধারণ মানুষের জন্য খাবারের প্রয়োজনে, বেঁচে থাকার প্রয়োজনে টাকার দরকার ছিল। কিন্তু সেই সময় ভারত টাকা নিয়ে গেছে। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ পাকিস্তানিদের কাছ থেকে যে অস্ত্র পেয়েছিল সেই অস্ত্রগুলো তারা ট্রাকে ভরে ভারতে নিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় রাশিয়ান কয়েকটি এসএলআর ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। অথচ, হাজার হাজার কোটি টাকার অস্ত্র সেই সময় আমাদের বাংলাদেশে থাকার কথা ছিল।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরপরই পার্শ্ববর্তী বন্ধু নামধারী দেশটি সদ্য স্বাধীন এই বাংলাদেশের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছে, সেই একই ব্যবহার আমরা এই ডিসেম্বরেও লক্ষ্য করেছি। এমনকি ভারত ভয়ংকর গণহত্যাকারী ও লুটেরা শেখ হাসিনা এবং তার দলকে আশ্রয় দিয়েছে। এই আশ্রয়ের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে তারা গণহত্যাকারী এবং লুটেরার পক্ষের একটা শক্তি। অর্থাৎ ভারত সবসময়ই আওয়ামী লীগ, শেখ মুজিব, শেখ হাসিনার বাইরে আর অন্য কোনো চিন্তা করতে পারে না। আর এর বাইরে কোনো চিন্তা করতে পারেনি বলেই তারা বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু হতে পারেনি।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test