E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

‘ভারত চট্টগ্রাম দাবি করলে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা ফেরত দিতে হবে’

২০২৪ ডিসেম্বর ০৮ ১৭:৫৯:৩৪
‘ভারত চট্টগ্রাম দাবি করলে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা ফেরত দিতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারতের আচরণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, তারা চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ বলে দাবি করবে বলে বলেছে। আমরা তারুণ্যের শক্তি নিয়ে এটাই বলবো ঠিক আছে তোমরা যদি চট্টগ্রাম দাবি করতে পারো তাহলে আমরাও দাবি করব আমাদের নবাব সিরাজুদ্দৌলার বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা ফেরত দাও আমাদেরকে। এই সব ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে কিছু হবে না।

রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে প্রতিবাদী পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের সম্পদকে রক্ষা করার জন্য আকাশ পাতাল ভূমি প্রত্যেকটা জায়গায় আমাদের যে শক্তি, আমাদের যে সশস্ত্র বাহিনীর যে শক্তি সেই শক্তিও কিন্তু কম নয়। ১৮ কোটি মানুষের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। আমরা প্রত্যেকটা দিক থেকে দিল্লির আগ্রাসন প্রতিহত করতে প্রস্তুত আছি।

বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে শতকরা ১০০ ভাগ উন্নত স্যানিটেশন সিস্টেম। কেউ বাঁশঝাড়ে যায় না, কেউ রেললাইনের ধারে টয়লেট সারে না। আর আপনি যদি কলকাতা থেকে দিল্লি যান তাহলে দেখবেন, রেল লাইনের ধারে কি অদ্ভুত ব্যাপার। যেখানে ভারতের মাত্র ৬০ শতাংশ স্যানিটেশন ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে তারা আবার কীসের অহংকার করে?

রিজভী বলেন, মানুষ ভারতে যায় চিকিৎসা করানোর জন্য এবং টুকটাক কেনাকাটা করার জন্য। এটি এই কারণেই যে, ভারত একটি বড় ও পর্যটন সমৃদ্ধ দেশ। আপনারা কি মনে করেছেন, বাংলাদেশে হাসপাতাল নেই? আপনারা বিদেশে যেসব জায়গা থেকে পড়াশোনা করে এসেছেন আমাদের চিকিৎসকরাও সেখান থেকে পড়াশোনা করেছে। চিকিৎসকের কোনো অভাব নেই। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বাংলাদেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যাও অসংখ্য।

ভারত ভয়ংকর রকমের সাম্প্রদায়িক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘৃণা, প্রতিহিংসা এবং ভিন্ন ধর্মের প্রতি অবজ্ঞা ছাড়া ওদের আর কোনো রাজনীতি নেই। ওদের রাজনীতির শেষ হয়ে গেছে। একমাত্র দিল্লির আশীর্বাদে শেখ হাসিনা ১৫ বছর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পেরেছে। ভারত বাংলাদেশের মানুষকে পছন্দ করে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে তারা সহ্য করে না। তারা হাসিনাকে সমর্থন করে। তারা হাসিনাকে বাঁচানোর জন্য যেসব কাজ করছে সেগুলো পৃথিবীর ইতিহাসে এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় আগ্রাসন ছাড়া অন্য কিছু নয়।

তবে সব ধরনের ষড়যন্ত্রই সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসিরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৮, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test