E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

 

মেঘনায় লঞ্চ ডুবি : নারী ও শিশুসহ ২২ লাশ উদ্ধার

২০১৪ মে ১৬ ০৭:২৮:৩৮
মেঘনায় লঞ্চ ডুবি : নারী ও শিশুসহ ২২ লাশ উদ্ধার

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সিগঞ্জ থেকে গজারিয়ার যাওয়ার পথে মেঘনা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যাওয়া লঞ্চ এমভি মিরাজ-৪ থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ২২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে অর্ধশতাধিক।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গজারিয়া উপজেলার দৌলতপুর গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে লঞ্চডুবির এ ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছেন- শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পাঁচগাও গ্রামের জামাল হোসেন শিকদার (৫০), তার ছেলে আবিদ হোসেন শিকদার (২৮), টুম্পা বেগম (৩০), সেতার বেগম (৫০) ও আরিফ (১১)।

নিহত টুম্পার স্বামী লিটনও ওই লঞ্চে ছিলেন।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার ৮ বছরের মেয়ে সুমনা ও ৬ বছরের ছেলে মাহিম এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

রাত ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শহীদুল ইসলাম ১৫ জনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। কয়েকটি লাশ শনাক্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া রাত সোয়া ২টার দিকে ট্রলারে করে আরো ৫টি লাশ তীরে নিয়ে আসা হয়।

এর আগে খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায়। এরইমধ্যে লঞ্চটি শনাক্ত করে উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পন্ন করছে প্রত্যয়ের অফিসারসহ ডুবুরিরা।।

ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রী খালেক মিয়া জানান, সদরঘাট থেকে দুপুর একটার দিকে শরীয়তপুরের উদ্দেশে রওয়ানা হয় লঞ্চটি। পথে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে। এতে মাত্র ৩ মিনিটের মধ্যে লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চটিতে ২৮০ থেকে ৩০০ যাত্রী ছিল।


(ওএস/অ/মে ১৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৪ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test