E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

বিশ্রামাগার নেশাখোরদের দখলে

ভেলুরপাড়া রেলওয়ে স্টেশন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে যাত্রী

২০২৫ এপ্রিল ২৮ ১৪:১৯:০২
ভেলুরপাড়া রেলওয়ে স্টেশন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে যাত্রী

বিকাশ স্বর্নকার, সোনাতলা : বগুড়া সোনাতলা উপজেলার ভেলুরপাড়া রেল স্টেশনটি দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় একেবারেই ভোগান্তিতে যাত্রীরা। অপরদিকে যাত্রী বিশ্রামাগার নির্মাণের কাজও দীর্ঘ ৩৭ বছরে শেষ হয়নি। রাতের ষ্টেশন ভয়ঙ্কর থাকে নেশাখোরদের দখলে। রাতে লোকালের যাত্রীদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। গানের সুরে বলতে হয় ইস্টিশনের রেলগাড়িটা মাইপা চলে ঘড়ির কাটা। তবে কখন ট্রেন আসে আর কখন চলে যায় সেটি বলতে পারেনা এলাকার যাত্রীরা।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ভেলুরপাড়া রেলওয়ে স্টেশনটি বন্ধ থাকায় আর ঢং ঢং বাজে না ঘন্টা,জানা যায় না কোন ট্রেন এলো। এতে করে দূরদূরান্তের অনেক যাত্রী এসেই বুঝতে পারে না তাদের কাঙ্খিত ট্রেনটি কখন আসবে। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর হয়তোবা আশপাশে খোঁজখবর নিয়েই জানতে পারে কাঙ্ক্ষিত ট্রেনটি কিছুক্ষণ আগে চলে গেছে।

এদিকে দীর্ঘ দিনে শেষ হয়নি যাত্রী বিশ্রামাগারের ভবন নির্মাণ। ফলে নির্মানাধীন ওই ভবনের কাজ বন্ধ থাকায় নেশা খোরদের আড্ডা ও গোয়াল ঘরে পরিনত হয়েছে।

জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ভেলুরপাড়া রেল স্টেশনে যাত্রীদের বিশ্রামাগার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এরপর একই বছরে ভয়াবহ বন্যার কারণে বিশ্রামাগারটির ৮০ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার পর অজ্ঞাত কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ দিনেও বিশ্রামাগারটির নির্মাণ কাজ শেষ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এলাকাবাসীরা জানান এক সময় এই স্টেশন থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার রেলযাত্রী ট্রেন যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতেন।

সরেজমিনে গেলে ভেলুরপাড়া এলাকার কয়েকজন জানান,দীর্ঘ দিনেও সংশ্লিষ্ট স্টেশনে মাষ্টার নেই এবং বিশ্রামাগারের কাজটিও শেষ হয়নি। এখন পুরা ষ্টেশন এলাকা রাতে থাকে মাদকসেবীদের দখলে। তারা আরো বলেন এ বিষয়ে রেলওয়ের বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।

ভেলুরপাড়া রেলওয়ে ষ্টেশন এর দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত মাষ্টার মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, জনবল সংকটের কারণে বন্ধ আছে।তার কাছে প্রশ্ন ছিল বর্তমানে রেলওয়ে স্টেশনটি রাতে থাকে নেশাখরদের দখলে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান বিষয়টি আমার জানা ছিলনা তবে এটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো। এবিষয়ে শান্তাহার থেকে লালমনিরহাট পর্যন্ত দ্বায়িত্বে থাকা

রেলওয়ের সেকশন ইনচার্জ মোঃ ছহির উদ্দিন জানান,দির্ঘদিন ধরে জনবল স্বল্পতার কারণে বেশ কিছু রেলওয়ে স্টেশন বন্ধ আছে তার মধ্যে বেলুরপাড়া একটি বিশেষ করে স্টেশন মাস্টার টি ম্যান স্বল্পতার কারণেই মূলত স্টেশন গুলি খোলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সরকার জনবল নিয়োগ দিলে আগামীতে হয়তো বন্ধ স্টেশনগুলো খুলে যাবে এবং দুর্ভোগ লাঘব হবে যাত্রীদের।

(বিএস/এএস/এপ্রিল ২৮, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test