E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ঈশ্বরদীর ৪৪ চাল কলের লাইসেন্স বাতিল

২০২৫ এপ্রিল ২৬ ১৯:০৮:৩৮
ঈশ্বরদীর ৪৪ চাল কলের লাইসেন্স বাতিল

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : সরকারি খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহ না করায় পাবনার ঈশ্বরদীর ৪৪টি চালকলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ঈশ্বরদী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহিনুর আলম আজ শনিবার দুপুরে লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ঈশ্বরদীর দুটি সরকারি গুদামে চাল সরবরাহের জন্য ৯৯টি চালকল চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। এসব চালকলের মাধ্যমে সেদ্ধ চাল সংগ্রহের ল্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ২৫৮ মেট্রিক টন। প্রতি কেজি সেদ্ধ চাল ৪৭ টাকা এবং আতপ চাল ৪৬ টাকা দরে কেনা হয়।

খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদীতে মোট ১৪৩টি চালকলের মধ্যে আমন মৌসুমে চুক্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়েছিল ৯৯টি। এর মধ্যে ৮৩টি চালকল চুক্তির পুরো চাল গুদামে সরবরাহ করেছে, আংশিক চাল দিয়েছে ১৬টি এবং কোনো চাল সরবরাহ করেনি ৪৪টি চালকল। ফলে আমন মৌসুমে ঈশ্বরদীতে মোট সংগ্রহ হয়েছে ৪ হাজার ৬৪৩ মেট্রিক টন চাল। যা চুক্তির মাত্র ৬৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। চুক্তির আংশিক চাল সরবরাহ করা চালকলগুলোর জামানতও অনুপাতিক হারে বাতিল করা হয়েছে।

চাল সরবরাহে ব্যর্থ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক চালকল মালিক বলেন, এক কেজি চাল উৎপাদনে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা খরচ হয়। সরকারি গুদামে সে চাল ৪৫ টাকা কেজি দরে সরবরাহ করতে হয়। লোকসান দিয়ে সব চালকল মালিকের পক্ষে চাল সরবরাহ করা সম্ভব নয়। সেজন্য অনেকেই ইচ্ছে থাকা সত্বেও সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করতে পারেননি। সরকারি ক্রয় মূল্য ৫৪ টাকার বেশি হলে সবাই যার যার দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু লোকসান দিয়ে কেউ ব্যবসা করবে না।

আরেক চালকল মালিক বলেন, সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহে লোকসান হয়। আমরা কয়েকবার দর পুনরায় নির্ধারণের আবেদন করেছিলাম। সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো আলোচনার সুযোগ হয়নি। তাই চাল সরবরাহ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

ঈশ্বরদী উপজেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হক দুলাল মন্ডল বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে চাল সরবরাহ করে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমার প্রায় ১২ টন চাল সরবরাহে ৩৪ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। লোকসান দিয়ে অনেকের পক্ষে চাল সরবরাহ সম্ভব না। সরকার যদি সঠিক রেট দেয়, তাহলে সব মিল মালিক স্বতঃস্ফূর্তভাবে চাল সরবরাহ করবে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহিনুর আলম জানান, যারা চাল সরবরাহে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। সরকারি যেকোনো কাজে চুক্তিবদ্ধ হলে তা বাস্তবায়ন না করতে পারলে অপরাধ বলে গণ্য হবে।

পাবনা জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাসান আল নাঈম বলেন, সরকারি গুদামে চাল সরবরাহে যেসব মিল আমাদের সঙ্গে চুক্তি করেনি তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

(এসকেকে/এসপি/এপ্রিল ২৬, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test