E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

হোটেল বয় থেকে কোটি টাকার মালিক সাইজদ্দিন মাতাবর

২০২৫ এপ্রিল ১৮ ১৭:০৭:০৬
হোটেল বয় থেকে কোটি টাকার মালিক সাইজদ্দিন মাতাবর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের বার্মাস্টান্ড এলাকায় অবস্থিত পদ্মা ওয়েল কোম্পানীর (ডিপো)। যেখান থেকে সরবরাহকৃত বিমানের জ্বালানি তেল, অকটেন, ডিজেল চলে যাচ্ছে চোরাকারবারীদের আস্তানায়। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই তেল চুরির বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন হোটেল বয় সাইজদ্দিন। সাইজদ্দিনের প্রকাশ্যে চোরাই তেলের রমরমা ব্যবসা চললেও রহস্যজনক কারণে সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

ঘনিষ্ঠ সুত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে মতলব থেকে কাজের সন্ধানে সিদ্ধিরগঞ্জে আসেন এই সাইজদ্দিন। শুরুর দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের বার্মা স্টার্ন্ড এলাকায় অবস্থিত পদ্মা অয়েল ডিপোর গেট সংলগ্ন একটি হোটেলে প্লেট ধোঁয়া ও দোকান পরিস্কার করার কাজ করতেন পেটে-ভাতে। যার কারণে দোকানদার তাকে কোনো পারিশ্রমিক দিতেন না। দীর্ঘদিন হোটেলে কাজ করার কারণে পরিচিতি বাড়তে থাকে স্থানীয়দের সাথে। তারই পেক্ষিতে হোটেলে বেশকিছু সময় কাজ করার সুবাদে স্থানীয় খালেক মিস্ত্রির সাথে পরিচয় হয় তার। যার ফলে হোটেলের কাজ ছেড়ে নতুন কাজ নেন খালেক মিস্ত্রির বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে। যেখানে তিনি নামমাত্র বেতনে কাজ করতেন। এরপর তিনি খালেক মিস্ত্রির বাড়ির কাজ ছেড়ে নতুন কাজ নেন এক স্থানীয় তেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীর তেলের গাড়ি দোয়াঁর। তারপর থেকেই আর সাইজদ্দিনের পিছনে ফিরে তাকাঁতে হয়নি।

স্থানীয়রা জানায়, মতলব থেকে এসে কোটি টাকার মালিক হয়ে সাইজদ্দিন থেকে হয়ে গেছেন সাইজদ্দিন মাতাবর। দারিদ্রতা থেকে স্বচ্ছল হতে নারায়ণগঞ্জে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু কিছু স্থানীয়দের ছত্রছায়ায় চোরাই তেলের রাজত্ব তৈরি করে হয়ে গেছেন কোটিপতি। প্রশাসনের চোখের আড়ালে এখনো চালিয়ে যাচ্ছে তার চোরাই তেলের সম্রাজ্য। এক প্রকার নিরব ভুমিকা পালন করছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন ট্যাং-লড়ি চালক বলেন, এক সময় এই সাইজদ্দিন আমাদের গাড়ি ধোঁয়ার কাজ করতেন। আমরা সারাদিন গাড়ি দিয়ে তেল ডেলিভারি করে মাঠে আসলে তিনি আমাদের গাড়ি পরিস্কার করতো ও কয়েক লিটার তেলের জন্য হা-হা-কার করতো। আর এখন তিনি কি আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে কোটি টাকার মালিক হয়ে গেল।

এ বিষয়ে সাইজদ্দিন মাতাবরের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মুটোফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) শাহিন আলম বলেন, সাইজুদ্দিন মাতাব্বরের ব্যাপারে আমি তেমন কিছু জানি না। কিন্তু শুনেছি তার কিছু তেলের পাম্প আছে।

(এস/এসপি/এপ্রিল ১৮, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test