E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ময়মনসিংহ ট্রাফিক সার্জেন্ট আমীর হামজার রোষানলের শিকার সাংবাদিক ও তার স্ত্রী

২০২৫ এপ্রিল ১৭ ১৮:৪১:১০
ময়মনসিংহ ট্রাফিক সার্জেন্ট আমীর হামজার রোষানলের শিকার সাংবাদিক ও তার স্ত্রী

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : পহেলা বৈশাখের দিন ময়মনসিংহ ট্রাফিক সার্জেন্ট আমীর হামজার রোষানলের শিকার হয়েছেন দৈনিক বাংলা ৭১ পত্রিকার সাংবাদিক নীহার রঞ্জন কুন্ডু ও তার স্ত্রী। ওই দিন ক্ষমতার বড়াই দেখিয়ে সার্জেন্ট বলেন, “আমি সমন্বয়ক থেকে এসেছি, কারো হুকুমের দাস নই।” এসময় সাংবাদিক নীহারের সাথে তার স্ত্রী ও ৩ বছরের শিশু সন্তান ছিল। তার স্ত্রী কথা বলতে গেলে তাকেও ট্রাফিক সার্জেন্ট হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আপনি চুপ থাকুন’। 

উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল বৈশাখ পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে ময়মনসিংহ অফিসার্স ক্লাব থেকে সাংবাদিক নীহার ৫টি লটারীর কূপন নিয়ে বাসায় যান। সন্ধার দিকে তার এক সহকর্মী জানান, তিনি একটা ছোট পুরস্কার জিতেছেন, এমতবস্থায় তার স্ত্রী ও শিশু বাচ্চা নিয়ে নিজেস্ব বাইকে অফিসার্স ক্লাবের উদ্দেশ্য রওনা হলে টাউন হলের মাথায় কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট এভাবেই এই সাংবাদিক ও তার পরিবারকে হেনস্তা করেন।

সাংবাদিক নীহার জানান, ওই দিন বাইক যাওয়া নিষেধ এই অজুহাতে ট্রাফিক সার্জেন্ট আমার বাইক আটকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন, অথচ তখন ডান বাম দিয়ে প্রচুর বাইন আসা/যাওয়া করছিল। এ ব্যাপারে কথা বললে, ট্রাফিক সার্জেন্ট হামজা আমাকে ধমক দিয়ে বলেন, আপনাকে জবাবদিহী করতে হবে? পরে ময়মনসিংহ ট্রাফিল ইনেসপেক্টর (এডমিন) কে ফোন দিয়ে কথা বলতে বললে তিনি তাতে রাজি হন নাই। তিনি বার বার নিজেকে সমন্বয়ক দাবী করে বলেন, নিজের যোগ্যতায় চাকুরী পেয়েছি কারো তাবেদারীর জন্য নয়। এবং তিনি বার বারই মোটরসাইকেলে লাগানো বাংলা ৭১ পত্রিকার লোগোর উপর উত্তেজিত হয়ে থাপ্পর দিয়ে বলেন, এসব লোগো লাগায়ে ভুয়া মোটরসাইকেল শহরে অনেক আছে। তার সমস্ত কথাবার্তা ছিল অসৌজন্যমূলক ও বিদ্বেষ ভরা।

জানা যায়, পরে সাংবাদিক নীহার ওই ট্রাফিক সার্জেন্ট হামজার নামে নিজের আই ডি থেকে ষ্ট্যাটাস দিলে তাৎক্ষনিক কিছু ভুয়া আই ডি থেকে মানহানিকর অশ্লিল কথাবার্তা কমেন্ট করানো হয়। এ ব্যাপারে সাংবাদিক নীহার রঞ্জন কুন্ডু ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ঘটনার পর পরই এই ট্রাফিক সার্জেন্ট ময়মনসিংহ কিছু কথিত ট্রাফিক পুলিশের সোর্স হিসেবে যারা শহরে পরিচিত, তাদেরকে নিয়ে সাফাই গাওয়ার জন্য কাজে লাগিয়েছেন। তবে সাংবাদিক নীহার বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দের নিকট অভিযোগ দিয়েছি, দেখি এই অহংকারী ও অভিযুক্ত ট্রাফিক সার্জেন্ট আমীর হামজার বিরুদ্ধে প্রশাসন এবং পুলিশ বিভাগ কি ব্যাবস্থা নেন।

(এনআরকে/এসপি/এপ্রিল ১৭, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test