E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ডাকবাংলায় আব্দুল মালেক ও বাবুল মাস্তানের দাপট, ফের সক্রিয় অপরাধ জগতে

২০২৫ এপ্রিল ১৭ ১৪:০৩:৩৬
ডাকবাংলায় আব্দুল মালেক ও বাবুল মাস্তানের দাপট, ফের সক্রিয় অপরাধ জগতে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার দৌলতপুর গ্রাম ও ডাকবাংলা এলাকার পরিচিত নাম আব্দুল মালেক ও আবুল কালাম ওরফে বাবুল মাস্তান। এক সময় হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী হিসেবে আলোচনায় আসা এই দুই ব্যক্তি জেল খেটে মুক্তি পেয়েও যেন অপরাধের পথ থেকে সরে আসতে পারেননি। সম্প্রতি তারা আবারও এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জেল থেকে ফিরে আব্দুল মালেক নতুন করে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ গঠন করেছেন। সেই দলের মাধ্যমে তিনি এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, মাদক ব্যবসা এবং বিভিন্ন ধরণের অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, আব্দুল মালেক, আবুল কালাম ওরফে বাবুল মাস্তান, আব্দুল বারি মোল্লা নেতৃত্বে ওই এলাকায় এখন নানা অপকর্ম চলছে। তাদের গ্রুপে রয়েছে মমিন ড্রাইভার, সালাম হোসেন, বিশারত, পিলু, সিরাজ, তরিকুলসহ আরও কয়েকজনের একটি দল। এলাকায় নিরব চাঁদাবাজি, মারধরসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত এই গ্রুপটি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯২ সালের ১২ নভেম্বর হরিণাকুন্ডু থানার হত্যা মামলা নং ৫ এর ২ নম্বর আসামী, ৯৩ সালের ২১ জানুয়ারি হরিণাকুন্ডু থানার হত্যা মামলা নং-১১’র ৫ নম্বর আসামী, একই বছরের ১৫ মার্চ থানার ১৪ নম্বর মামলার ৯ নম্বর আসামী, ২৮ এপ্রিল তারিখের ৩৩ নম্বর মামলার ১৩ নম্বর আসামী আবুল কালাম ওরফে বাবুল মাস্তান।

অন্যদিকে আব্দুল মালেক হরিণাকুন্ডু থানার জি আর ৭৩/৯৮ মামলার ৭ নম্বর আসামি, ৩৫/৯৭ নম্বর মামলার ৫ নম্বর আসামি, ১৩০/৯৮ নম্বর আসামী, ২৯/৯৯ নম্বর মামলার ৭ নম্বর আসামী ও ২৩/৯৯ নম্বর মামলার ৫ নম্বর আসামি। এর মধ্যে ২৩/৯৯ নম্বর মামলায় আদালত তাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ আব্দুল মালেক আবার আগের মতোই হয়ে গেছে। রাতে বের হতে ভয় লাগে। পুলিশে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয় না।” আর বাবুল মাস্তানও তো আগে থেকেই পুর্ব বাংলার সদস্য ছিলো। এখন আবারো তারা আগের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আব্দুল মালেক ও বাবুল মাস্তান পুর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির কমান্ডার হানেফের সক্রিয় সদস্য ছিলো। একটি হত্যা মামলায় আব্দুল মালেকের ফাঁসির রায় হয়েছিলো। রাষ্টপতির ক্ষমায় তার ফাঁসি হয়নি। তবে জেল থেকে মুক্তির পর তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর একাধিক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আব্দুল মালেকের বিষয়ে আমরা অবগত। তার বিরুদ্ধে যেকোনো অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

(এসই/এএস/এপ্রিল ১৭, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test