E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা দাবি করে ইউএনওর প্রত্যাহার চায় শিক্ষার্থীরা

২০২৫ এপ্রিল ০৯ ২০:১১:৪২
আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা দাবি করে ইউএনওর প্রত্যাহার চায় শিক্ষার্থীরা

রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরের বকশীগঞ্জে অভিনব কায়দায় প্রচার-প্রচারণা এবং আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

এ বিষয়ে আজ বুধবার সকালের দিকে তাকে প্রত্যাহারের জন্য জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমের কাছে একটি আবেদন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, জনপ্রশাসন সচিবসহ বিভাগীয় কমিশনার ময়মনসিংহের কাছে ওই আবেদনের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে ‘জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা, "ইউএনও বকশিগঞ্জ জামালপুর" নামে উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক আইডিতে যে প্রোফাইল পিকচার আপলোড করেন সেটি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। গত ২৩ ডিসেম্বর তিনি ছবিটি আপলোড করেন যা এখনো আছে।

আবেদনে বলা হয়, ফেসিস্ট হাসিনার পক্ষে অত্যন্ত চতুরতার সাথে প্রচার-প্রচারণা করে যাচ্ছেন মাসুদ রানা। প্রোফাইল পিকচারে দেখা যায়, তিনি একটি লাইব্রির সামনে দাঁড়ানো। পেছনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার লেখা বইসহ কৌশলে আওয়ামী ভাবধারার বইপত্র প্রদর্শন করছেন।

অভিযোগে বলা হয়, এতো প্রাণের বিনিময়ে যে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিতারিত করা হয়েছে সেই জালেম হাসিনার প্রচার এভাবে কোনো সরকারি কর্মকর্তা করতে পারেন না। পক্ষান্তরে তিনি আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টায় লিপ্ত থাকার পক্ষের লোক হিসেবে কাজ করছেন।

দাবি করা হয়েছে, এই কাজে তাকে প্রশাসনের ফ্যাসিস্টপন্থি কর্মকর্তারাও সাহায্য করছেন। যে ব্যক্তি আওয়ামী লীগের সময়ে সুনামগঞ্জ ও শেরপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫ আগষ্টের পর আবার একই দায়িত্বে বকশিগঞ্জে আছেন। এতে প্রমাণিত হয়, তার পেছনে বড় ধরনের কোনো শক্তি আছে যারা বর্তমান ড. মোহাম্মদ ইউনুস সরকারকে বিব্রত ও বড় ধরনের ষড়যন্ত্র করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।

অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের একজন নাজমুল বলেন, ‘একজন সরকারি কর্মকর্তা কিভাবে এখনো আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেন? কিভাবে আওয়ামী লীগের প্রচারণা করেন? এটা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি অত্যন্ত চতুর এবং তার কার্যক্রম সন্দেহজনক। প্রশাসনে অনেক যোগ্য ব্যক্তি রয়েছেন। তাহলে কেনো তাকে এই পদে রাখতে হবে? আমরা চাই যে, তাকে প্রত্যাহার করা হোক। না হলে আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।'

এ বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার মোবাইলে দুবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

তবে জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, 'এখনো আবেদনটি আমি দেখিনি। দেখে বিষয়টি জানাতে পারবো।'

(আরআর/এসপি/এপ্রিল ০৯, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test