E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

অপহরণ মামলা থেকে বাঁচতে ওসির বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

২০২৫ এপ্রিল ০৭ ১১:৩৬:৪৯
অপহরণ মামলা থেকে বাঁচতে ওসির বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

একে আজাদ, রাজবাড়ী : অপহরণ মামলা থেকে বাঁচতে ওসি ও এস,আইসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ তুলে রিমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ রাজবাড়ী আদালতে মামলা দায়ের করেছে। রবিবার (৬ এপ্রিল) রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বাদী হয়ে ওই গৃহবধূ মামলা করেন।বাদী রিমা আক্তার রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের লক্ষণদিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী।

অন্যদিকে আসামী করা হয়েছে,পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সালাউদ্দিন, উপ পরিদর্শক (এসআই) হিমাদ্রি হাওলাদার ও সহযোগী আরিফ হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাদী রিমি আক্তার ও তার স্বামী শরিফুল ইসলাম কলেজ ছাত্রী মাহি আক্তার অধরা (১৭) অপহরণ মামলার ৪ ও ৫ নং আসামী।পুলিশ গত রবিবার (২ এপ্রিল) রাতে স্থানীয় দুই নারীর সহযোগিতায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এসময় তার স্বামী শরিফুল ইসলাম পালিয়ে যায়। পরে সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে ওই কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে ফেরত দিলে পরিবারের জিম্মায় রিমি আক্তার কে দেওয়া হয়।

যদিও মামলার বাদী গৃহবধূ রিমি আক্তার এজাহারে উল্লেখ করেন, পাংশা থানার ওসির নির্দেশে এস আই ও এক সহযোগী রাত ১১ টার দিকে তারা ঘরের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি করেন ও তার স্বামীকে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে আমার স্বামীকে না পেয়ে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়,স্থানীয় লোকজন তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে ২০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণসহ মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়।

এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সালাউদ্দিন বলেন, গত (২৫ মার্চ) পাংশা থানায় মোছা: মিনি খাতুন নামে এক গৃহবধূ মেয়ে অপহরণের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন।রিমি আক্তার ওই মামলার ৫ নং আসামী। অপহরণকারী রিমি আক্তারের ভাস্তে।গত রবিবার রিমি আক্তার কে তার বাড়ি থেকে স্থানীয় দুই নারীর সহযোগিতা থানায় নিয়ে আসা হয়।পর দিন দুপুরে অপহরণ হওয়া কলেজ ছাত্রীকে ফেরত দিলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে রিমি আক্তার কে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, একটি স্বার্থন্বেষী মহল পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে।

রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী জাহিদ উদ্দিন মোল্লা বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারক গৃহবধূর করা মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর কার্যালয়ের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

(একে/এএস/এপ্রিল ০৭, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৭ এপ্রিল ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test