E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

সেনা সদস্যকে অপহরণ মামলায় বিএনপির ২০ নেতাকর্মী আসামি, গ্রেফতার ৩

২০২৫ মার্চ ২৬ ১৭:২৬:৫৪
সেনা সদস্যকে অপহরণ মামলায় বিএনপির ২০ নেতাকর্মী আসামি, গ্রেফতার ৩

আঞ্চলিক প্রতিনধি, বরিশাল : বালুমহাল ইজারার দরপত্র জমা দেয়াকে কেন্দ্র করে এক সেনা সদস্যকে অপহরণের পর আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় সেনা সদস্যের চাচা চাঁদপুরের মতলব থানার বাসিন্দা আব্দুল মতিন কাজী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এ ঘটনায় জেলার হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট দেওয়ান মো. মনির হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নূর হোসেন সুজন ও হিজলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ইমরান খন্দকারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

দায়ের হওয়া মামলায় ১২ জনের নামোল্লেখ ও ৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলায় জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদককে আসামি করা হয়েছে। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, নগরীর লঞ্চঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিসি ভবনের রিচমার্ট হোটেল থেকে আটক ৩ জনকে মঙ্গলবার থানায় হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার বাদী মতিন কাজীর ব্যবসায়িক অংশীদার ও মামলার ২ নম্বর সাক্ষী আব্দুল বাসেত অভিযোগ করে বলেন, বালুমহাল ইজারা নিতে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে দরপত্র জমা দিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যান তারা। এতে বাধা দেন আসামিরা। জোর করে দরপত্র জমা দিলে তারা আমাদের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে আসামিরা মতিনের ভাতিজা সেনা সদস্য জাফরকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে অপহরণ করে লঞ্চঘাট এলাকার রিচমার্ট হোটেলের ৩১০ নম্বর কক্ষে আটকে রাখে।

সেখানে তিনি (জাফর) নিজেকে সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল পরিচয় দেয়ার পরও তাকে মারধর করা হয়। তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার, আইফোন এবং নগদ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানোর পর সেনাবাহিনী রিচমার্ট হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেন। হোটেলটির অন্যতম মালিক যুবদল নেতা বেলায়েত হোসেন। দরপত্রে অংশ নিতে সিডিউল ক্রেতা অনেককে বিভিন্ন কৌশলে ডেকে এনে সোমবার এ হোটেলে আটকে রাখা হয়।

আব্দুল বাসেত আরও জানান, ১৩ কোটি টাকার সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে মেঘনার বালুমহাল তারা ইজারা পেয়েছেন। তবে মামলার অন্যতম আসামি মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক ফরিদা বেগম জানান, মেঘনার বালুমহালের বিপরীতে ৩৩টি দরপত্র বিক্রি হয়েছিলো। বাসেত ও মতিনের ভাড়াটিয়া গুন্ডাদের বাঁধায় অন্যরা জমা দিতে পারেননি। মতিনরা দুটি দরপত্র জমা দিয়ে ওই বালুমহাল বাগিয়েছে।

ফরিদা অভিযোগ করেন, সোমবার ভোরে একদল যুবক তাদের চাঁদমারী বাসায় হানা দিয়ে তার দরপত্র ছিনিয়ে নিয়েছে। দরপত্র ক্রয়কারী মফিজুল ইসলাম নামক আরেকজন অভিযোগ করেন, তিনি সাড়ে ৩ কোটি টাকার পে-অর্ডার কেটেও দরপত্র জমা দিতে পারেননি। মেঘনার বালুমহাল পুনঃদরপত্রের জন্য আবেদন করবেন বলেও তিনি জানান।

(টিবি/এসপি/মার্চ ২৬, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২৯ মার্চ ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test